ছাত্রলীগের কাউন্সিলে নব্যগঠিত কমিটিকে ঝুকি গ্রহনের আহবান জানিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ( অত্যন্ত প্রশংসনীয় আহবান) কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হয়তো আগে থেকেই জেনে থাকবে ঝুকি গ্রহনে ছাত্রলীগের জুড়ি মেলা ভার। প্রতিপক্ষের সাথে সংঘর্ষ, চাদাবাজি, টেন্ডারবাজি, হল দখল ইত্যাদি কাজে ইতোমধ্যেই তারা এর উপযুক্ত প্রমান দেখিয়েছে। এসব খবর তো হরহামেশাই খবরের পাতায় দেখা যায়। তবে ফাও খাওয়ার খবরটা এতোদিন খবরের পাতায় দেখা যেত না।
সম্প্রতি সেই সেই খবরও পাওয়া গেল। যদিও এই অভ্যাস কিন্তু তাদের মোটেও নতুন না। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হওয়ার সুবাদে ক্যাম্পাসের বাইরের আরামবাগ হোটেলে (ক্যাম্পাসের ত্রিসীমানায় একমাত্র খাবার হোটেল) মাঝেমধ্যে খাওয়া হয়। সেখানে প্রায়ই দেখি ছাত্রলীগের স্বনামধন্য নেতারা পেটপুরে খেয়েদেয়ে কোনো বিল না দিয়েই চলে যাচ্ছেন। বিল চাইলে তারা বলেন বিল ক্যাম্পাসের ভেতর পাঠিয়ে দিতে।
(বিল আনতে ক্যাম্পাসের ভেতর গেলে কি দশা হবে তা পাঠক অনুমান করে নিন)।
আর সম্প্রতি ছাত্রলীগের কাউন্সিলের সময় ফাও খাবার না পেয়ে অনুরাগ রেস্তোরায় কি ঘটনাই না তারা ঘটিয়েছে তা তো সবাই জানেন।
শুনেছি এবার কাউন্সিল শেষে নাকি প্রথা অনুযায়ী ভোর বেলায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিতে যেতে পারেনি ছাত্রলীগের নব্যনেতারা। কারন নাকি ঘুম থেকে উঠতে পারেন নি। এত ফাও খাবার খেলে এমন মধুর ঘুমতো আসবেই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।