আইফোনের নকল চার্জার থেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন ২৩ বছর বয়সী চীনা মা আইলান। প্রযুক্তি খবরভিত্তিক ওয়েবসাইট ম্যাশএবল জানিয়েছে, এ ধরনের আরেকটি দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তি উ জিয়ান এখন কোমায় আছেন।
শুধু চীনে নয়, অনেক জায়গাতেই এখন এ রকম কম মূল্যের নকল চার্জার পাওয়া যাচ্ছে। অ্যাপলের তৈরি চার্জারের দাম প্রায় ২০ মার্কিন ডলার। সেখানে কালোবাজারে এক বা দুই ডলারেই পাওয়া যাচ্ছে এই নকল চার্জারগুলো।
উৎপাদন খরচ কমানোর জন্য ‘সেফগার্ড’ ব্যবহার করা হয় না বলে চার্জারগুলো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছে ম্যাশএবল।
ব্লগার কেন শিরিফ ব্যাখ্যা করেন, ব্র্যান্ডেড চার্জারের ভেতরে একটি সার্কিট থাকে, যা চার্জারে প্রবাহিত বিদ্যুতের ভোল্টেজ কমিয়ে আনে। ফলে ইউএসবি পোর্ট নিরাপদ থাকে। কিন্তু নকল চার্জারগুলোতে এর বদলে সস্তা ফিডব্যাক সার্কিট ব্যবহার করা হয়।
‘ডিজাইনড বাই অ্যাপল ইন ক্যালিফোর্নিয়া’র বদলে এদের গায়ে শুধু ‘ডিজাইনড বাই অ্যাপল’ বা ‘ডিজাইনড ইন ক্যালিফোর্নিয়া’ লেখা থাকে বলে ম্যাশএবলের প্রতিবেদনে বলা হলেও বাংলাদেশে যেসব সস্তা ‘থার্ড পার্টি’ চার্জার পাওয়া যায় তা হুবহু মূল চার্জারের মতো দেখায়।
ফলে বিশ্বস্ত দোকান থেকে চার্জার কেনার পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকায় অ্যাপল পণ্য বিক্রেতা রেড অ্যাপলের স্বত্বাধিকারী নূর হোসেন।
নকল চার্জারগুলো হয় কাজ করে না, নয়তো মোবাইলের ক্ষতি করে। কিছু আবার মোবাইলকে অতিরিক্ত গরম করে ফেলে এবং আগুন ধরিয়ে ফেলে। শিরিফ বলেন, চার্জারের সার্কিটে ৩৪০ ভোল্ট পর্যন্ত বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়, যা মৃত্যু ঘটাতে যথেষ্ট।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।