আমার বড় ভাই এর ছেলে। ওর নাম আনন্দ। পড়ে ক্লাস ফোর এ। ওর মা এক মাসের জন্য তাকে দাদুবাড়িতে রেখে গেছেন দেশের বাইরে অফিসিয়াল কাজে।
তো তার সাথে আমার দারুন সখ্যতা।
আমি একদিন দুপুরে তাকে বললাম । আনন্দ তুমি আলাদীনের আশ্চর্য্য প্রদীপের গল্প জানো?সে বললো হ্যাঁ! মনে পড়ে গেলো আমার ছোটবেলা। সেসব দিনে প্রায়ই ভাবতাম আমি এমন একটা প্রদীপ পেলে কি করতাম। কতই না মজা হতো।
আমি তাই আনন্দকে বললাম, বলতো তুমি যদি এমন একটা প্রদীপ পেতে কি করতে? কি চাইতে তুমি আলাদিনের প্রদীপের দৈত্যটার কাছে?
সে ভীষন এক্সাইটেড হয়ে উঠলো।
বললো, ছোট ফুপি কি মজাই না হত! এমন সময় আমার বান্ধবীর ফোন। আমি বললাম, যাও একটা বাংলা রচনা লিখে নিয়ে আসো এই টপিকে। বলে আমি বান্ধবীর সাথে কথা বলতে শুরু করলাম।
প্রায় আধা ঘন্টা পর ফোন রাখতেই সে আমাকে তার লেখা রচনাটা ধরিয়ে দিলো হাতে।
রচনা-
আমি যদি হঠাৎ একদিন একটা আলাদীনের প্রদীপ পেতাম।
সবার আগে আমি চাইতাম আলাদীনের চাইতেও সুন্দর একটা রাজপ্রাসাদ। তারপর রাজপ্রাসাদের ডাইনিং টেবিলে বসে পিজ্জা,বার্গার, ফ্রেন্চ ফ্রাইজ, ফ্রায়েড চিকেন, আইসক্রিম( বাটার স্কচ) .... ...... .....ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদির অর্ডার দিতাম। তারপর বলতাম ডাইনিং টেবিলের চারিপাশে পিজাহাট, কে এফ সি, আর মুভেনপিক এর শপ বসিয়ে দিতে।
তারপর নিজের রুমে গিয়ে দৈত্যকে বলতাম পি এস, ৩,৪,৫,৬,৭,৮ সব এনে দিতে।
এর পর একটা এ্যারোপ্লেন এনে দিতে বলতাম বাড়ির ছাদে।
এত টুকু পড়ে আমি বললাম এ্যরোপ্লেন কেনো? তোমার কি ম্যাজিক কার্পেট ভালো লাগেনা?সে বললো না না যদি পড়ে যাই কাৎ হয়ে। সে যাইহোক, আমি আমার পড়া শুরু করলাম আর এরপর যা পড়লাম তাতে আমার চক্ষু চড়কগাছে উঠলো।
সে লিখেছে, এরপর এ্যরোপ্লেন নিয়ে আমি আঁকাশে উড়ে উড়ে রাজকুমারী জেসমিনকে খুঁজে বের করতাম।
জেসমিনদের রাজপ্রাসাদের ছাদে নেমে। তার ঘরে ঢুকে তাকে ঘুম থেকে তুলে ল----ম----বা------ এক কিস দিতাম।
তারপর তাকে বিয়ে করে নিয়ে আসতাম আমার রাজ প্রাসাদে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।