মানুষ হিসেবে আমরা সবাই খুব একা বাজার থেকে চিনি উধাও। ক্রেতারা প্রতিদিন ছুটছেন বাজারে। আর পেশাগত কারনে সাংবাদিকেরাও। সবার একই কথা চিনি নাই। চিনি দেখি নাই।
কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন-'আমি চিনি গো চিনি তোমারে......'। হ্যাঁ, রবীঠাকুর চিনি চিনলেও আমরা কিন্তু চিনতে পারছি না। কারন বাজারে চিনি নাই।
আসছে রমজান। বাজার থেকে অনকে কিছুই এখন হাওয়া হয়ে যাবে।
চিনি গেছে, চাল গেছে, তেল গেছে...এবার পিঁয়াজ যাবে, ছোলা যাবে, বেগুনি, শশা আরও কতো কীই না যাবে। নিম্নবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্তরা আরো চিঁড়ে-চ্যাপ্টা হবে। তাতে কার কী আসবে যাবে? অতি মুনাফা লোভী ব্যবসায়ীয়ের পেট আরও ফুলে-ফেঁপে উঠবে। তারা প্যানফ্যাসিফিক সোনারগাঁও কিংবা রুপসী বাংলা হোটেলে গিয়ে মদের নেশায় চুর হবে। কিংবা বিদেশে (অথবা দেশেই) গিয়ে শ্বেত রমণীদের বক্ষ খুলে তাতে মধুর মাছির মতো লেহন করবে।
আর সংসারের অভাব মেটাতে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীর স্কুল শিক্ষক রজব আলী সন্ধ্যার পর আরও দুটি টিউশনী বেশি করবে। তার বাড়িতে ফিরতে আরও রাত হবে। ঘামে ভেজা পরিশ্রান্ত শরীরে ঘরে গিয়ে আধপেটা খাবে। লজ্জায় কাউকে বলতে পারবে না বিবাহযোগ্যা মেয়েটিকে সে সালোয়ার-কামিজ কিনে দিতে পারছে না। .......সমাজের এই বৈষম্য, এই পুঁজিবাদ আর ধনতন্ত্র কবে রুখতে সমর্থ হবে সাধারণ মানুষ।
ব্যবসায়ী নামের কিছু মানুষের আনন্দ-ফুর্তির কাছে জীবন হারাতে হবে আর কতো রজব আলীর? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।