আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

"The Economist" - "ভারতীয় অর্থ ও পরামর্শে ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক সম্প্রসারিত হতে শুরু করে।"

To put the world right in order, we must first put the nation in order; to put the nation in order, we must first put the family in order; to put the family in order, we must first cultivate our personal life; we must first set our hearts right -Confucius বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে ‘দি ইকনমিস্টে’ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন সম্পর্কে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো প্রতিবাদ স্থান পায়নি ব্রিটিশ সাময়িকীটির সর্বশেষ প্রকাশিত ছাপা সংস্করণে। গতকাল শুক্রবার নিজেদের ব্লগে প্রতিবাদটি প্রকাশ করে ইকনমিস্ট। ইকনমিস্টের এ সপ্তাহের ছাপা সংস্করণ আজ শনিবার বাজারে এসেছে। এখানে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিবাদ ছাপানো হয়নি। এমনকি খবর প্রকাশের পর বাংলাদেশের উদ্বেগ নিয়েও কোনো মন্তব্য করেনি এই সাময়িকী।

ইকনমিস্টের দক্ষিণ এশিয়া ব্যুরোর প্রধান অ্যাডাম রবার্টস বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে বলেছেন, ইকনমিস্ট এমন সময় বাংলাদেশের প্রতিবাদ হাতে পেয়েছে, যখন এ সপ্তাহের ছাপা সংস্করণ প্রেসে চলে গেছে। তিনি জানান, আগামী সপ্তাহের ছাপা সংস্করণে বাংলাদেশের প্রতিবাদ ছাপা হবে কি না, এটি নির্ভর করছে লন্ডনের ইকনমিস্টের সম্পাদকীয় বিভাগের সিদ্ধান্তের ওপর। বাংলাদেশ সরকারকে নিয়ে ইকনমিস্টের প্রতিবেদনটি লেখেন অ্যাডাম রবার্টস। গত ২৪ জুলাই ভারতের ক্ষমতাসীন দল কংগ্রেসের প্রধান সোনিয়া গান্ধীর বাংলাদেশ সফরে আসার দিনে ঢাকায় ছিলেন তিনি। ‘অটিজম’-বিষয়ক যে কনফারেন্সে সোনিয়া অংশ নেন, সেখানেও উপস্থিত ছিলেন রবার্টস।

ইউএনবি জানায়, সফর শেষে ইকনমিস্টের এশিয়া ব্লগে একটি লেখা পোস্ট করেন রবার্টস। এ লেখায় স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে গত ৪০ বছরে বাংলাদেশের নানা অপ্রাপ্তি তুলে ধরেন তিনি। ৪ আগস্ট ব্লগে আরেকটি লেখায় বাংলাদেশে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়ার সমালোচনা করেন রবার্টস। তিনি এটাকে দেখেছেন ‘স্বৈরতন্ত্রের উত্থানের’ ইঙ্গিত হিসেবে। রবার্টস জানিয়েছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করতেই বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আনা হয়েছে।

আর এই ঘটনা তাঁকে সবচেয়ে বেশি আলোড়িত করেছে। ইকনমিস্টের গত ৩০ জুলাই সংখ্যায় ‘ইন্ডিয়া অ্যান্ড বাংলাদেশ: এমব্রেসেবল ইউ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে প্রতিবেশীর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাইছে ভারত। ভারতীয় অর্থ ও পরামর্শে ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক সম্প্রসারিত হতে শুরু করে। ভারতকে খুশি করতে বাংলাদেশ সরকার জঙ্গি ও ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পাশাপাশি দেশের ভারত-বিদ্বেষী রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়। পাকিস্তানের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করে।

ট্রানজিট প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘সেনাবাহিনীর লোকজনসহ ঢাকার অনেকেরই সন্দেহ, ট্রানজিট ভারতের জন্য একটি নিরাপত্তা করিডর তৈরির জন্যই চালু করা হচ্ছে। ’ গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চার পৃষ্ঠার প্রতিবাদপত্রে বলা হয়, ‘ভুল তথ্য ও ভুল ধারণার ওপর ভিত্তি করে কোনো ধরনের গবেষণা ছাড়া যে প্রতিবেদন ছাড়া হয়েছে, তাতে আমরা হতাশ হয়েছি। সবচেয়ে দুঃখজনক হচ্ছে, প্রতিবেদক এমন সব শব্দ ও ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়েছেন, যা পেশাগত নৈতিকতা ও শিষ্টাচারের মাত্রাকে ছাড়িয়ে গেছে। ’ ‘প্রতিবেদনটি গভীর মনোযোগ দিয়ে লক্ষ করলে বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, এটি বাংলাদেশ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারী মহলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে,’ মন্তব্য করা হয় ওই প্রতিবাদপত্রে। Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।