জীবনটা যেন এক বর্ণীল প্রজাপতি
এমনিতে কোন কবিতা রচনা করতে গিয়ে দাঁত ভেঙ্গে যায় আমার। সঠিক শব্দ চয়ন করতে এবং ছন্দ মেলাতে সমস্যা হতে থাকে। অথচ অন্যের একটি কবিতাকে নকল করতে আমার জুড়ি থাকতো না। কোন নামকরা কবিতার প্যারোডি করতে বেশ মজাই লাগতো একসময়। নিজেই নিজেকে খুব বাহবা দিতাম! নিজের গুণে নিজেই মুগ্ধ! ওয়াও!! কি বানাইলাম!!
এরকম একটি কবিতাই আজ শেয়ার করছি।
আমার এক দুঃসম্পর্কের ভাই ছিলো। যে আমাকে প্রপোজ করেছিলো। আল্লাহই জানেন সেটা আদৌ সিরিয়াসলী সে বলেছিলো কিনা। কিন্তু- আমার মধ্যে তখন তার জন্য এতটুকু ভালোবাসাতো কাজ করেইনি উপরন্তু আমি তার সম্বন্ধে বেশ ভীত ছিলাম। কারণ তাকে মনে হতো আসলে সে আমাকে ভালোবাসেনি; এ ধরনের বাক্য বলাটাই বোধহয় তার অভ্যাস।
অর্থাৎ যাকে দেখতো তাকেই...!!
আমার এই ধারণার প্রমাণ পেলাম অল্প কিছুদিন পরেই।
আমি আমার চাচার বাসায় বেড়াতে গিয়েছি। চাচাতো বোন দুটি আমাকে ঘিরে ধরলো, “আপু তুমি খুব সুন্দর চিঠি লিখতে পারো।
আমাদের দুই বোনকে অমুকে জ্বালাচ্ছে। ওকে তুমি একটা চিঠি লিখে দাও এমনভাবে যেন সে আর কোনদিন আমাদেরকে না জ্বালাতে পারে।
“
আমি জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম, আমি যার ব্যাপারে ভীত; এরাও তাকে নিয়েই ভীত।
পরে আমি বসে বসে "সুকুমার রায়" এর কবিতাকে প্যারোডি করলাম।
কবির কবিতাটির নাম সম্ভবত “সুপাত্র”? নাহ, মনে পরেছে। কবিতাটির নাম ছিলো "সৎ পাত্র"।
“শুনতে পেলাম পোস্তা গিয়ে
তোমার নাকি মেয়ের বিয়ে...”
আমার রচিত কবিতার নাম সহ কবিতাটি নিচে দেওয়া হলো-
“প্রেম পাগলা বুড়ো”
শুনতে পেলাম ট্যুরে এসে
তোমায় ধরেছে প্রেমের রোগে,
একসঙ্গে চারটা মেয়েকে
করেছো নাকি অফার প্রেমে?
চারজনকেই শুধু প্রেমে
নাকি তাদের করবে বিয়ে!
একটাই দেয় মাথায় বারী,
থাকবে কি করে চারটা নিয়ে?
ইষ্টি, জয়া, শোভা, আলো
সবাইই কি তোমার জানা মেয়ে!
সবাইই চেনামুখ, চাও যদি
ঠিকানা এনে দিতে পারি চেয়ে!
মন্দ নয় ওরা পাত্রী ভালো,
রঙ যদিও আছে ফর্সা-কালো;
হাজার গুণের অধিকারী ওরা,
একটাই চাইলে বিয়ে করবে চলো!
অফার করেছো চারজনকেই,
জেনে গেছে ওরা প্রত্যেকেই;
ছুটেছে তাই মুগুর হাতে,
বধ করবে তোমাকে বিয়ের আসরেই।
--------- আমরা তখন ইন্টার এর স্টুডেন্ট। এর কয়েক বছর পরে শুনেছি ওই পোলার বিয়ে হয়ে গেছে। বিয়ে করেছে ওই শোভাকেই। মাঝখান দিয়ে আমাদের জান হারাম করে ছেড়েছে। থুক্কু, আমার না! আমি আর শোভা ছাড়া বাকি দুজনের।
ওরা আবার দু’বোন। আগেই বলেছি সে কথা। ওদের মা খুব কড়া হওয়ায় বেশি সুবিধে করতে পারেনি। হাহাহা!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।