বিশ্ববিদ্যালয়ের টানা ক্লাশ, পরীক্ষার কারনে গত তিন মাস বড়ি যেতে পারিনি। শেষে মায়ের ফোনের কড়াকড়িতে বাড়ি যাওয়ার দিন ধার্য্য হলো হরতালের আগের দিন। ঢাকা- মধুপুর রাস্তার দুরত্ব অপেক্ষাকৃত কম হলেও বাস মালিক, চালক ও হেল্পারদের অতি লোভের কারনে "লোকাল বাস সার্ভিস" থিম টি এখনো এই রুটে বিদ্যমান। অথচ এরা এই লোকাল সার্ভিসের চেয়ে একটা ভালো মানের সার্ভিস চালু করলে বেশী লাভবান হতো বলে আমার বিশ্বাস। যাইহোক এই লোভী মহল টা হরতাল নামক ছুটির সুযোগটা নিয়ে নেয় হরতাল শুরুর আগের দিন।
টানা ৬ দিন ছুটি পেয়ে ঈদের ছুটির ন্যায় ঘরমুখো মানুষ ছুটে নাড়ির টানে। আর এই সুযোগে বাস গুলোতে চলে বাড়তি ভাড়া ও অতিরিক্ত যাত্রী বহনের নৈরাজ্য সাথে আছে জ্যাম। আর জ্যাম!! সেকি জ্যাম- মহাখালী থেকে আশুলিয়া যেতে সময় লেগেছে সাড়ে তিন ঘন্টা ! যাইহোক বাড়ি যেতে মোট সময় লেগেছে বারো ঘন্টা, যেখানে তিন ঘন্টায় সচরাচর যাওয়া যায়। দুই দিন হরতালের পর শুক্রবার ঢাকা ফেরার পথে একই অবস্থা, টানা ৭-৮ ঘন্টা জ্যাম ও ইঞ্জিন কভারের ঘরম অনুভবকরণ !!
আমি খুবই অলস প্রকৃতির একজন মানুষ। দৈনন্দিন জীবনের অনেক কাজই করা উচিৎ যেগুলো আমি করিনা, ব্লগে লেখা সেই তুলনায় অনেক কঠিন।
তারপরেও আজ আমি লিখছি কারন বাড়ি ভ্রমনের এই তিক্ত অভিজ্ঞতটা কারো সাথে শেয়ার করতে না পারায় বুকের ভিতর ঘচঘচ করতেছিল। মনে হয় এটাই আমার জীবনের সবচেয়ে তীক্ত বাস ভ্রমন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।