টিভির পর্দা খুললেই দেখা যায় সবার মুখে সংলাপের খই ফুটছে। বিশেষ করে টিভি টকশোগুলোতে। অজ্ঞ, মুর্খ, পরিচিত, অপিরিচিত তথাকথিত বিশেষজ্ঞ যারাই টকশোতে আসছেন সবাই বিজ্ঞের মত, মহাজ্ঞানীর মত মুখ ভারী করে মাথা দুলিয়ে বলছেন সংলাপ ছাড়া কোন বিকল্প নেই। দুই নেত্রীর সংলাপ না হলে জাতি আর উদ্ধার পাবেনা। জাতি থাকবেনা।
কেবল মাত্র দুই নেত্রীই পারেন সংলাপের মাধ্যমে জাতিকে ধ্বংসের হাত থেকে উদ্ধার করতে, পরিত্রানের পথ দেখাতে।
যারা সংলাপ সংলাপ করছে আমি তাদের প্রস্তাবের ঘোর বিরোধী। বর্তমানে দেশকে গভীর সংকটের দিকে, সংঘাতের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য একমাত্র দায়ী বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার। তারা যেমন দেশকে সংকটের দিকে নিয়ে গেছেন তেমনি দেশকে সঙ্কটমুক্ত করারও সম্পূর্ণ দায় দায়িত্ব তাদের এবং এটি তারা ইচ্ছা করলেই পারেন। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পথ বন্ধ করে দিয়েই মূলত বর্তমান সরকার দেশকে সঙ্কটের দিকে ঠেলে দিয়েছে।
কাজেই বর্তমান সরকার সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ উন্মুক্ত করুক, ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ পালাবাদলের ব্যবস্থা চালু করুক। সংলাট টংলাপ কিছু লাগবেনা।
বর্তমান সঙ্কটের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ হাতবদলের ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়া। কাজেই সরকার এটি ফিরিয়ে আনুক আবার। তারপর নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে চলে যাক তারা।
সব ল্যাঠা চুকে যাবে। ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ পালাবদলের ব্যবস্থা তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিএনপি বাতিল করেনি। বিএনপি এটি এখন চালুও করতে পারবেনা। এটি চালু করতে পারে সরকার। সে ক্ষমতা তাদের রয়েছে শতভাগ।
কাজেই যে সমস্যা সৃষ্টি করেছে সরকার এবং যা সমাধানের পূর্ণ ক্ষমতা সরকারের হাতে সেখানে কিসের সংলাপ?
সংলাপ নামের ধোকাবাজির কথা আর শুনতে চাইনা। সরকারের বুকে সাহস থাকে তো নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করে তাদের হাতে ক্ষমতা দিয়ে চলে যান। তা না হলে বুঝব নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে আপনারা আর ক্ষমতায় আসতে পারবেননা ভেবে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ বন্ধ করে দিয়েছেন আপনারা।
এখন যারা তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা নিয়েই কতর্ক করতে চান তাদের উদ্দেশে শুধু বলতে চাই ৪১ বছরের রাজনীতিবিদদের এবং আমাদের সকলের ব্যর্থতার কারনেই সবাই মিলে এটি প্রতিষ্ঠা করেছে।
সবাই মেনেও নিয়েছিল। বেশ কয়েকবার এর মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতার হস্তান্তরও হয়েছে। এটি চালু করার জন্য বর্তমান সরকার বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় কি কি করেছিল রাজপথে তা আমরা ভুলে যাইনি। কাজেই চালু করার সময় সবাই মিলে চালু করলেন আর বাদ দেয়ার সময় সবার মতকে উপেক্ষা করে একা গায়ের জোরে বাদ দিয়ে দিলেন এটা কোন নিয়মের মধ্যে পড়ে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।