আর দশ জনের সাথে মিলিয়ে চলতে চেষ্টা করি, চেষ্টা করি অমঙ্গলমকে হারিয়ে দিতে,নিজের দ্বায়িত্ব নিজ থেকে পালন করতে । এমন একটি খেলা কি আছে যেটাতে একদম শারীরিক মানষিক কষ্ট হয় না বললেই চলে ...............। হঠাৎ করে, এমন একটি চিন্তা মাথায় আসতেই ভাবতে লাগলাম সেটা কি খেলা হতে পারে
******** যাতে কষ্টের পরিমান সবচেয়ে কম ( মানষিক ও শারীরিক )
******** ছোট পোলাপান ও পারে খেলতে
******** কোন পূর্ব প্রস্তুতির প্রয়োজন নাই
******** খেলাটি লোকপ্রিয় হতে হবে অর্থাৎ এমন না যে কিছু লোক শুধু খেলাটির সম্পর্কে জানে
অনেক ভাবনা চিন্তার পর বার হলো একটি নাম যার বেলাই উপরের সব কন্ডিশন ই প্রযোজ্য।
তবে এই নামটা বলার আগে ২-৩ টা ক্লু দেই, দেখি আপনারা বলতে পারেন কিনা।
**একত্রে যতজন ইচ্ছা খেলা যায়,
**এখনো গ্রামে এই খেলাটির প্রচলন চোখে পড়ে
** এটা সাধারনত মেয়েরাই খেলে থাকে তবে আমারা খেললেও কোন প্রবলেম নাই।
*
*
*
নামটা কি এখনও বার করতে পারলেন না ?
*
*
*
*
*
যদি পেরে থাকেন তবে মিলিয়ে নিন।
এবার দেখুন এবার নামটা মেলে কিনা।
শাপ-লুডু...(লুডুর অপর পিঠে থাকে)
আপনাদের কাছে যদি এরচেয়েও আরও সহজ কোন খেলার নাম জানা থাকে জানাবেন........।
এবার আসছি খেলাটার কিছু দিক নিয়ে,
প্রথমত, খেলাটার নিয়ম....
আপনাকে একটি ছোট কৌটার(গুলের কৌটার সাইজের) ভেতর একটা ডাইছ রেখে নাড়াচাড়া দিয়ে ফেলে দিতে হবে, যে সংখ্যা পড়বে সেই অংক পরিমান একটি চিহ্ন আগাতে হবে যাকে গুটি বলা যেতে পারে (যার সাইজ বর্তমানের এক টাকার কয়েন সম) যদি গুটি বোর্ডের বাইরে চলে যায় তবে আপনার চাল বাতিল হয়ে যাবে। খেলতে খেলতে যদি কোন সংখ্যায় মই পান তবে আপনার প্রমোশন আর শাপের মুখে পড়লে লেজ পর্যন্ত ডিমোশন।
সর্ব প্রথম যে ১০০ সংখ্যা ছুতে পারবে সে জয়ী।
*** খেলাটি নিয়ে দুটো স্মতি উল্লেখ করি ....।
ছোট বেলাতে আমাদের বাসায় যখন ইলেকট্রসিটি চলে যেত তখন আমরা ফ্যামিলি(আম্মা,আমি,ছোটবোন ও বাসার কাজের মেয়েটি) মিলে এই খেলাটি খেলতাম,প্রথমে লুডু ও পরে সাপ লুডু খেলতাম, ভালোই লাগতো (যদিও এখন, যেকোন ভাগ্যের খেলাই বোরিং লাগে) । আম্মাকে বলতে গেলে হারানোই যেতনা সেম পার্সেন্ট টাইম উনিই জিততেন,আম্মাকে বলতাম তোমাকে হারান সম্ভবনা,উনি খুশি হতেন শুনে,যদিও সেই দিন গুলি পেছনে ফেলে এসেছি।
দেশে বেড়াতে গেলে যখন মামা বাড়ি যেতাম আম্মার সাথে কাউকে লুডু খেলাতে দেখলে আম্মার উপর বেট লাগাতাম।
আসলে আমার মতে উনার লাক বিষয়ক লাক একটু বেশীই ছিল,প্রয়শই ইনি কোননা কোন পার্টি বা অনুষ্ঠানে গেলে কুপন ড্রতে প্রাইজ পেতেন।
আমার মা খুব হাসিখুশি,তাকে আমার খুব ভালো লাগে,হয়তো তিনি ছাড়া আমার আর কোন ভালো বন্ধু নাই, তারপরও কেন যেন আমি মাকে আর মা আমাকে ঠিক বুঝে উঠতে পারি না ততটা- যততা না আমাদের মা-ছেলের ভালবাসার গভীরতা।
আমি তোমাকে এভাবেই হাসি আর খুশি দেখতে চাই, সবার মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা ভালোবাসা সহ ------ধন্যবাদ। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।