আমি একজন ফাউ ইঞ্জিনিয়ার.। । । জামায়াত ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছে। আ’লীগও সেই একই কাজ করছে।
আ’লীগ সরকার এখন আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ওপর দাঁড়িয়ে নেই। এমনকি তাদের ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে কোনও পার্থক্য আর নেই।
রোববার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু ভবনের দোতলায় রাষ্ট্রধর্ম বাতিল, ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল আইন করে নিষিদ্ধ, আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও শিক্ষাসহ অন্যান্য মৌলিক অধিকারের আইনি স্বীকৃতির দাবিতে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন এ আলোচনাসভার আয়োজন করে।
বক্তারা বলেন, এ সরকার ক্ষমতায় এসে বাহাত্তরের মূল সংবিধানে ফিরে যাওয়ার যে অঙ্গীকার করেছিল, তা মাত্র লোকদেখানো।
তারা ইসলাম নিয়ে ব্যবসা করতেই এ ইস্যু তুলেছেন।
বক্তারা আরও বলেন, বিএনপি‘র প্রতিষ্ঠাতা মেজর জিয়া সর্বপ্রথম সংবিধান কাটা ছেঁড়া করে ‘বিসমিল্লাহ’ যোগ করেছে। অন্যদিকে জামায়াত ছিলো স্বাধীনতাবিরোধী। তাই সংবিধান ইস্যুতে বিএনপি ও জামায়াতের কথা বলার কোন অধিকার নেই। আর পরবর্তীতে আরেক সেনাশাসক এরশাদ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম প্রবর্তন করেন।
বক্তারা আরও বলেন, নির্বাচনী ভোটব্যাংক সমৃদ্ধ করতেই আওয়ামী লীগ সরকার সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ও বিসমিল্লাহ সংযোজন করেছে। কিন্তু এখন তারা যতই রাষ্ট্রধর্মের লেবাস ধারণ করুক , জনগণ আগামী নির্বাচনে তাদের চিনতে ভুল করবে না।
ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি হাসান আরিফের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এসএম শুভর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি, বাহাত্তরের মূল সংবিধান পুনর্প্রতিষ্ঠা কমিটির আহ্বায়ক ও শিল্পকলা একাডেমীর সাবেক মহাপরিচালক কামাল লোহানী, কমিউনিস্ট পার্টির নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক ডা. লেনিন চৌধুরী প্রমুখ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।