Click This Link বাচ্চটির বয়স ৮/৯মাস। বাচ্চার মায়ের অশতর্কতায় ঠান্ডা আর অধুষের ডোজ বেশীতে একবারে ঠান্ডা শুকিয়ে শ্বাস কষ্টে রূপ। বাচ্চাটির শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। বাচ্চার বাবা শিক্ষিত, ঠান্ডা মাথার, বিশ্বাস করেন না ঝাড় ফুকে। নিয়ে যাবেন ডাক্টারের কাছে।
বধ সাধল বাচ্চার নানি (বাচ্চার আম্বার ফুপু)। "ডাক্টারের কাছে নিয়ে গেলেই গ্যাস দিবে (নেবুলাইজ)। বাচ্চা কালো হয়ে যাবে। শরীর নষ্ট হয়ে যাবে। ইত্যাদি ইত্যাদি।
" ফুপুর কথা ফেলতে না পেরে ভয়ে ভয়ে বাচ্চার মা বাচ্চার বাবার কাছে এসে কথাগুলো বলল। বাচ্চার বাবা ঠান্ডা মাথায় বলল, ঠিক আছে ডাক্টারের কাছে নিয়ে গিয়ে দেখি। রাস্তায় বের হতেই দেখা ৭২ বছর বয়সী দাদার সাথে দেখা। "সোজা প্রশ্ন এই কোথায় যাস, ডাক্টার কাছে নিয়া গ্যাস দিস না কইলাম, পোলাডা কালো হয়ে যাবে। "
যা হোক বাচ্চার মা'ও ইন্টার মিডিয়েট পাস, মুরুব্বিদের কথায় অবাধ্য না হয়ে বলল একটু অন্য সমস্যা আছে ঘুরে আসি।
যথা রিতি ডাক্টারের কাছে গিয়ে নেবুলাইজ করানো হল ১ ঘন্টা অন্তর দুই বার। ফিরে এলেন বাচ্চা নিয়ে।
বাচ্চার বাবা ঠান্ডা মাথার হলেও কথা বলতে কাউকে ছাড়েন না। তাই তার সাথে কেও কথাও সহসা বলেন না বলে ফিরে আসার পর কেও খাথাও বাড়াল না; যত কথা বাচ্চার মায়ের সাথে। শুরু হল বাচ্চার নানির কথা , "তোরা শুধু শুধু টাকা ভাঙ্গিস, তোদের টাকা বেশী, তোর দাদার কাছ থেকে এসে কতজন আইসা ভালা হইয়া যায়, ইত্যাদি ইত্যাদি।
শেষ মেষ বলল ঠিক আছে, আমি ডাক্টারও দেখাব ঝাড়-ফুকও করব।
কথা মত পরদিন সকালে দাদা আসল কচুগাছ হাতে নিয়ে, প্রথমে কি যেন বললেন মনে মনে তার পর, কচুগাছ দিয়ে মাথা থেকে ধরে পা পর্যন্ত নিয়ে আসল ময়লা পরিষ্কার করার মত। বলল আগামী ৫দিধ ঝাড়লেই ঠিক হয়ে যাবে। সাথে কিছু টিপস দিয়ে দিলেন। (চলবে) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।