মোটামোটি যারা মধ্যে বয়স্ক কিংবা পৌঢ়, তাদের মধ্যেই এই বাতিক গুলো বেশি দেখা যায়। ১৫-২০ বছর আগেও সবাই দেশী মুরগীর উপর চলত, তারপর আস্তে আস্তে ফার্মের মুরগী বাজার দখল করে নিয়েছে। দাম কম হওয়ার কারণে খুব তাড়াতাড়ি এই ফার্মের মুরগী ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে গেল।
কিন্তু অনেকেই এই পরিবর্তন ভালোভাবে মেনে নিতে পারে নাই। তারা ফার্মের মুরগীতে কোনো স্বাদ পান না।
তাই কোনো দাওয়াতে গেলে আগে থেকেই বলে দেন, তিনি ফার্মের মুরগী খান না, কেন খান না, সেটা কিন্তু জানান না কাউকে। এই রকমভাবে কিছু মানুষ কোনো দাওয়াত খেতে গিয়ে কিছুটা এক্সট্রা খাতির নিতে চান। যেমন, বড়চাচাকে দাওয়াত দিয়েছেন, সবার জন্য ফার্মের মুরগী আছে, বড়চাচা যেহেতু ফার্মের মুরগী খান না, তাই ইস্পেশালভাবে তার জন্য ডাবল দাম দিয়ে একটা দেশি মুরগী আনা হয়।
অথচ সেই একই মানুষ কিন্তু ফার্মের মুরগীর ডিম খাচ্ছেন হরদম।
ঠিক তেমনি মাছের ক্ষেত্রেও।
অনেকই আছেন, যারা চাষ করা মাছ খান না। অনেক আছেন, নদীর রুই খাবেন, পুকুরের রুই ও খাবেন, কিন্তু যদি সেটা চাষ করা হয়, তবে খান না, তারা নাকি টেস্ট পান না।
অনেকে আলু খান না, কেউ বেগুন খান না, কেউ ঢেড়শ কেউবা মসুরডাল। কেন খান না, সেটার কিন্তু কোনো উল্লেখযোগ্য ব্যাখ্যা নাই।
আমি ছোটবেলাতে রুই মাছ খেতাম, কিন্তু মৃগেল মাছ খেতাম না।
কেন খেতাম না, সেটা নিজেও জানি না। অথচ আমি কাঁচা অবস্হায় রুই মাছ আর মৃগেল মাছ আলাদা ভাবে চিনতে পারতাম না। তাই মা মৃগেল মাছকে রুই মাছ বলেই খাওয়াতো।
ছোট বেলাতে আলু ছাড়া আর কোনো তরকারী খেতাম না। কিন্তু এখন মোটামোটি অনেক কিছু খাই, শুধু ঢেড়শ আর করলা ছাড়া।
একটা আঠালো মনে হয়, আর করলা ? খামাকা টাকা দিয়ে কিনে তিতা খাবো কেন ভাই?
তবে আমি ফার্মের মুরগী খাই, দেশী মুরগীও খাই।
আপনি কি কি খান না, ঝটপট বলে ফেলেন তো দেখি এইবার। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।