আমি দেখিনি , আমি শুনিনি , আমি বলিনি অনেক কিছুই....। লক্ষীপুর নামক এক জংগলে ছিলো এক সিংহ । দূর্দান্ত প্রতাপশালী। শুধু তার নিজের না তার বউ সিংহীর , তিন বাচ্চা সিংহের মানে পুরা পরিবারের ভয়ে জংগল কাপতো । এমনও দিন গেছে যে তাদের কাউরে খাইতে ইচ্ছা হইলে তারা পুরা পরিবার ঝাপায় পরতো , অন্যসব পশুর উপরতো পরতোই সুযোগ পাইলে জংগলের বাকি সিংহগো উপরেও পরতো।
টুকরা টুকরা কইরা তাদের খাইতো আর না খাইতে পারলে পাশের নদীতে ভাসায় দিতো। কেউ টু শব্দ করার সাহস করতো না ভয়ে।
কয়েক মাস পর পরের কথা । পাশের জংগলের সিংহরা হঠাৎ আক্রমন করে লক্ষীপুর জংগল দখল কইরা নিলো। পুরা পরিবারসহ সন্ত্রাসী সিংহ পড়লো বিপদে।
তাদের ঢুকানো হলো জেলে। পরিবারের এক ছেলে সিংহকে গাছের সাথে ঝুলাইয়া হত্যা করার আদেশ দেয়া হইলো। তারপর অন্য সিংহরা একজনকে রাজা বানাইয়া চলে গেল ।
অনেক দিন পরের কথা গাছের সাথে আর ঝুলানো হয় না , সময় যায় । একদিন হঠাৎ দেখা গেল ছেলেসহ বুইড়া সিংহ জংগলে দাপটের সাথে ফেরত আসলো।
ঘটনা কি ??????
জংগলের ফাজিল শেয়াল খবর ছড়াইলো রাজা সিংহ নাকি পুরা আস্ত একটা তাজা মহিষের বিনিময়ে বুইড়ার ছেলেকে মাফ করে দিছে। এমনকি একবারও চিন্তা করলো না সেইসব সিংহ পরিবারের কথা যারা নিজেদের স্বজাতির হাতে নির্মম ভাবে মারা গিয়েছিলো !!!!!!!!!!!!!!
সম্ভব সবই সম্ভব জংগলে কারন তারাতো আর সৃষ্টির সেরা জীব না যে চিন্তা করবে। তারাতো পশু।
আমিও আজকে নিজেকে পশু মনে করছি কারন তাতে একটু হলেও নিজেকে সান্তনা দেয়া যাবে যে আমিতো আর মানুষ না যে আমি সুস্থ চিন্তা করবো । আসুন আমরা নিজেদের পশু বলে পরিচয় দেই তাহলে হয়তো বিবেকের কাছে কোনো কিছুর জবাব দিতে হবে না , কোনো নোংড়া কিছু দেখে কষ্ট পাবেন না , পাচ বছর পর পর।
আমার একান্ত ক্ষমা প্রার্থনা আইনজীবী নুরুল ইসলামের পরিবারের কাছে । যে পরিবারের ভবিষ্যত আমরা ধংস করে দিলাম। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।