আমি মানুষ
মানুষ কত উন্মাদ আর বর্বর হতে পারে লেখাটি পড়লে বুঝতে পারবেন...... ভারতের মধ্যপ্রদেশের এক গ্রামের পাষন্ড স্বামী তার স্ত্রীর রক্ত পান করেছে তিন বছর ধরে। এতদিন কেউ জানতো না। সইতে না পেরে স্ত্রী নিজেই এ অবিশ্বাস্য ঘটনা ফাঁস করেছে। আজ সোমবার দ্য টাইমস অব ইন্...ডিয়ায় এ লোমহর্ষক উপাখ্যান প্রকাশিত হয়েছে। মধ্যপ্রদেশের দামো জেলার ২২ বছরের স্ত্রী দীপা আরিবার পুলিশকে জানায়, স্বামী মহেষ বিগত তিন বছর ধরে তার রক্ত পান করেছে।
সে প্রতিদিন সিরিঞ্জ দিয়ে তার বাহু থেকে রক্ত বের করে নিতো। মহেশ সেই রক্ত একটি শূন্য গ্লাসে রাখতো এবং এভাবে সে তৃপ্তির সঙ্গে ৩ বছর তার রক্ত পান করেছে। প্রতিদিন সে রক্ত নিতো। দীপাকে সে হুমকি দিতো। বলতো, এ ঘটনা ফাঁস করে দিলে তাকে মেরে ফেলা হবে।
২০০৭ সালে শিকারপুরা গ্রামের দীপার সঙ্গে কৃষি শ্রমিক মহেষের বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক মাস পর মহেষ তার স্ত্রীর শিরা থেকে রক্ত নিতে শুরু করে। রক্ত নিয়ে সে মজা করে পান করতো। মহেষ বলতো, রক্ত পান করায় সে বলবান হচ্ছে। দীপা গর্ভবতী হলেও মহেষ রক্ত নেয়া বন্ধ করেনি।
সাত মাস আগে দীপা পুত্র সন্তানের মা হয়েছে। মা হওয়ার পর সে প্রতিবাদ করতে শুরু করে। দীপা পুলিশকে আরো জানায়, স্বামী রক্ত নেয়ার পর তার মাথা ঘুরাতো। বমি করতো। প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর করা হতো।
অবশেষে এ মাসের গোড়ার দিকে দীপা তার সন্তানকে কোলে নিয়ে স্বামীর বাড়ি থেকে বাপের বাড়িতে পালিয়ে আসে। পিতার বাড়িতে এসে সে পুলিশকে সব ঘটনা খুলে বলে। তবে এখানেও তাকে নিয়ে টানাহেঁচড়া কম হয়নি। শিকারপুরা গ্রামের লোকদের চাপে পুলিশ মামলা নিতে বাধ্য হয়। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।