। ১।
শিপু আর শিউলির তখনও বিয়ে হয়নি। একবার তারা সুন্দরবনের কাছে বেড়াতে গেল। কয়েকদিন হোটেলে থাকার পর ওরা ঠিক করল এক রাত জংগলে কাটাবে।
তো সেই মোতাবেক তারা কাথা বালিশ,খাবার দাবার তাবু ইত্যাদি নিয়ে জংগলে হাজির হল।
খাওয়া দাওয়া শেষে তারা ঘুমিয়েও পড়ল। মাঝ রাতে হঠাৎ শিউলি শিপুকে ধাক্কা দিয়ে ডেকে তুল্ল।
শিউলিঃ এই শিপু উপড়েতাকাও আর বল কি দেখছ?
শিপুঃ ইকটু ভেবে শিপু উত্তর দিল, অসংখ্য তারা দেখছি।
শিউলিঃ তা থেকে কি বুঝছো?
শিপুঃ উমমমম! এইটুকু বুঝছি যে এই বিশ্বভ্রক্ষ্মান্ডে লক্ষ লক্ষ গ্যালারি আর কোটি কোটি গ্রহ রয়েছে,চাদের আকার দেখে বুঝতে পারছি যে আজ দ্বিতিয়া বা তৃতিয়া।
শপ্তর্শি মন্ডলের অবস্থান দেখে বুঝতে পারছি যে শীত আসতে বেশি দেরি নাই। এবং যেহেতু এতগুলো তারা একসাথে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে তারমানে আকাশ নিশ্চই সম্পুর্ন নির্মেঘ,অর্থাৎ কালকের দিনটি হবে রৌদ্রজ্জল!
শিউলি রেগে বল্ল: তুমি আসলেই একটা গাধা, এতক্ষণেও বুঝতে পারছো না যে চোরব্যটা আমাদের তাবু নিয়ে পালিয়েছে(!)
। ২।
গভীর রাতে বাইরে থেকে কেউ ভীষন কড়া নারছে, গ্বহ কর্তা বিরক্ত হয়ে ঘুম থেকে এসে দরজা খুলতেই দেখেন একটা মাতাল -পা দুটো টলছে। অত্যন্ত বিরক্ত হয়ে গৃহ কর্তা জানতে চাইলনে -কি চাই?
মাতালঃ আপনে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন যে, আপনি বাড়ি ভাড়া দিতে চান?
-হ্যা দিয়েছিলাম,ইকটু বিরক্ত হয়েই কথাটা বল্লেন গৃহকর্তা।
আপনি লিখেছিলেন যে, মাসে দুই হাজার টাকা ভাড়া চান?
-হ্যা লিখেছিলাম।
বলেছিলেন যে, ভাড়া সংক্রান্ত যে কোন ব্যপারে আপনার সাথে যোগাযোগ করতে?
-হ্যা বলেছিলাম, কিন্তু এই রাত দুপুরে আপনার কি? কর্কশ কন্ঠে জানতে চাইলেন গৃহ কর্তা।
মাতাল টলতে টলতে জবাব দিল -আমি জানাতে এসেছিযে আমাকে আপনি বাদ দিন, অত ভাড়ার বাড়ি
আমি খুজছি না।
। ৩।
এক নিরক্ষর বৃদ্ধ পোষ্ট অফিসের একটি লোককে অনুরোধ করল, পোষ্ট কার্ডে কিছু লিখে দিতে।
পোষ্ট অফিসের লোক বিরক্ত হয়ে বল্লেন - লেখাপড়া শেখো না কেন!!
বৃদ্ধ মাথা নিচু করে রইলেন।
ঠিক আছে কাকে পাঠাচ্ছো তার নাম ঠিকানা বলো।
-বৃদ্ধ সবিনয়ে নাম ঠিকানা দিলেন।
এবার বলো কি লিখতে হবে?
-জি লিখুন, বাবা সুলাইমান, ঈদের শুভেচ্ছা নিও।
সেটা লিখে লোকটি জানতে চাইলেন , আরো কিছু লিখতে হবে?
-ও হ্যা, একটা পুনশ্চ জুড়ে দিন, হাতের লেখা বাজে হল বলে কিছু মনে নিও না।
। ৪।
এক সাংবাদিক মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে দেখলেন স্বামীরা সবাই স্ত্রীদের পেছন পেছন হাটছেন।
এমন কি বেশ খানিকটা দুরত্ব বজায় রেখেই। সাংবাদিক স্ত্রীস্বাধীনতার এই দারুণ অগ্রগতি দেখে বাস্তবেই খুশি হলেন। কয়েক বছর আগেও তিনি যখন এই দেশে এসেছিলেন,তখন দেখেছিলেন স্ত্রীরা সব সময় স্বামীদের পেছন পেছন রয়েছেন।
নারী প্রগতি তে তো আপনারা পৃথিবীর সব দেশকে ছাড়িয়ে গেছেন- কি করে এই অসাধ্য সাধন সম্ভব হল?
একটি মহিলা সাংবাদিকের এই প্রশ্নের জবাবে বল্লেন -নারীপ্রগতি দেখলেন কোথায়? যা দেখেছেন সব ল্যন্ডমাইন এর বদৌলতে,আমাদের দেশ এখন ল্যান্ডমাইন-এ ভর্তি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।