আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

The Guns of Navarone(1961) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ভিত্তিক অসাধারণ এবং দারুণ একটি মূভি

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ আমরা সবাই জানি প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তুরস্ক জার্মানীর মিত্র ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে জার্মানী পূর্বের তুলনায় প্রবল শক্তিশালী হওয়া সত্ত্বেও তুরস্ক তার পক্ষে যোগ না দেওয়ায় হিটলার ক্ষুদ্ধ ছিল। এই বিষয়টি অনেক আগেই আচ করতে পেরে মিত্র বাহিনী বিশেষ করে বৃটেন ২০০০ সৈন্যের একটি দল পাঠায় গ্রীসের আজিয়ান সাগরের কেরোজ দ্বীপে। ১৯৪৩ সালে যুদ্ধে জার্মানী ও ইটালীর অবস্থা খারাপের দিকে গেলে বার্লিনে হিটলারের জার্মান হাইকমান্ড সিদ্ধান্ত নেয় এবার নিরপেক্ষ তুর্কীকে উত্যক্ত করে তাদের পক্ষে যুদ্ধে আনা যায় কিনা। তাই কেরোজ দ্বীপকে অবরুদ্ধ করে সেখানে নাৎসী বাহিনী অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নেয়।

বিষয়টি জানতে পেরে বৃটিশ রাজকীয় নৌবাহিনী কেরোজে তার সৈন্যদের উদ্ধার করতে গেলে কৌশল গত সাগর চ্যানেলে সেই সময়ে জার্মানরা গ্রীসের নাভারন দ্বীপে দূর নিয়ন্ত্রিত রাডারের মাধ্যমে একটি উচু পাহাড়ের মাঝখানে দুটি বিশাল আকৃতির কামান বসায়। ফলে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও রাজকীয় নৌবাহিনী কেরোজে পৌছুতে ব্যার্থ হয়। তাদের বেশ কয়েকটি জাহাজ ঐ কামানদ্বয়ের গোলার আঘাতে ধ্বংস হয়ে সাগরে ডুবে যায়। ঐ সময় আজকের মতন স্যাটেলাইট ও লেজার গাইডেড ক্ষেপনাস্ত্রতো দূর জঙ্গী বিমানেও রকেট-ক্ষেপনাস্ত্র পাহাড়ের গুহা লক্ষ্য করে ছোড়া সম্ভব ছিল না। আর এ দিকে কেরোজ দ্বীপে বৃটিশ সৈন্যদের অবস্থা ছিল বিধ্বস্ত, অসহায়ের মতন এবং তাদের হাতে মাত্র এক সপ্তাহ সময় আছে।

তখনই মিত্রবাহিনী সিদ্ধান্ত নেয় ৬ জনের স্পেশাল কমান্ডো বাহিনী পাঠিয়ে কামান দুটিকে ধ্বংস করার। এই মূভিটি মূলত স্কটিশ লেখক এলিষ্টেয়ার ম্যাকলিনের উপন্যাসের উপর ভিত্তি করে নির্মিত যা ১৯৫৭ সালে প্রকাশিত হয়। কলাম্বিয়া কোম্পানী এই ছবিটির নির্মাতা এবং পরিচালক জে লী থম্পসন। তিন জন বিখ্যাত নায়ক এই ছবিতে আছেন। ১) গ্রেগরী পেক, ২) এন্থুনী কুইন এবং ৩) ডেভিড নাইভেন।

এ্যাডভেঞ্চার, বুদ্ধি-কৌশল, সাহস, প্রকৃতি এবং শত্রুদের বৈরীতা ও কঠোরতাকে ফাকি দিয়ে কিভাবে পাহাড়ে রাখা কামানে বিস্ফোরক নিয়ে পৌছে এবং পালায় তা একটু মনোযোগ দিয়ে দেখলে আশা করি সবারই মূভিটি ভাল লাগবে। এই ছবিতে গ্রীসের জার্মান প্রতিরোধী যোদ্ধারাও এই বিশেষ বাহিনীকে সহায়তা করে। ১৯৯১ সালে বিটিভির সৌজন্যে আমার প্রথমবার দেখার সুযোগ হয় আমার আব্বুর অনুপ্রেরণায়। প্রায় ২/৩ সপ্তাহ ধরে ট্রেইলার দেখানো হচ্ছিল। তিনি বলেন এই ছবি না দেখলে জীবনে অনেক বড় মিস করবি।

তারপর বিগত বিশ বছরে ছবিটি বহুবার দেখেও মোটেও বোরিং লাগেনি। এই গানস অভ নাভারুন সেই বিশ্ব বিখ্যাত শ্রেণীর ছবি যার আকর্ষণ কখনও শেষ হবার নয়। ছবিটি আইস ফিল্মস অথবা ষ্টেজভ্যূ হতে ডাউনলোড করতে পারেন; আইস: http://www.icefilms.info/ip.php?v=95396& ষ্টেজভ্যূ: http://stagevu.com/video/tlbsmyecxdjc  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।