When you become detached mentally from yourself and concentrate on helping other people with their difficulties, you will be able to cope with your own more effectively. Somehow, the act of self-giving is a personal power-releasing factor. আমি সব সময় বলতাম যত যাই হোক আমি দেশে থাকবো। বাচলেও এই দেশে বাঁচবো। মরলেও এইখানেই মরবো। আমার ভাই/ বন্ধুরা বলতো নোংরায় থাকলে গায়ে ময়লা লাগা ছাড়া কিছু হবে না। যত জলদি পারিস বাইরে যা।
আমি মনে মনে ভাবতাম এতো স্বার্থপর কেন ওরা? যে দেশ বুক ভরা বাতাস দেয়, এতো সুন্দর প্রকৃতি দেয়, সেই দেশ ছেড়ে যাবার জন্য এত্ত তাড়া কিসের সবার। এখন বুঝি এতো তাড়া কিসের।
এখন তাই আমিও বলি, আমি এই দেশে থাকতে চাই না। এই দেশে মানুষ থাকে না। এই দেশ আমাকে বাতাস, ফুল, পাখি সব দিয়েছে।
শুধু দেয় নি মানুষ। এই দেশে মেয়ে হয়ে জন্মানো একটা পাপ। একসময় এটা বললে মানুষ ভাবত মেয়েদের দুঃখ বিলাসের নমুনা হচ্ছে এসব কথা। কিন্তু এখন যখন প্রত্তেকদিন আমাদের ছোট্ট ছোট্ট বাচ্চাগুলোকে পইচাশিক ভাবে নির্যাতিত হতে হয় তখন মনে হয় এই বাচ্চা গুলো জঙ্গলে থাকলে বোধ হয় এর চেয়ে বেশি নিরাপদ থাকত। শিক্ষকের কাজ এখন ধর্ষণ করা।
শুশিল সমাজের কাজ মেয়েদের কাপড় নিয়ে গবেষণা করা। কোন কাপড় পরলে ধর্ষণ জায়েজ হয়ে যায় সেই ফতোয়া দেওয়া। মেয়ে অত্যাচারের প্রতিবাদ করলে তার ছিদ্রান্বেষণ করা। ' ভিডিও এলো, ভিডিও এলো রব যখন উঠে তখন কিচ্ছুক্ষন ছি ছি করে কৌশলে ভিডিও টার লিঙ্ক জানতে এসব পশুদের বিন্দু মাত্র লজ্জা হয় না। মেয়েটিকে জীবনে দেখেও নি যে সেও অবলিলায় বলে যায় 'এটা মিউচুয়াল ছিলো'।
এই দেশে কি মানুষ বলে কোন প্রজাতি থাকে? যাদেরকে শিক্ষকতার দায়িত্ব অর্পণ করা হচ্ছে তারা আসলে কোন যোগ্যতায় শিক্ষক হয়? মানবিকতা, মনুষ্যত্ব বলে কি কিছুই আর নেই? এতো কিছুর পর ও কি আমরা কোন বিচার পাবো না? কিসের দেশ এটা? আমাদের দেশের দণ্ড মুণ্ডের কর্তাদের বলছি, মেয়েদের কে যদি এভাবেই নির্যাতন করে অত্তাচার করে মারতে হয়, তবেঁ আর মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধ বলে গলা শুকাবেন না। যদি পারুন আমাদেরকে দূর দ্বীপে ফেলে আসুন।
আর তাও না পারলে, আসুন। ধর্ষণ করে যান। এটা তো খুব পারবেন।
তাই না!
(প্রচণ্ড ক্ষোভ নিয়ে লেখাটা লিখলাম, একটু আগে একটা লিঙ্ক দেখলাম, যেখানে ক্লাস ৩ এর ছাত্রী তার 'প্রধান শিক্ষকের কল্যাণে' ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বাচ্চাটাকে বুকে চেপে চিৎকার করে কাদতে ইচ্ছে করছে) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।