নিজের সম্পর্কে লেখার কিছু নেই । সাদামাটা । কবিতা যারা ভালোবাসেন না, দূর্বোধ্য মনে হয় তাদের জন্যে … উৎসর্গিত ।
অন্তমিল নেই, তবুও ছন্দ আছে । খুঁজে পাবেন পড়ার স্টাইলে ।
যে ডাক শুন্যে ফিরে আসে
এঁদো গলি, দু’টো দোকান, খানকয়েক রিক্সা পেড়িয়ে
একটা হেঁদো পুকুর ছাড়িয়ে জামরুল গাছটির নীচে
যখন তোমার দরজায় দাঁড়ালুম,
তখন দুপুর।
ঘেমে নেয়ে তখন আমার
একসা অবস্থা । কাধেঁ ব্যাগ
পুরোনো গোটা দুই জামা
মুখে খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি
দরজায় কড়া নাড়ি।
সময় যায় –
দেখি ঘরের পিছে আগাছার বন
বেড়েছে অনেক, ভাঙা বেড়া পড়ে আছে
কাত হয়ে আরো বা’দিক ।
অযত্নের ছাপ সবখানে বড়ই দরিদ্র মনে হয়,
এতো দরিদ্র কি ছিলেম আমরা কখোনও !
আজ ছাড়া পেয়েছি জেল থেকে
‘কতোদিন দেখিনি তোমায়’
মনে হলে বাড়ীর পথেই হাটা ধরলুম ।
সম্বল ছিলোনা তাই হাটতেই হলো,
ভয ছিলো তুমি আছো কি নেই !
গরজ বড় বালাই,
ভযকে তাড়াতে হলো জোর করে
নিজেকে বোঝাই, যাবে কোথা আমায় ছেড়ে !
হাটুতে ব্যথা, শরীরে ক্লান্তি নিয়ে
অনেক দুরের পথ পাড়ি দিয়ে
তোমার দরজায় দাঁড়ালুম কড়া নেড়ে তাই ।
সময় যায়, দরজায় দাঁড়ায় না কেউ –
তুমি কি আমাকে দেখে চম্কাবে,
চেনা চেনা মনে হয় ভাববে এমন ?
বলবো, চিনতে পারছোনা,
আমি যে তোমারি জয়নাল ।
থমকাবে ? ভ্রু’তে পরবে ভাজ ?
তারপরেই স্বর্গের হাসি নিয়ে মুখে
ঝাঁপিয়ে পড়বে বুকে ?
লুঙি দেবে, এগিয়ে দেবে গামছাখানি
বলবে, স্নান করে এসো
গায়ে বড় বেশী গন্ধ লেগে আছে !
ভাত বেড়ে দেবে মাটির শা্ণ্কিতে
ইস..স্.. কতোদিন খাইনি পেট পুরে
এমন যত্নে খাওয়া ।
হাত পাখা নেড়ে দেবে হাওয়া ।
চোখের পিঁচুটি নিয়ে তাকাবো
জুলুজুলু অপরাধী চোখে, কি দেখছো
অমন করে !
দরজায় কড়া নাড়ি -
শুকনো বাতাস হুহু করে বয় শুধু
ঝরা পাতা উড়ে যায় অনেকদুর ।
‘রহিমা বাড়ী আছো নাকি’ ডাকি
সে ডাক শুন্যে ফিরে আসে ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।