আমি অতি সাধারন.... ক্লোনিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে আলো বিকরণকারী এক ধরনের কুকুর তৈরি করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
বুড়ো বয়সের রোগ পারকিনসন এবং আলঝেইমার বা স্মৃতিভ্রংশ নিরাময়ের উপায় খুঁজতে এই কুকুর কাজে আসবে বলেই মনে করছেন তারা।
সিউল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক দল জানিয়েছেন, জিনগত পরিবর্তন ঘটিয়ে টেগন নামের এ কুকুরের জন্ম দেওয়া হয়েছে ২০০৯ সালে।
ক্ষুদে ও বেঁটে পা-ওয়ালা শিকারি এ কুকুরকে ডক্সিসাইক্লিন এন্টিবায়োটিক খাওয়ালে দেখা যায়, অতি বেগুনী রশ্মির নিচে কুকুরটি উজ্জ্বল সবুজ রঙের আলো বিকিরণ করে।
দুই বছর পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে গবেষকরা বলেছেন, খাবারে এক ধরনের ওষুধ মিশিয়ে কুকুরটির আলো ছড়ানোর ক্ষমতা ধরে রাখা বা বন্ধ করে দেওয়া সম্ভব।
সোমাটিক সেল নিউক্লিয়ার ট্রান্সফার টেকনোলজি ব্যবহার করে টেগনকে তৈরি করা হয়েছে।
এ পদ্ধতিতেই তৈরি করা হয়েছিলো ২০০৫ সালে জন্ম নেয়া বিশ্বের প্রথম ক্লোন কুকুর øাপি।
কিন্তু টেগনের জন্ম এক ভিন্ন মাত্রা এনে দিয়েছে। যে জিনের কারণে কুকুরটি আলো বিকিরণের ক্ষমতা পেয়েছে সেই জিন দিয়ে মানুষের প্রাণঘাতী রোগগুলোর জন্য দায়ী জিনগুলোকে বদলে ফেলা সম্ভব। বলেছেন, প্রধান গবেষক লি বাইয়েং-চান।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ২৬৪ ধরনের রোগে মানুষ এবং কুকুর উভয়ই আক্রান্ত হয়।
তৈরি করা কুকুরে কৃত্রিমভাবে ওই সমস্ত রোগের লক্ষণ ধরা পড়বে। আর এ থেকেই মানুষের দেহে ওই ধরনের রোগগুলোর চিকিৎসাপদ্ধতি বের করা সম্ভব হতে পারে।
'জেনেসিস' নামক এক আন্তর্জাতিক গবেষণা সাময়িকী এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।