প্রচলিত কথা আছে, ‘কাউকে বিপদে ফেলতে চাও তো বিয়ে করিয়ে দাও। ’ বিয়ে নিয়ে তাই আমাদের ভাবনার শেষ নেই। বিয়ে তাই অনেকের কাছে রীতিমত ভীতির ব্যাপার—চিকিত্সা বিজ্ঞানে যাকে বলে ম্যারেজ ফোবিয়া। কিন্তু উত্তর ভারতের জিয়না চানার কাছে বিয়ে নিয়ে এসব ভাবাভাবির কোনো ফুরসত নেই।
মিয়ানমারের সীমানাঘেঁষা মিজোরাম রাজ্যের উঁচু পাহাড়ি গ্রামের জিয়না চানার বয়স এখন ৬৭ ছুঁই ছুঁই।
বয়সে তাকে বুড়ো ভাবলেও চানা কিন্তু তেমনটি ভাবেন না। বর্তমানে তার বিয়ে করা স্ত্রীর সংখ্যা মাত্র ৩৯ জন। মাত্র বলছি এ কারণে যে, এ বয়সেও
তার আরও বিয়ের করার ইচ্ছেটা মোটেও কমে যায়নি।
সংবাদ মাধ্যমের ভাষ্যমতে, কেউ আগ্রহী হলে তিনি নাকি আরও কয়েকটি বিয়ে করতে একপায়ে খাড়া। ‘প্রতিদিনই আমি আমার পরিবার বর্ধিত করতে চাই এবং আরও বিয়ে করতে চাই’—বিয়ে এবং পরিবার নিয়ে জিয়না তার মনোভাব প্রকাশ করেন এভাবেই।
১৭ বছর বয়সে চানা প্রথম বিয়ে করেন। তার সেই স্ত্রীর বয়স ছিল তখন তার চেয়ে ৩ বছর বেশি। সেই শুরু। তারপর আর থেমে থাকেনি বিয়ে নামের দিল্লিকা লাড্ডুর পৌনঃপুনিক স্বাদ গ্রহণ করার পালা।
বিয়ের অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করতে গিয়ে চানা বলেন, একটা সময় ছিল যখন আমি বছরে সর্বোচ্চ ১০টি পর্যন্ত বিয়ে করেছি।
চানার ৩৯ স্ত্রীর গর্ভে জন্ম নিয়েছে ৯৪ ছেলেমেয়ে। ছেলেমেয়েদের ঘরে জন্ম নেয়া নাতি-নাতনির সংখ্যা এরই মধ্যে দাঁড়িয়েছে ৩৩। অর্থাত্ বুড়ো চানার পরিবারের মোট সদস্যসংখ্যা এখন ১৬৭।
চানার নিজ গ্রামের চারতলা একটি দালানে ১০০টি রুমে বসবাস করছে পরিবারের সব সদস্য। আর তার স্ত্রীরা থাকেন চানার নিজ বেডরুমের পাশের একটি ডরমেটরিতে গাদাগাদি করে।
তবে স্থানীয়রা জানান, সব সময় স্ত্রীদের অন্তত ৭-৮ জন তার চারপাশ ঘিরে থাকুক—চানার পছন্দ এমনটিই।
১৬৭ সদস্যের বিশাল এ পরিবারের প্রতিদিনের খাবারের চাহিদা মেটাতে প্রয়োজন পড়ে অন্তত ৯১ কেজি চাল এবং ৫৯ কেজি আলু, যার অধিকাংশ পরিবারের সদস্যরা এবং বাকি তার অনুসারীদের অনুদানের মাধ্যমে সংগৃহীত হয়।
১৯৪২ সালে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বনকারী জিয়না চানা পরে নিজেই একটি ধর্মীয় মতবাদ প্রতিষ্ঠা করেন। বহুবিবাহে বিশ্বাসী চানা মনে করেন, বহুবিবাহের মাধ্যমে তার প্রবর্তিত বিশেষ খ্রিস্ট ধর্ম একসময় সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে। আর মূলত এ কারণেই নাকি তিনি ৩৯টি বিয়ে করেছেন! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।