ইতিহাসের পেছনে ছুটি তার ভেতরটা দেখবার আশায়
সেই এডিসি হারুণ অর রশিদ এখন যুক্তরাষ্ট্রে! বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে অতি গোপনে তিনি আমেরিকায় চলে গেছেন বলে পুলিশের বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানায়। ওই পুলিশ কর্মকর্তা আমেরিকান নাগরিক বলে পুলিশ প্রশাসনে গুজব রয়েছে। তার স্ত্রী আগে থেকেই সেখানে রয়েছেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এডিসি হারুন চিকিত্সার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন। বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আমেরিকার উদ্দেশে পাড়ি জমান।
ওই পুলিশ কর্মকর্তার দাবি সরকারি খরচে নয়, হারুন নিজের খরচেই চিকিত্সা করাতে গেছেন। তবে তিনি অসুস্থ না হয়েও কেন চিকিত্সার নাম করে দেশ ছেড়েছেন এমন প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান পুলিশ কর্মকর্তা। এ ব্যাপারে গত রাতে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. একেএম নিজাম উদ্দিন বলেন, আমি এ বিষয়ে এখন কোনো কিছু বলতে পারব না। হাসপাতালের পরিচালক এ বিষয়ে জানেন। ডা. নিজাম উদ্দিন আরও বলেন, বিস্তারিত শনিবারে জানতে পারবেন।
এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের কাছে ফোন করা ফোন রিসিভ করেননি। তবে এডিসি হারুন যে আমেরিকায় গেছেন একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা তা শতভাগ নিশ্চিত বলে জানান। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার অপর আসামি মোহাম্মদপুর জোনের এসি বিপ্লব কুমার সরকার গতকাল পর্যন্ত রাজারবাগ হাসপাতালেই ছিলেন।
‘এডিসি হারুন ও এসি বিপ্লব ১৬ দিন ধরে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে’ শিরোনামে গত ২০ জুলাই দৈনিক আমার দেশ-এ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদনে হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট পুলিশ ও ডাক্তারদের বক্তব্য ছিল—দুই পুলিশ কর্মকর্তা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো আহত হননি।
ওপর মহলের নির্দেশেই ঘটনার দিন তারা হাসপাতালে ভর্তি হন। গত ৬ জুলাই হরতালে বিরোধী দলের চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুককে সংসদ ভবনের সামনে নির্মমভাবে পেটানোর পরই এ দুই পুলিশ কর্মকর্তা রহস্যজনকভাবে ভর্তি হন পুলিশ হাসপাতালে। অনেকেই মন্তব্য করেছেন, ফারুককে পিটিয়ে আহত করার পর নিজেদের রক্ষা করতে রহস্যজনকভাবে তারা পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি হন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হারুণের স্ত্রী আমেরিকা প্রবাসী হওয়ায় তিনি অনেক সময় ধরাকে সরা জ্ঞান করেন। স্ত্রী আমেরিকার নাগরিক হওয়ার সুবাদে হারুনেরও রয়েছে আমেরিকান নাগরিকত্ব।
৩-৪ মাস পর পরই তিনি আমেরিকায় গিয়ে থেকে আসেন। পুলিশের ক্ষমতার অপব্যবহার করে মোটা অঙ্কের টাকা কামিয়ে বিদেশে পাড়ি জমানোর চিন্তা ছিল তার। আবার তার ঘনিষ্ঠ অনেকেই বলেছেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের পিটিয়ে আলোচনায় এসে ভবিষ্যতে মিঠা মঈন এলাকা থেকে এমপি নির্বাচনে অংশ নেয়ারও খায়েশ রয়েছে হারুনের।
হরতালে এডিসি হারুন ও এসি বিপ্লব বিরোধী দলের নেতাকে মারধর করেই ক্ষান্ত হননি। ওপর মহলের নির্দেশে এ ঘটনায় শেরেবাংলানগর থানার এসআই নাজমুল করিম বাদী হয়ে উল্টো ফারুকসহ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে মিথ্যা মামলাও করেন।
পরে এ ঘটনায় এডিসি হারুন, এসি বিপ্লবসহ ২০-২৫ জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। আদালত এ মামলা তদন্তে ডিএমপি কমিশনারকে নির্দেশ দেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।