বহুদূর পথ হেঁটে এসেও বালিকার বয়স বাড়ে না- থমকে গেছে বয়স ভ্রমরের আয়না কাল চোখে! বালিকা হাসে জীবনের উচ্ছাসে, খেলে বেড়ায় প্রজাপতির চাপল্যে, ঝিনুকের আবরণে বন্দী বালিকা এক গোলাপী রাজকুমারী- খরগোশের ভীরুতায় তিরতির করে কাঁপে। গুড়ো জলকণা জমে মেঘ হয় লাল, নীল, গোলাপী, সাদা, ধূসর, কাল তারপর মাধ্যাকর্ষণের টানে ঝরে পড়ে রিমঝিম স্বপ্ন হয়ে, রংধনু রঙ্গিন আল্পনা আঁকে বালিকার চোখে। প্রজাপতির নরম ডানার কাঁপন চোখের পাতায়, এই বুঝি উড়ে গেল স্বপ্ন গাঁথা মালা! আঙ্গুলের ভাঁজে ভাঁজে সযতন আলিঙ্গনে জড়ায় বালিকা, জানে না পড়েছে নিয়তির সাত পাকে বাঁধা। বালিকার সম্মুখে এক নতুন পৃথিবী, শংকা আর আনন্দে উদ্বেল! তার চোখে উদ্ভাসিত হয় অপার্থিব আলো, তুলতুল গালে খেলা করে শিশুর সারল্য, বালিকা গুনগুন বুনে যায় নকশি কাঁথার লতা-পাতা-ফুল; বোনা হয়ে যায় আগামীর ছোট ছোট গান আর সুর। বালিকার আলোভরা চোখে আজ সাঁঝের উদাস আকাশ উপুড়। রাতের দেয়ালে হেলান দিয়ে বালিকা শোনে আধ খাওয়া চাঁদের গল্প, চরাচর জুড়ে বুড়ি চাঁদ বিছায় তার হিমহিম নীল চাদর ভাঙ্গা চাঁদ গুড়ো গুড়ো হয়ে ঝরে পড়ে! বালিকা ভেসে যায় বিষাদের নীল জলে! নীল জল বালিকা বেহালায় নীল সুর তোলে!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।