"জেগে উঠুক তারুন্য,জেগে উঠুক স্বপ্ন,জেগে উঠুক মনুষ্যত্ব.........." ১২৭ আওয়ার মুভিটার কোন ফান রিভিউ লিখতে বসি নাই, তবে একটা ফান পোস্ট বটে।
।
ঘটনার সময়কাল মাসখানেক আগের কোন এক রৌদ্রজ্জ্বল দুপুর। ঘটনার কুশীলব আমার এক কাজিন ও তার ছোট্ট দুই সোনামনি।
আমার এই খালাতো বোনকে আমরা আপুনি বলে ডাকি।
আপুনির ব্যস্ত স্বামী মানে আমাদের দুলাভাই ব্যস্ত মানুষ, বাসা বাড্ডায় আর অফিস বনানীতে। আপুনি শ্বশুর বাড়িতে তার আদরের দুই সন্তান নিয়ে থাকেন, সাথে উনার শাশুড়ি। এই নিয়েই সুখের সংসার। কিন্তু আপুনির দুই সোনামনি ধীরে ধীরে বড় হয়ে ঊঠছে আর একটু একটু দুষ্ট ও হচ্ছে। আয়ান ও আরিব এর সেই দুষ্টামিরই একটা বর্ননার নাম "আ নাইন্টি টু মিনিটস ইন দ্য বাথরুম"।
সেই সকালে যথারিতী দুলাভাই অফিসে গেলেন, উনার মা মানে আপুনির শাশুড়ি ও বের হয়ে গেলেন কাজে। বাসায় শুধু আপুনি আর তার দুই সোনামনি। আরিবের বয়স ২ বছর আর আয়ানের বয়স ৫ বছর। এই দুই জনের বর্ননা একটু না দিলেই নয়। এই বয়সের বাচ্চারা একটু টিপিক্যাল হয়, এরাও ব্যতিক্রম নয়, ছোটজন সারাদিন আপন মনে আস্তে আস্তে সারা বাড়ি ঘুরে বেড়ায়, তেমন একটা উচ্চবাচ্চ করে না, কামড়ে দিতে অভ্যস্ত, এটা সেটা মুখে নেয়া তো আছেই,আর বারান্দা দিয়ে বাসার পেয়াজ থেকে শুরু করে মোবাইল ফেলা দেয়াটা তার প্রিয় কাজ।
আর বড় জন "হাইপার একটিভ চাইল্ড"। সারাদিন ছুটোছুটি, চিৎকার, হাত পা ছোড়া হল তার স্বভাব।
তো সেইদিন আপুনি আয়ানকে নিয়ে বাথরুমে ঢুকলেন আয়ানকে গোসল করিয়ে দিবেন বলে, আর আরিব সারা ঘর আপন মনে ঘুরে বেড়াচ্ছে। একসময় এসে দাড়াল বাথরুমের সামনে। এসেই আকামটা ঘটাল, বাথরুমের দরজার ছিটিকিনি আটকে দিল।
ব্যস আর যায় কোথায়? আপুনি বুঝতে পেরে প্রথমে ভড়কে গেলেন। তারপর চিৎকার দিলেন, কিন্তু কে শোনে কার কথা? বাসায় কেউ নাই, রাতের আগেও কেউ আসবে না। সদর দরজা বন্ধ। তারমানে তাদের বাথরুমে থাকতে হবে ততক্ষন। আপুনি শলা দিয়ে,ক্লিপ দিয়ে দরজা খোলার চেস্টা করলেন, তারপর ব্যর্থ হয়ে একসময় আশা ছেড়েই দিলেন।
এদিকে আরিবের চিন্তায় আপুনি অস্থির,সেই বেচারা বাথরুমের বাহিরে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কান্না শুরু করে দিয়েছে। এমন সময় আপুনির মাথায় একটা বুদ্ধি এল, আরিবকে বুঝাতে শুরু করলেন যে ডাইনিং টেবিলের উপর মোবাইল আছে সেটা এনে দিতে বললেন। নানানভাবে বুঝানোর পরে আরিব মোবাইলটা এনে দিল। কেমনে বুঝল কে জানে? এনে দরজার নিচে দিয়ে আপুনির হাতে দিল (দরজার নিচে সৌভাগ্যবশত ফাকা ছিল)। আপুনি দুলাভাইরে ফোন দিল।
দুলাভাই ফোন দিল বাসার নিচতলার বাসিন্দাদের। তারা এসে দেখে দরজা বন্ধ, তারা আবার ফোন দিল দুলাভাইরে, তারপর দুলাভাই বললেন যে বারান্দা দিয়ে ঢুকার উপায় আছে, তারপর তারা সেই শ্রমসাধ্য চোরাপথে ঘরে ঢুকে প্রায় ৯২ মিনিট পর বা ৯০ মিনিট পর বাথরুম থেকে উদ্ধার করে আপুনি আর আয়ানকে। আর বেচা্রা আরিব তো ভয়েই শেষ।
যাই হোক ঘটনার নায়ক অবশেষে আরিবকেই ধার্য্য করা হল। আর ঘটনা আমাদের পরিবারে রটতে বেশি সময় লাগল।
আমাদের কাজিনদের তড়িঘড়ি মিটিঙ্গে সিদ্ধান্ত নিলাম এই ঘটনা নিয়ে একটা মুভি বানাব, নাম দিব এই পোস্টের শিরোনামের মত করে। কেমন হইব???
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।