এইটা আমার ব্লগ। গোলাম মাওলা রনি, আওয়ামী লীগ এর স্ট্রেঞ্জ একটা প্রানি। রনির কথা বার্তা হাস্যরসের উদ্রেক করলেও, হ্যান্স এন্ডারসনের গল্পের অদ্রশ্য কাপড় পরিহিত রাজাকে সেই বালকের মত এক মাত্র রনিকেই বলতে শুনেছি, রাজা ন্যাংটা।
আবুল কে যখন শেখ হাসিনা দেশ প্রেমিক সার্টিফিকেট দিয়েছে তখন, রনির মুখে শুনেছি, আবুল দৌড় দিয়ে মন্ত্রিত্ত পাইছিল, শেয়ার মার্কেট এর পর অর্থমন্ত্রীর বিরুদ্ধের রনির সমালোচনা আমার কাছে জেনুইন মনে হইছে, এবাদেও রনির মুখে অন্যান্য মন্ত্রী মিনিস্টারদের বিরুদ্ধে এমন সব কথা শুনছি, যা একজন রুলিং পার্টি এমপির মুখে চরম অস্বাভাবিক। শেখ হাসিনা কেন রনিকে সহ্য করে যাচ্ছেন, তা একটা চরম একটা বিস্মেয়ের ব্যাপার।
রনির নিজের একটা অনলাইন নিউযপেপার আছে যাতে রনি নিয়মিত কলাম লেখে। তার বেশ কিছু আমি পড়ছি এবং তাতে আমি দেখছি, রনির মধ্যে একটা স্টুপিড ইন্টেলিজেন্স আছে। এবং এই পলিটিকাল এস্তাব্লিশ্মেন্ট এর সুবিধাভোগী এবং বাকি দেশের সুবিধা বঞ্চিত শ্রেণির ইন্তেরেস্ট এর পার্থক্যটা সে বোঝে। এবং পলিটিকাল এস্টাব্লিশ্মেন্ট এর বাকি সবার মত সে ডিলিউডেড না। এবং এইটুকু বুঝতে পারাটাই অনেক বড় একটা গুন হয়ে দারাইছে যেই খানে এইটা হওয়া উচিত ছিল জনপ্রতিনিধি হওয়ার একটা বেসিক যোগ্যতা।
ফর সাম হয়াট রিজন, রনির কথা গুলো বিশ্বাস করতে ইচ্ছা করে, কারন তার কথা গুলোর মধ্যে একটা কনসিসটেন্সি আছে।
কিন্তু, বাস্তব জীবনে গোলাম মওলা রনি কি, সে কি বাকিদের মতই আকণ্ঠ দুরনিতিগ্রস্ত এবং হিপোক্রেট কিনা তা জানার মত এনাফ ইনফরমেশান আমার নাই।
ধরে নেয়া যায়। রনিও একই গোয়ালের গরু। ক্ষমতা অপব্যবহারকারি।
সামনে দুইটা ভাল কথা আর পেছনে কন্ট্রাক্ট টেন্ডার আর পরিবার পরিজন নিয়ে দেশ লুণ্ঠনে মত্ত। এমন না হওয়াটাই অস্বাভাবিক। কারন ,এই পচে যাওয়া গান্ধা সিস্টেম থেকে হঠাত এক খালিফা হারুন-উর-রশিদ পয়দা হাওয়ার কথা না।
এবং জনগণের কথা বলার জন্যে, এই সিস্টেম এর বেস্ট পসিবল বাই প্রডাক্ট হচ্ছে, গোলাম মোওলা রনি বা আন্দালিব রহমান পার্থ-দুইটা ভাল ভাল কথা বলে বটে, কিন্তু ক্ষমতা অপব্যাবহার করা যে দুর্নীতি তা বোঝার মত ক্ষমতা যাদের নাই।
তবুও, যেহেতু জানিনা রনিকে কিছুটা বেনেফিট অফ ডাউট দিতে চাই।
কিন্ত, দরবেশ বাবা কি জিনিষ আমরা জানি। বাংলাদেশের শেয়ার মার্কেট লুণ্ঠন এর হোতা এই সালমান এফ রাহমান। তার বাকি সব বাদ দিলেও এই এউনাইটেড এয়ারলাইনসকে শেয়ার মার্কেটে এনে তাকে অতি মুল্যায়ন করে তা দিয়ে একটা বিশাল প্রতারনা করছে এই সাল্মান রহমান, যার জন্যে অন্য যে কোন দেশে এই লোক এর চৌদ্দ গোষ্ঠীকে ১৪ শিকের ভেতর থাকতে হইত সমস্ত সম্পদ বেচে তার মুল্যে পরিশোধ করে। কিন্তু, সাল্মান এফ রহমান এর জন্যে পুরস্কৃত হইছে। এক কালের ঋণ খেলাফি তার সকল ঋণ পরিশোধ করে, আজ সুফি সাজছে এবং একজন নির্বোধ প্রধানমন্ত্রীর এদ্ভাইযার হিসেবে আছে।
আজকের এই মেডিয়া হাউয গুলো, আমাদের সমাজের অতীব ক্ষমতাধর দের ক্ষমতার এক্সটেনশান মাত্র। ইন্ডিপেন্ডেন্ট বলেন, সময় বলেন, এটিএন বলেন, দেশ বলেন -এরা সামনে যত সুশীল সুশীল ভাব নিক এরা সব তাদের মালিকদের বিজনেস ইন্তেরেস্ট রক্ষার জন্যে কাজ করে যাচ্ছে। এইটাই তাদের এক মাত্র উদ্দেশ্য। এবং কালো টাকা মাত্রাতিরিক্ত বেশি হয়ে গেলে, সেইতাকে লস দেখানোর সব চেয়ে চমৎকার খাত একটা টিভি স্টেশান এর মালিক হওয়া।
ফলে, সালমান এফ এর ইন্ডিপেন্ডেন্ট এর গল্প বিশ্বাস করবো না রনির কথা বিশ্বাস করবো, তার থেকে বড় ব্যাপার হচ্ছে, এইটা ক্লিয়ার এই পুরো নাটকটা কিছু একটা পাওয়ার উদ্দেশ্যে ক্ষমতাশীল দলের দুই ইন্তেরেস্ত গ্রুপ এর লড়াই এর একটা ক্ষেত্র মাত্র।
ফলে, রনি মারছে না সাংবাদিক মারছে, তা মোটেও আসল ব্যাপার নয়, আসল ব্যাপার হচ্ছে, কি নিয়া তারা ফাইট করতাছে।
ওইটাতে কি এবং ওইটাতে কার কি পাওয়ার আছে, অনুসন্ধিৎসু মন তাই জানতে চায়। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।