আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেখে যান পৃথিবীর সবচেয়ে বিখ্যাত কিছু মানুষের বিখ্যাত কিছু মিথ্যা। ।পৃথিবীর ইতিহাস অন্ধকারে ছিল বহুদিন যে কারনে।

আমি এক কথায় স্বপ্নবাজ........স্বপ্ন দেখি সাইক্লোন হয়ে উড়িয়ে দেই ক্লেদ,পরতে চাই মহাকালের নবীনযোদ্ধার সাজ। পৃথিবীর ইতিহাসে অক্ষয় হয়ে আছে তাদের নাম। কিন্তু তারা নিজের স্বার্থের জন্য এমনকিছু মিথ্যা বলেছেন যার কারনে পৃথিবীর ইতিহাস বহুদিন ভুলপথে হেঁটেছে। আসুন দেখি এমন কিছু মিথ্যাবাদী বিখ্যাত মানুষের গল্প। জন ম্যান্ডেভিলেঃ তিনি ১৪শতকের সবচেয়ে বিখ্যাত নাবিক ছিলেন।

তিনি আফ্রিকা ও ইউরোপ ঘুরে আসেন সেই প্রাচীন কালেই। তার মিথ্যাঃ তিনি একটি বই লিখেন নাম হলঃ travels of john mandeville.এই বইটি পুরোটা একটা মিথ্যা জিনিস। অথচ শত শত বছর এই বই দলিল হিসেবে পঠিত হয়েছে। তিনি বলেন পিগমি নামক একটি বামন জাতির কথা যাদের মুখ নেই সুধু একটা নল। অথচ ঐরকম কিছু নেই।

হা,হা। তারপর নাকি মানুষগুলি খেত না । শুধু ঘ্রাণ নিয়েই বেঁচে থাকত খাবারের। এবার আসুন আসল মিথ্যাটিতে। ইতিহাস যে অভিযাত্রীটির কথা বলে ১৪শতকের সেরা নাবিক হিসেবে সেই ম্যান্ডেভিলে বলে কেউ নাকি নেই।

সবই কোন গুপ্তলেখকের গল্পকাহিনী!!!!!!!!!!!!!!! অথচ লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চি,কলম্বাসের মত বাঘা বাঘা ব্যাক্তিরা তাকে গুরু মেনেছে!!!!!!!কাকে?????কাল্পনিক এক চরিত্রকে!!! মার্কো পোলোঃ মার্কো পোলো ২৪ বছর বয়সে ইতিহাসে প্রথমবারের মত চীনে,মধ্যপ্রাচ্যে যান। তার মিথ্যাঃ ১। তিনি দাবি করেন তার travels of marco polo বইতে যে তিনি সবার আগে চীন যান। ২। সেখানে তিনি এক বিশাল যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন এবং বীরের মত জয়ী হন।

৩। তিনি কুবলাই খানের ডানহাত ছিলেন। ৪। তিনি নাকি চীনের বিশাল একটা অংশ শাসন করেন বেশ কিছুদিন। আসল সত্যঃ তিনি আসলে চীনেই কোনদিন যান নি।

মানুষের মুখে গল্প শুনে সেগুলোকে নিজের বলে চালিয়েছেন। তিনি যদি যাবেন ই তবে চা,ছাপাখানা,এমনকি বিখ্যাত চীনের প্রাচীর নিয়ে কেন তিনি কিছু বলেন নি????অথচ আমরা কি জানি????? !!! জন স্মিথঃ সতেরশ শতকে র্যানলেইগের মত সেও আমেরিকায় ইংল্যান্ডের উপনিবেশ স্থাপন করতে যায়। আজ তা জেমসটাউন হিসেবে পরিচিত। তিনি সফল হলেও তার ৫০০ জন ক্রু এর মধ্যে ৪৩৯ জন মারা যায়। ধীরে ধীরে মৃত্যুপুরী হিসেবে পরিচিত হয়ে যাওয়া জেমসটাউনকে তিনি বলতে গেলে একাই প্রানপন কষ্ট করে জীবিতপুরী করে তোলেন।

তার মিথ্যাঃ ১। তাকে স্থানীয় আধিবাসীরা বন্দী করে। এরপর যখন তাকে আগুনে ছুড়ে মারা হচ্ছে তখন সর্দারের মেয়ে পক্যাহোন্টাস এসে নিজের জীবন বাজী রেখে নাকি তার জীবন বাচায়। অথচ সর্দারের কোন মেয়ে ছিল না!!!!!!!!পরে আসল সত্য বের হবার আগ পর্যন্ত বহুদিন লোকজন ঐ কল্পমানবীর পুজা করে সেখানে। ২।

সে দাবি করে তার মাথা নাকি অর্ধেক কেটে ফেলা হয়েছিল কিন্তু তারপর সে ঐ মহামানবীর শুশ্রুষায় ভাল হয়ে যায়!!!! এগুলোসবই ছিল মিথ্যা ও তৎকালীন রাজার করূনা পাওয়ার জন্য বলা!!!!!!!!!!!!! স্যার ওয়াল্টার র‍্যালেইগঃ একজন আমেরিকান তার মাতৃভাষার জন্য সারাজীবণ কৃতজ্ঞ থাকা উচিত র‍্যালেইগের কাছে। তিনি প্রথম ইংল্যান্ডের বাইরে ইংরেজ উপনিবেশ সৃষ্টি করেন আমেরিকায়। তিনি যদি আমেরিকায় প্রথম ইংরেজ উপনিবেশ roanoke না করতেন তবে আমেরিকা ফ্রান্স বা স্পেন এর দখলে চলে যেত। তাহলে কি হত বুঝতেই পারছেন......... তার বলা মিথ্যাঃ তিনি দেশে ফিরে বলে বেড়াতে লাগ্লেন যে,ঐ সব অঞ্চলে মাথাছাড়া মানুষ বাস করে। তাদের নাকি দুই কাধে চোখ এবং বুকের মধ্যে মুখ!!!!!!!!!! এই বিশ্বাস নিয়ে ইংল্যান্ডের লোকজন প্রায় ২৫০ বছর কাটিয়ে দেয়!!!!!!!!!!! !! কেন বলেছেনঃ এই মিথ্যা তাকে রাতারাতি আরও প্রচুর ফান্ডের ব্যাবস্থা করে দেয় আরও অনেক অভিযান চালানোর জন্য।

তবে কি শুধু টাকার লোভেই............ ফার্দিনান্দ ম্যাগেলানঃ জানেন কি পৃথিবীর আবিষ্কর্তা কে??? হ্যা। ম্যাগেলানকে বলা হয় বিশ্বের আবিষ্কর্তা। সামান্য মতপার্থক্য থাকলেও এটা নিশ্চিত যে তিনি প্রথম সফলভাবে পৃথিবীর চারপাশে ঘুরে এসেছিলেন ১৫১৯-১৫২২ সময়কালের মধ্যে। পৃথিবী সফল ভাবে প্রদক্ষিণ করার জন্য ম্যাগেলানকে সবচেয়ে বেশী কৃতিত্ব দেয়া হয়। তিনিই প্রথম পূর্বে যাবার রূট আবিষ্কার করেন এবং কিছু অমুল্য সার্ভে করেন।

আপনি হলে যা করতেন এই ভদ্রলোক ও ঠিক তাই করেন,নিজের নামে একটা স্ট্রেইট ও পেঙ্গুইনের নামকরণ করেন। তার বলা মিথ্যাঃ যখন দক্ষিণ আমেরিকার দক্ষিণ ধার ঘেঁষে যাচ্ছিলেন,ম্যাগেলান এবং তার ক্রু রা দাবি করল যে,তারা একটা নগ্ন দানব দেখেছে । দানবটা এতটা লম্বা যে তারা তার কোমড় পর্যন্ত ও পড়েন না!!!! দানবটা নাকি নাচছিল,গাইছিল,চিৎকার করছিল,আশেপাশের আবর্জনা নিজের মাথায় জমাচ্ছিল। তারা দেশে ফিরে এই গল্প ছড়িয়ে দেয়। ক্রমেই লোকজন বিশ্বাস করতে লাগল যে,দক্ষিন আমেরিকার ঐ জায়গায় নগ্ন দানব এর দল বছরের পর বছর নাচগান করে আর আবর্জনা খায়!!!!!!!!!!!এই বিশ্বাস ২০০ বছর স্থায়ী হয়।

ম্যাগেলানের লোকজন একদল আদিবাসী দেখেছিল যারা মোটেও দৈত্যাকার নয়,গড় উচ্চতা মাত্র ৫ ফিট ১১ ইঞ্চি। তারা ছিল Tehuelche গোষ্ঠী!!!!!!!!!!! বুঝুন এবার,কোথায় আছি?????আমরা যা জানি তারই বা কতটুকু সত্য???  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।