আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ক্ষুধা-(অনুগল্প)

আমি নিশাচর শহরতলীর খুবই নির্জন একটা এলাকার ছোট একটা ঘরে একা একা থাকি । বাবা,মা,ভাই-বোন বলতে এই দুনিয়ায় কেউ আছে কিনা জানি না,ছোট থেকে বড় হয়েছি একটা এতিমখানায় । সারাদিন টিউশানি করে মাসের শেষে যে বেতন পাই তাতে দুবেলা কোনোমতে খেতে পাই । আজ দুপুরে রান্না করতে ঢুকব এমন সময় জুইয়ের ফোন । কলেজে ছোট একটা আলাপে এরমধ্যেই ও আমার ভাল বন্ধু হয়ে গেছিল ।

মেয়েটা ক্যামন যেন উল্টাপাল্টা স্বভাবের । কথায় কথায় খারাপ কথা আর কথা বলার সময় ও সবার দিকে এমন ভাবে তাকায় যে মনে হয় যেন খেয়ে ফেলবে । তবে বন্ধু হিসেবে ওকে আমার ভালই মনে হয় । তো আজ ফোনে জুই আমার বাসায় আসতে চাইলো । অনেকদিন থেকেই ও আমার বাসায় আসতে চাইছিল কিন্তু ঠিকানা না জানায় আসতে পারছিল না ।

ওকে আসতে বারন করলেও শুনবে না তাই বাসার ঠিকানা বলে দিলাম, ও বলল এখনি আসব কিন্তু ,আমি বললাম ঠিক আছে আস । ঘন্টাখানেক পরেই কলিংবেলের আওয়াজ,বুঝলাম জুই এসেছে । দরজা খুলে জুই এর দিকে তাকালাম,মনে হল ও ওর সবটুকু সৌন্দর্য নিয়ে আমার সামনে হাজির হয়েছে । সিঁদুর লাল রঙের পাতলা শাড়ি,ঠোটে হালকা লাল লিপষ্টিক আর কপালে লাল একটা টিপে ওকে অদ্ভুত সুন্দর লাল পরীর মত লাগছিল । শাড়িটা এতই পাতলা যে ওর দেহের প্রতিটা বাক আমার কাছে স্পষ্ট ফুটে উঠছিল ।

আমি ওর দিক থেকে চোখ ফেরাতে পারছিলাম না,জুই নিজে থেকেই ঘরের ভেতরে এসে চেয়ারে টেনে বসল,আমি একদৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে আছি দেখে হাসল আর বলল কি দেখছ?আমি একটূ থতমত খেয়ে বললাম কিছু না,জুই বলল কি করছিলে?আমি বললাম রান্না । জুই নিজেই আমার কিচেনে ঢুকে বলল ব্বাবাহ নিজেই রান্না কর?আমি বললাম হ্যাঁ,জুই বলল দাও আমি করে দিচ্ছি আমি না না করে উঠতে বলল কোনো কথা না একদম চুপ,আমি বললাম থাঙ্ক ইউ জুই । রান্না করার সময় বার বার শাড়ীর আচল বুক থেকে সরে যাওয়ায় ওর গ্রীক দেবীদের মত শরীর আমি দেখতে পাচ্ছিলাম,সেটা আড়চোখে দেখতে পেয়ে জুই মিটিমিটি হাসছিল । হঠাৎ জুই বলল একটু আগে তুমি বললে না যে আমি খুব ভাল?আমি বললাম হ্যাঁ,জুই বলল তুমি আমার পাশে একটু দাড়ালেই বুঝতে পারবে আমি কতটা ভাল । আমি ওর কথা না বুঝে বললাম মানে?ও বলল আহা দাড়াও না? আমি জ়ুইয়ের পাশে দাড়াতেই ও আমাকে পাগলের মত জড়িয়ে ধরে ওর বুকের সাথে পিষে ফেলতে লাগল ।

কামনার এক তীব্রস্রোত আমার সাড়া শরীরে বয়ে গেল,আমি নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে গেলে ও আমাকে আরও শক্ত করে জাপটে ধরল,ওর কোমল বাহু আর নরম বুকের ছোয়ায় আমি শিউরে উঠলাম,এরপর নিজেকে সামলাতে পারলাম না,আমার কামনার ভয়ালস্রোত জুইকে ভাসিয়ে নিয়ে গেল । ৪ ঘন্টা পরের কথা............। জুই আসায় রান্নার মেনুটা বদলাতে বাধ্য হলাম । আমি গরীব তাই সবসময় ভাল খাবার কথা চিন্তা করতে পারি না । তবে আজ জুই এসেছে আজকের কথা ভিন্ন ।

এখন মাংস রান্না করছি,নিজেই রাধছি কারন জুই রান্না করার অবস্থায় নেই । ঘ্রানে জিভে পানি এসে যাচ্ছে,অনেকদিন পর আজ একটু ভাল খাব । এক টুকরো মাংস করাই থেকে তুলে খেয়ে দেখলাম আহ দারুন হয়েছে রান্না, আসলে জুইয়ের মাংস যে অনেক টেষ্টি হবে সেটা ওকে প্রথম দিন দেখেই বুঝতে পেরেছিলামও হ্যাঁ জুইয়ের কলজেটা রেখে দিয়েছি শুক্রবার রান্না করব অনেক ঝাল দিয়ে আর মাথা দিয়ে মুড়িঘণ্ট............। । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।