কী আর কমু, হেহ্...!! বিষয়টি দুই বছরের পুরোনো। আমার কাছে নতুন ঠেকল, তাই শেয়ার করলাম। কমন পড়লে ফুটেন।
জোনাকিরা বোধ জানে না যে ওদের মত আরো চিজ আছে। ওদের জানাতে পারলে ওদের দম্ভটা কমবে।
আবার উল্টাও হতে পারে, হয়ত খুশি হবে তাদের মত সৃষ্টির কথা জানলে। তবে যার কথা বলা হচ্ছে সে জোনাকিদের আত্মীয়ের মধ্যে পরে না । বিবর্তন ক্রমের একেবারে শুরুর দিকেই ওরা পৃথক হয়ে গেছে। হ্যা, বলছি এক প্রকারের মাশরুমের কথা। যার দেহ থেকে আলো ছড়ায়।
একেবারে জোনাকির মত করে। আমি এর নাম দিলাম দিপ্তী-মাশরুম । এরা পর্যাপ্ত অক্সিজেন ও পানির সরবরাহ পেলে দিন-রাত চব্বিশ ঘন্টাই আলো ছড়ায়। শিখাহীন আলো, ইংরেজিতে যাকে বলে Glow।
ব্রাজিলের রেইনফরেস্ট এ সম্প্রতি দিপ্তী-মাশরুমের দেখা মেলে ২০০৯ সালে।
তবে মজার ব্যাপার হল এ জাতীয় ছত্রাক গুলোকে কেউ কেউ অশুভ মনে করেন, Ghost-Mashroom নামেও "এর দুর্নাম" রয়েছে।
বাকি অংশটুকু অত্যুৎসাহীদের জন্য:
নাম: Glow in the dark Mashrooms.
বৈজ্ঞানিক নাম: Neonothopanus gardner
ড. ডেজারডিন ও তার সঙ্গী ক্যাসিয়াস স্টিফানি এই ছত্রাকটি ২০০৯ সালে আবিস্কার করেন। এটি ছিল সানফ্রান্সিসকো বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রজেক্ট। এ প্রজাতিটি যে নব্য আবিষ্কৃত তা কিন্তু নয়। জীববিজ্ঞানীরা জানতেন এর সম্পর্কে।
তবে গত ১৭২ বছরে এটিকে দেখা যায়নি। সর্বশেষ দেখা যায় ইংল্যান্ডে যখন এটিকে নিয়ে বাচ্চারা খেলছিল।
এটিকে তারা এটি নিয়ে গবেষণা করেন এবং পূণঃ শ্রেনীবিন্যাস করেন। গবেষণার ফল Mycologia জার্নালে প্রকাশিত হয়। মাশরুমটি কিভাবে আলোক আভা ছড়ায় তা নিয়ে যথেষ্ট গবেষণা হলেও কোন নির্ভরযোগ্য ফলাফল পাওয়া যায়নি।
বিজ্ঞানীরা মনে করেন এদের দিপ্তী তৈরির প্রক্রিয়াটি জোনাকির মতই। জোনাকি luciferin নামক যৌগ এবং luciferase এনজাইমের রাসায়নিক মিশ্রনের মাধ্যমে দিপ্তী উৎপন্ন করে। কিন্তু এই ছত্রাকগুলোর শরীরে luciferin বা এই জাতীয় রাসায়নিক পাওয়া যায়নি।
এখন প্রশ্ন কেন এই আলো? একটি সাধারন ব্যাখ্যা হচ্ছে, আলোক সংবেদনশীল কীটপতঙ্গ এর দ্বারা আকৃষ্ট হয় এবং স্পোর বিস্তারে সহায়তা করে। কিন্তু সবার ক্ষেত্রে এ ব্যাখ্যাটি খাটে না।
ফক্সফায়ার নামক মাশরুম এর মাইসেলিয়মেও (অযৌন অঙ্গ) দিপ্তীমান কোষ দেখা যায়। এক্ষেত্রে আকৃষ্ট পতঙ্গ ছত্রাকটির ক্ষতিসাধন করে। নিচে ফক্সফায়রের ছবি দিয়ে দিলাম:
নিচে গবেষণাগারে Neonothopanus gardner এর মাস কালচার ও হাইফার ছবি:
যে জলে আগুন জ্বলে :
না হেলাল হাফিজের কাব্য কান্নায় আমরা কাঁদবো না ।
এইটা ফেস্বুকের যুগ। প্রেমের এত আকাল পড়ে নাই।
আপনি যেহেতু ব্লগটায় ঢুকতে পেরেছেন নিশ্চয় জেলিফিসের নাম শুনে থাকবেন। আর এ তো ডিসকোভারি প্রায়ই দেখায়। এ নিয়ে বকবক করার সময় নাই। ছবি দিয়ে দিলাম।
দেখুন- যে, জলে আগুন জ্বালায়:
উল্লেখিত জীবগুলো ছাড়াও চল্লিশটিরও বেশি বায়োলুমেনিসেন্ট গণ রয়েছে।
সবাই নিজ ভূবনে আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে। মানুষও কি কম যায় নাকি?
মোটেও না তবে আমরা নিজেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখি না ছড়িয়ে দেই চারিদিকে। এবার যার যার সংগ্রহে থাকা গান টা চালু করে দেই-
”আলো আমার আলো
ওগো আলোয় ভূবন ভরা
আলোয় নয়ন ধোয়ায় আমার
আলোয় হৃদয় হরা”.........................।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।