আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেশ বাচাও, যুদ্ধাপরাধী বাচাও আর মুছলমান বাচাও।

কবঠ হিন্দু ও মুসলমানের রায়ট এদেশে আর সম্ভব নয়। তার যথেষ্ট কারণও আছে। সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরুর সমস্যা। দেশে হিন্দুর সংখ্যা এতই অল্প যে, হিন্দু মারায় এখন আর আগের মজা নেই। বিত্তবানরা সাতচল্লিশের পরই পগার পার।

বাকী যা আছিল পাকিস্তান আমলের হুজ্জুতিতে ওখন নাই বললেই চলে। তাই জামাতবিএনপির বিদগ্ধ বুদ্ধিজীবি সম্প্রদায় নতুন একটি র্টাম আবিস্কার করেছেন। বিষয়টাকে উস্কে দিতে পাড়লেই মানবতাবাদী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়াটাকে বাধাগ্রস্থ করা যাবে, তাতে কোন সন্দেহ নাই। আস্তিক ও নাস্তিকের মধ্যে একটি যুদ্ধা বাধিয়ে দেয়া গেলেই কেল্লাফতে। বাঙ্গালী হিন্দুদের বারো মাসে তের পার্বন।

আর বাঙ্গালী মুসলমানদের তের যোগ তের ছাব্বিষ পার্বন। ওরা পুজা না করলেও পুজা মন্ডপে যাওন চাই ই চাই। রক্তের জিনের মধ্যে মিশে আছে বাঙ্গালীয়ানার সেই পুরানো ঐতিহ্য। অতীতে ফিরা যাওন গেলে দেখন যাইত হয়তো দুইতিন পুরুষ আগেও ওগো চোদ্দপুরুষ হিন্দু আছিল। যাউক বাবা বাচাইছে, নিয়মটা নাই, থাকলে কি হইত ভাবেন, কেউ বুকে হাত দিয়া কইতে পারত না আমরা সৈয়দ বংসের।

সৈয়দরাও বাচ্ছে, বাঙ্গালীও বাচ্ছে, আল্লাও বাচ্ছে। তারপর আছে বাঙ্গালীর পয়লা বৈশাখ, ২১ ফেব্রুয়ারী, ৭মার্চ, ১৭ মার্চ, ২৫মার্চ, ২৬মার্চ, ১০ এপ্রিল, ১৭ এপিল, ১৬ ডিসেম্বর আরো কতো কি। নতুন ফসল উঠনের উৎসব, শীতের পিঠা খাওয়ার উৎসব আরো কত কি। ওরা হাজার চেষ্টা কইরাও বাঙ্গালীরে এগিনিরতে আলাদা করতে পারে নাই। ২১ শের যে বেদী বা মঞ্চটা আছে, ওইটারে ওরা দেবী কইতেই ভালবাসে, তা বাসুক।

লাঠি ওয়ালার লাঠি ধরন যায়, কথা ওয়ালার কথা ধরন য়ায় না। পুজাতেও ফুল লাগে, ২১শের বেদিতেও ফুল দেয়। এইটা পুজা নয়তো কি? ওরা সবটার মধ্যেই পুজা দ্যাখে। আলপনা তো বাঙ্গালীয়ানার একটা সোন্দরর্য। শিল্পী, রং, তুলি আর ক্যানভাসে অপুর্ব সমম্নয় যেন বাঙ্গালীর আলপনা।

পুজাতেও আলপনা আকে মালাউনরা। কি একটা বেসম্ভব জ্বালার মধ্যে যে ওরা আছে তা ঠিক ভাবে না ভাবলে, আপনে বুঝতেই পারবেন না। কষ্টগুলি কত কঠিন। যদিও আল্লা পরিস্কার কইরা কইয়া দিছে পবিত্র কোরান শরীফে " তোমরা তোমাদের ঈমানের রজ্জুটা শক্ত করিয়া ধরিয়া রাখ তিনি অর্থাৎ আল্রাই তার ধর্মকে হেফাজত করবেন"। মাগার কে শোনে কার কথা।

ওরা তো আর কোরান শরীফ পড়েও না, এগিনি জানেও না। ওরা শুধু জানে ছাইদি ছাবে, বিল্লাল ছাবে ছব জানে, ওরা জেহাদ করতে যখন বলছে। হেইডাই করতে হইব। ধর্মভীরু জাতী বাঙ্গালী। এর মধ্যে ইতর ও ইতরামির সব জানে জামাতবিএনপি।

ওগো ইতর গুলি ইতিমধ্যেই কিছু কিছু কামিয়াবি অর্জন করছে। বরিশালের সব নাস্তিক ব্লগারগো অবাঞ্চিত করছে বরিশালের ধর্মপ্রান জামাতবিএনপিরা। এই ভাবে একে একে সব জেলা দখল করতে পারলেই কামটা হইয়া গেল। মানুষ বানাইছে আল্লায়। আল্লায় এইখানে কোন বিভেদ করেন নাই।

সবতেরেই সমান খোরাক দিতাছেন। ওবামার আমিরিকা থিকা শুরু কইরা সৌদি আরব সবাইরেই আল্লাই খাওয়ায়। পার্থক্য একটাই ওবামারা নিজেরাও খায় অন্যগো কথাও চিন্তা করে অর্থাৎ মানুষের উন্নয়নে ওরা বিলিয়ন বিলিওন ডলার ব্যায় করে উপকার হয় মানবজাতীর আর সৌদির মুমিন গুলান আমিরিকা ইংলেন্ডে গিয়া ছি ছি যা যা করে হুনলে আমার কাটা সোনাটা আবার বুজাইয়া ফালাইতে ইচছা করে। এই সকল গেলমান গুলির শিষ্য হইল গিয়া জামাতবিএনপির ইতরগুলান। ওখন দেশ জুইরা যদি আস্তিক নাস্তিকের যুদ্ধটা বাধায়া দেওন যায় তো জামাত বিএনপিরে পায় কেঠা।

দেশ যাক রশাতলে, সেনা নামুক দেশ জুরে। হিন্দু ও নাস্তিকগো খতম কর এক লগে। দেশ বাচাও, যুদ্ধাপরাধী বাচাও আর মুছলমান বাচাও। এই হোক আমাদের অংগিকার। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।