আমি মোটামুটি ভালো কিন্তু সুখি নই। তছারা,হতাশা,একাকিত্ব,স্বপ্ন এগুলো নিয়ে থকি। আমার জীবনের কাঙ্খিত মানুষের পথ পানে বসে আছি জানি সে কখনো আসবেনা তবুও.....................
এক বখাটের হাত থেকে বাঁচাতে মেয়েটিকে বিয়ে দিতে চেয়েছিলো তার পরিবার। গত শুক্রবার বাগদান হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না।
এর আগেই গত মঙ্গলবার শেষ রাতে মা ছোট ভাইয়ের সামনেই মেয়েটিকে ধর্ষণ করে ঐ বখাটে। পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা পরে মেয়েটির লাশ ঝুলিয়ে রাখে বাড়ির পাশের জাম্বুরা গাছে। মাত্র তেরো বছর বয়সেই নিভে গেল মেয়েটির জীবন আলো।
বরগুনার বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা ইউনিয়নের ছোট ভাইজোরা গ্রামে ঘটনা এটি। পুলিশ ও মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা জানায়, স্থানীয় চলাভাঙ্গা দারুসসালাম বশীদিয়া মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল জেনি।
শান্ত ও মেধাবী ছাত্রী হিসাবে এলাকার সবাই তাকে বেশ পছন্দ করতো।
মাদ্রাসায় আসা-যাওয়ার পথে প্রতিবেশি ইউপি সদস্য গোলাম হায়দার হেমায়েত উদ্দীন মৃধার বখাটে ছেলে গোলাম মোশের্দ তাপু জেনিকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতো। জেনির মা তাপুর বাবার কাছে এ নিয়ে বেশ কয়েকবার অভিযোগ করে। এতে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে তাপু।
জেনিকে এসিড নিক্ষেপ, অপহরণ, তার পরিবারকে বাড়ি থেকে উত্খাত করার হুমকি দিতে থাকে তাপু।
একপর্যায়ে মাদ্রাসায় যাওয়া বন্ধ করে দিতে হয় জেনির। জেনিকে লম্পট তাপুর হাত থেকে বাঁচাতে বিয়ের ব্যবস্থা করেন মা। মঠবাড়িয়া উপজেলার টিয়ারখালী গ্রামের এক চাকরিজীবী ছেলের সঙ্গে জেনির বিয়ের কথা চূড়ান্ত হয়। শুক্রবার বাগদানের কথা ছিল জেনির। প্রতিদিনের মত মঙ্গলবার রাতে খাবার শেষে ঘরের মেঝেতে জেনি ও ছোট ছেলেকে নিয়ে মা ঘুমিয়ে পড়েন।
শেষ রাতে বখাটে তাপু জানালা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত জেনির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। মেয়েকে বাঁচাতে মা এগিয়ে আসলে তাকেও উপর্যুপরি আঘাত করে তাপু। আহত মা, মেয়েকে বাঁচাতে তাপুর বাবার কাছে ছুটে যান। তাপুর বাবা জেনির মাকে প্রায় দেড়ঘন্টা আটকে রাখে। মুক্তি পেয়ে তিনি বাড়ি ফিরে দেখেন জাম্বুরা গাছের সঙ্গে জেনির লাশ ঝুলছে।
ময়না তদন্ত শেষে গত বুধবার বিকালে জেনির লাশ দাফন করা হয়। এ সময় সেখানে এক হূদয়বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজন, সহপাঠী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, এলাকাবাসীসহ হাজার হাজার মানুষ সমবেত হয় জেনিদের বাড়িতে। জেনিকে শেষবারের মত এক নজর দেখার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ে তারা। উপস্থিত সবাই এ ন্যক্কারজনক ঘটনার বিচার দাবি করে।
এ ঘটনায় তাপুকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের নামে বামনা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ তাপুর বাবা গোলাম হায়দার হেমায়েত মৃধা (৫০), মা মাকসুদা বেগম (৪২), ফুফা সেলিম মাস্টারকে (৫৫) গ্রেফতার করেছে। কিন্তু প্রধান আসামি তাপু ঘটনার পরপরই পলাতক। ঘটনার তিনদিন পরেও তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। জেনির বাবা অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য মোতালেব হাওলাদার ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।
জেনিরা দুই ভাই, দুই বোন।
জেনির বাবা মোতালেব হাওলাদার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, শুক্রবার জেনির বাগদানের কথা ছিল। প্রয়োজনীয় কেনাকাটাও শেষ। বাগদান অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার তার বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই বখাটের তাপু কেড়ে নিল আমার ফুটফুটে মেয়েটিকে।
’ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।