বুকে জমা ---- দীর্ঘশ্বাস কারাগারের গরাদে মাথা কুটে মরা আমার বাক স্বাধীনতা । শোষকের ভয়ে বিনীত- কাপুরুষের মতো -- জীবন যুদ্ধে পরাজিত আমরা। গোলাম আযম বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় অপরাধী। বাংলার ইতিহাসে সর্বকালের সর্বনিকৃষ্ট ঘৃণিত চরিত্রের ব্যক্তি। "বাংলাদেশের হিটলার" খ্যাত গোলাম আযমের রায় হয়ে গেল কিছুদিন আগে।
গোলাম আযমের ভবিষ্যৎ কি?রায় কতটুকু যুক্তিযুক্ত?আরেকটা গোলাম আযমের জন্ম প্রক্রিয়া কেমন?এমনই কিছু বাস্তব কথা এই পোস্টে বলা হল। মনে রাখবেন,বাস্তবতা কখনই মধুর নয়।
কে এই গোলাম আযম?
>মানবাধীকারকর্মী ও লেখিকা সুলতানা কামাল বলেন, “নিষ্ঠুরতার দিক দিয়ে গোলাম আযম ছিলেন জার্মানির সাবেক শাষক হিটলারের সমকক্ষ যিনি গণহত্যা কার্যকর ও জাতিগত নির্মূলে প্রভাবশালী ভূমিকা পালন করেছিলেন। ”
এই তার সংক্ষিপ্ত এবং আসল পরিচয়!
মানবতা বিরোধী অপরাধের সংজ্ঞাঃরায়ের প্রথম অংশে বলা হয়েছে-
Section 3(2)(a) of International Crimes (Tribunals) Act, 1973 ( as
amended in 2009) defines the crimes against Humanity in the following
manner:
“Crimes against Humanity: namely, murder, extermination,
enslavement, deportation, imprisonment, abduction,
confinement, torture, rape or other inhumane acts committed
against any civilian population or persecutions on political,
racial, ethnic or religions grounds, whether or not in violation of
the domestic law of the country where perpetrated;”
___________________________________________
এই সংজ্ঞা থেকে বলতে পারি-
মানবতাবিরোধী অপরাধ ও এর অনুরূপ আন্তর্জাতিক অপরাধের ষড়যন্ত্র, পরিকল্পনা, উসকানি, সহযোগিতা এবং হত্যা ও নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত এই দেশের সবচেয়ে বড় শত্রু- গোলাম আযম।
***রায়ের সম্পূর্ণ কপি ডাউনলোড করুন পিডিএফ আকারে - এখান থেকে -
গোলাম আযম -
গোলাম আযম ৭ নভেম্বর, ১৯২২ (বাংলা ১৩২৯ সালের ৫ই অগ্রহায়ন) সালে ঢাকায় (লক্ষ্মীবাজারস্থ শাহ সাহেব বাড়িতে তাঁর মাতুলালয়ে) জন্মগ্রহন করেন।
তার পিতার নাম গোলাম কবির ও মায়ের নাম সৈয়দা আশরাফুন্নিসা। (তার মা যদি সেদিন জানতেন , এই হবে গোলাম আযম। আমি নিশ্চিত গলা টিপে মেরে ফেলতেন সেদিন) তিনি তার গ্রাম বিরগাও-এর (কুমিল্লা) একটি মাদ্রাসা থেকে প্রাথমিক শিক্ষা ও ঢাকা থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পলিটিকাল সায়েন্সের উপর বিএ ও ১৯৫০ সালে এমএ ডিগ্রী অর্জন করেন।
- - উইকিপিডিয়া
পরবর্তীতে গোলাম আযম ভ্রান্ত মউদুদির ভ্রান্ত মতাদর্শে প্রভাবিত হন।
১৯৫৪ সালের ২২ এপ্রিল তিনি ভ্রান্ত মউদুদির জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দেন। মউদুদিকে ধর্মীয় উগ্রবাদ ছড়ানোর জন্য ১৯৫৩ সালে প্রথমে ফাঁসির রায়,পরে তা কমিয়ে যাবজ্জীবন এবং শেষে খালাস করে দেওয়া হয়!ইসলাম ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে তিনিই শিখিয়েছেন, আযমদের। উগ্রবাদী এই নেতা জীবনে শত শত বই লিখেছেন(১২০টি বই এবং হাজারেরও অধিক লিফলেট এবং লেকচার)। নিজে নিজে পবিত্র কুরআন শরিফের বিকৃত তাফসির বের করেছিলেন এই তাফসীরে তিনি প্রচুর মিথ্যাচার ও অপব্যাখ্যা দিয়েছিলেন।
জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা এই নেতা আমাদেরকে সবাইকে বলছে "আমরা মুসলিম জাতি নই!!!!"
Maududi believed that without Sharia law Muslim society could not be Islamic:
"That if an Islamic society consciously resolves not to accept the Sharia, and decides to enact its own constitution and laws or borrow them from any other source in disregard of the Sharia, such a society breaks its contract with God and forfeits its right to be called 'Islamic.'"
তার মতে আমরা মোটেও মুসলিম নই।
আমরা গণতান্ত্রিক দেশ , ইসলামিক দেশ নই!!!
আর একটা নজির-
Moududi's thinking :
"ideological state in which legislators do not legislate, citizens only vote to reaffirm the permanent applicability of God's laws, women rarely venture outside their homes lest social discipline be disrupted, and non-Muslims are tolerated as foreign elements required to express their loyalty by means of paying a financial levy."
এই সব উগ্র ভ্রান্ত চিন্তাই - দেশকে ঠেলে নিয়ে যাবে জঙ্গিবাদের দিকে। জামায়াতের নেতারা এই সব লেখা বুকে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে- তাদের কাজও জঙ্গি স্টাইলে হবে এ নিয়ে সন্দেহ নেই।
এই মউদুদি আদর্শের জামায়াত যতদিন দেশের মাটিতে থাকবে, ততদিন একের পর এক গোলাম আযমরা সৃষ্টি হতে থাকবে।
মউদুদির ভ্রান্ত মতবাদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে- "জাগরণ' অস্তিত্ত্বে ৭১ - চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়" পেজের একটি গবেষণাধর্মী পোস্ট দেখুন-
মউদুদি ইসলাম ও নবী সাঃ কে অপমান করেছে। ============>>
মউদুদির জীবন সম্পর্কে জানতে দেখুন উইকিপিডিয়া- Abul A'la Maududi
জামাতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ আবু আলা মওদুদীর পুত্র সৈয়দ হায়দার ফারুক মওদুদী পাকিস্তানের রয়েল টেলিভিশনে গত ২৮ মে ২০১১ ইং এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, জামায়াত ধর্মব্যবসায়ী এবং অত্যাচারী!
__________________________________________________
যা হোক , এত এত কথার মূল কথা হল " গোলাম আযম ১৯৫৪ সালের ২২ এপ্রিল তিনি জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দেন"।
এর সাথে সাথে তার মনে তীব্র একটা ভ্রান্ত মতাদর্শ গড়ে উঠে।
মাস্টারমাইন্ডের যুদ্ধের আগের কার্যক্রমঃ
তিনি প্রথম থেকেই পাকিস্তান বিভক্তির প্রতিবাদ করে আসতে থাকেন। তখনকার মুক্তিকামী মানুষকে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে বলতে থাকেন। ২৫শে মার্চের ৬ দিন পরে তিনি বলেন " ভারত সশস্ত্র অনুপ্রবেশকারী প্রেরণ করে কার্যত পূর্ব পাকিস্তানীদের দেশপ্রেমকে চ্যালেঞ্জ করেছে"। সেই থেকে শুরু ।
২০ জুন, ১৯৭১ সালে বলেন ," পাকিস্তনি বাহিনী পূর্ব পাকিস্তান থেকে প্রায় সকল সন্ত্রাসীদের হটিয়ে দিয়েছে"।
এপ্রিল ১১ , ১৯৭১ সালে তিনি শান্তি কমিটি গঠন করেন। (The daily Pakistan - April 11,1971 )
এই শান্তি কমিটির মূল কাজ ছিল , পাকিস্তানি বাহিনীকে সর্বাত্মক সহায়তা করা। মুক্তিবাহিনীকে ধরিয়ে দেওয়া। হিন্দুদের সম্পত্তি অধিগ্রহণ করে পুনরায় বিতরণ করা।
১২ এপ্রিল, ১৯৭১ সালে আযম ও মতিউর রহমান নিজামী এই স্বাধীনতা আন্দোলনকে ভারতের ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করে একটি বিক্ষোভের ডাক দেন ও তাতে নেতৃত্ব দেন। ( the daily Songram 13 , april )
৩০শে জুন লাহোরে সাংবাদিকদের কাছে গোলাম আযম বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের দুস্কৃতিকারী বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন যে তার দল এদের দমনে সর্বাত্ত্বক চেষ্ঠা করছে এবং এ কারণেই দুস্কৃতকারীদের হাতে বহু জামায়াত কর্মী নিহত হয়েছে। (দৈনিক সংগ্রাম)
প্রায়সময়ে গোলাম আযম টিক্কা খান এবং অন্যান্যদের সাথে বসে দুষ্কৃতিকারী(মুক্তিযোদ্ধা) দের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া যায় সে বিশয়ে আলোচনা করতেন। (the daily star , octobor 27, 2007 )
যুদ্ধের সময় ১২ই আগস্ট তিনি মন্তব্য করেন “তথাকথিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনকারীরা ইসলাম ও পাকিস্তানের শত্রু। ” (the daily songram 12 august , 1971 )
সেপ্টেম্বরের প্রথমদিকে তিনি রাও ফরমান আলির সাথে বৈঠক করেন বুদ্ধিজীবী হত্যা প্রসঙ্গে।
তিনি ছিলেন অন্যতম নীলনকশাকার এই প্ল্যানের।
তিনি একসময় মন্তব্য করে বসেন-
"বিচ্ছিন্নতাবাদীরা জামায়াতকে মনে করতো পহেলা নম্বরের দুশমন। তারা তালিকা তৈরি করেছে এবং জামায়াতের লোকদের বেছে বেছে হত্যা করছে, তাদের বাড়িঘর লুট করছে জ্বালিয়ে দিয়েছে এবং দিচ্ছে। এতদসত্বেও জামায়াত কর্মীরা রাজাকারে ভর্তি হয়ে দেশের প্রতিরক্ষায় বাধ্য। কেননা তারা জানে 'বাংলাদেশ' ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য কোন স্থান হতে পারে না।
জামায়াত কর্মীরা শহীদ হতে পারে কিন্তু পরিবর্তিত হতে পারে না। " (দৈনিক সংগ্রাম, ৬ সেপ্টেম্বর ১৯৭১)-উইকিপিডিয়া।
এরপরও যাদের সন্দেহ আছে তিনি যুদ্ধাপরাধী না , আমার ধারনা তাদের নিজেদের জন্ম পরিচয় সম্পর্কেও সন্দিহান। দিনের আলোর মত পরিষ্কার জিনিশ তারা দেখতে পেয়েও না দেখার ভান করে।
গোলাম আযমকে নিয়ে জামায়াতের মিথ্যাচারঃ
আরেকটা কথা গোলাম আযমকে বলা হয় , তিনি নাকি ভাষা সৈনিক।
জামায়াত শিবিরকে ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা কৌতুক জনগণকে উপহার দেওয়ার জন্য। উনি বায়ান্নতে যা করেছেন তাহলো মাত্র একটা চিঠি পাঠিয়েছিলেন। ৫২ তে তিনি ছিলেন সদ্য রাজনীতিতে যোগ দেওয়া এক তরুণ। সেইসময়ে তার সে চিঠি যে ক্ষমতাসীনদের টয়লেট টিস্যু হিসেবে ব্যাবহারের উপযোগী না - সেটা উনিও জানতেন। এটুকু করে যে কেউ ভাষা সৈনিক হতে পারেনা - সে নিশ্চয়তা পাগলেও দিবে।
হায় রাজনীতি ,
কেউ বুকের রক্ত ঢেলেও নাম পায় না , আর কেউ এমনেতেই দাম পায়।
পরে সামান্য চিঠি পাঠানোর ভুলও বুঝতে পারেন তিনি!!
পাকিস্তানি আমলে ১৯৭০ সালের জুন মাসে, পশ্চিম পাকিস্তানের শুক্কুর শহরে এক বক্তৃতায় বাংলা ভাষা ও ভাষা আন্দোলনের বিরোধিতা করতে গিয়ে বলেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন এক মারাত্মক রাজনৈতিক ভুল এবং তিনি নিজে এই আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত থাকার জন্য দু:খিত। আর একটা কথা বলা হয় উনি অধ্যাপক। কারমাইকেল কলেজে পড়াতেন তিনি। অধ্যাপক এমন আহামরি কিছু না , উনার কাছে!উনি হাজার হাজার বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক নিধনের মাস্টারমাইন্ড।
সেলিনা হায়াত যখন আযমকে হিটলারের সাথে তুলনা করেছিলেন , তখন তার প্রসিকিউটর যায়েদ-আল-মালুম বলেন, “তিনি এমন একজন ব্যাক্তি ছিলেন যার সকল ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ছিল, তাহলে কেন তার একটি কমিটির প্রয়োজন হবে? ---- থলের বিড়াল এমনেতেই বের হয়ে যায়, যতই চাপাচাপি করুন না কেন?
অধ্যাপক আনিসুজ্জামান স্বাধীনতা পরবর্তী তার কর্মকাণ্ড সম্পর্কে বিস্তারিত লিখেছিলেন। সেইখান থেকে সংক্ষেপে বললে যা হয়
তিনি দীর্ঘদিন তার নামের পাশে জামায়াতের ইসলামের আমীর , পুরব পাকিস্তান লিখতেন। এমনকি দেশ স্বাধীন হবার পরও। উনি দেশকেই অস্বীকার করেন। তাহলে উনার নাগরিকত্ব থাকে কিভাবে।
৭২এ তার নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়। ৭৮এ পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে দেশে আসেন। পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হবার পরও দেশে থেকে যান। পরবর্তীতে ৯৪ সালে এ নিয়ে মামলা হলে, তিনি জিতে চান এবং নাগরিকত্ব পান।
তিনি সৌদি বাদশাহ কে বারবার অনুরোধ করেন , যাতে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি না দেওয়া হয় , এমনকি কোন সাহায্য যেন না করা হয়।
তিনি বিদেশে বিভিন্ন স্থানে লেকচারে , বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কথা বলেন। স্বাধীনতার পরে ৭২এ লন্ডনে পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটি গঠন করেন। (বিস্তারিত - দৈনিক প্রথম আলো- মার্চ ১৪,
২০০৮ সংখ্যায়)
রায় এবং অন্যান্য কথাঃ
গোলাম আযমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এর শুনানি এবং দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে থেকে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচার চালিয়ে অবশেষে সেই ঐতিহাসিক(!!) রায় দেওয়া হল। সর্বমোট ৯০ বছরের কারাদণ্ড। জাতির সাথে এক প্রহসন ছাড়া আর কিছুই না।
প্রহসনের ভারসাম্য রক্ষার্থে পরদিনই মুজাহিদের ফাঁসির রায় দেওয়া হয়। জামাই আদরে রেখে রেখে মুঘলাই স্টাইলে খানাপিনা করিয়ে তাকে একরকম খালাসই দিয়ে দেয় চেতনা ব্যবসায়ীরা।
ভবিষ্যৎ অবস্থাঃ
তার ভবিষ্যৎ অবস্থা হতে পারে এরকম , তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্যারলে মুক্তি দেওয়া হবে। তারেক রহমানের মত উন্নত চিকিৎসার জন্য উনি হাজির হবেন লন্ডনে। সেখানে তিনি চিকিৎসার জন্য পুরা আমৃত্যু থেকে যাবেন।
নো প্রব্লেম। এটাই বাস্তবতা। ১৬ কোটি মানুষকে বুড়া আঙ্গুল দেখিয়ে তারাই বারবার জয়ী হবে।
রায়ের পর সরকার সন্তোষ প্রকাশ করে। জনগণ হয় তীব্র হতাশ।
বিতর্কিত গণজাগরণ মঞ্চ এর বিরোধিতা করে। তবে সরকারী ভাইরাসে আক্রান্ত এই মঞ্চের প্রতি মানুষ খুঁজে পায় না আর কোন আবেগ। অথচ একসময় যে আবেগ ছিল হিমালয়ের সর্বোচ্চ চূড়ায়। আজ তা হয়তো নেই। তথাকথিত প্রগতিবাদীরা এদেরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে।
তাদের প্রতি আমার করুণা ছাড়া আর কিছুই নেই। অবশ্য বাস্তবতা তাইই বলতে বাধ্য করেছে।
ইমরান নামক একজন সাধারণ নাগরিকের কাছে এরা মনে হয় জিম্মি। দেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে বলছি - এই মঞ্চকে ঢেলে সাজানো উচিত। লাখ লাখ আবেগী তরুণ কয়েকজনের হাতে জিম্মি থাকতে পারেনা।
এটাও কি সম্ভব?দেশের দুই প্রধান দল যে ক্রিয়াকলাপ দেখালো - তাতে ১৬ কোটি মানুষই অসন্তুষ্ট। অবশ্য অসন্তুষ্ট হয়েই বা কি করবে। আমরাতো অদের কাছে জিম্মি। তাই না?ভেড়ার দলকে ওরা যেদিকে চরায় আমাদেরকেও সেদিকে ঘাস খেতে যেতে হবে।
দৃষ্টান্তঃ
পৃথিবীর সবদেশে যুদ্ধাপরাধীদের কঠিন শাস্তি হয়েছে ।
আমাদের দেশেও তাই হওয়া উচিত। ন্যুরেমবার্গ ট্রায়াল খ্যাত মামলায় ৯০ বছরের অশীতিপর অথর্ব বৃদ্ধকে আদালতে ৯০ মিনিট করে হাজিরা দিতে হতো। যে কিনা অপরের সাহায্য ছাড়া নড়াচড়া করতে পারতো না। এই হচ্ছে দৃষ্টান্ত। বিচারচলাকালীন সময়ে তার মৃত্যু হয়।
তবে, রায় যে মৃত্যুদণ্ড হতো সে বিষয়ে সন্দেহ ছিল না। উইনস্টন চার্চিল বলেছিলেন, যুদ্ধাপরাধীর বিচার পাওয়ার অধিকার নেই। আমরাও তাই বলি। কিন্তু তারপরও আমরা তাদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছি। আমরা উদার জাতি আমরাও তাদের এই সুযোগ দিয়েছি।
কিন্তু,আমরা তাদের এই সুযোগের অপব্যবহার করতে দিতে পারি না।
###তথ্যসূত্র
#গোলাম আযম - উইকিপিডিয়া ।
_____________________________________________________
#বিশ্ব মিডিয়ায় গোলাম আযমের রায়
______________________________________________________
#গোলাম আযমের ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
____________________________________________________________
#অভিযোগ - প্রথম আলো
______________________________________________________
#প্রিজন সেলে গোলাম আজমকে প্রতিদিন সরকারি খরচে যে খাবার দেয়া হচ্ছে তার তালিকা!!!!
___________________________________________________________
#গোলাম আযমের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষকে আপিল করতে হবে
___________________________________________________________
#গোলাম আযমের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ
_________________________________________________________
# এক নজরে জামায়াতের ইতিহাস (১৯৪১-২০১৩)
____________________________________________________________
কিন্তু বাস্তবে সেটাই ঘটলো। আমরা নপুংসক জাতি ব্লগ , ফেসবুকে কিছু কাব্যমাখা বিদ্রোহী পোস্ট দিয়ে আমাদের দায়িত্ব(!!) শেষ করলাম। ত্রিশ লক্ষ শহিদের রক্তের প্রতিদান দিলাম এভাবেই!
জাফর ইকবাল বলেছিলেন , যারা নিজের দেশকে ভালবাসার তীব্র আনন্দ অনুভব করেনি , তাদের জন্য আমার করুণা করা ছাড়া আর কিছুই নেই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।