"সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে মোরা পরের তরে", "এ্যান্টি ব্লগারদের ঘৃণা করুন", "দাঁতভাঙ্গা জবাব দেন", "অশ্লীল মন্তব্যকারীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তুলুন", "প্রয়োজনে তাদেরকে ব্লক করুন" সে অনেক আগের কথা। একদা এক শেয়াল বনের ভিতর দিয়া পথ চলিতেছিল। পথিমধ্যে সে দেখিতে পাইলো, এক সিংহ একটি হরিণ শ্বাবক শিকার করিয়াছে। ইহা দেখিয়া হরিন শ্বাবকের মাংস ভণ করিবার জন্য শেয়ালের খুবই লোভ হইলো। সে মনে মনে একটি ফন্দি আটিলো।
যেমন ভাবা, সেই মোতাবেক কাজ। সে অন্য একটি সিংহকে গিয়া বলিলো, সিংহ মহারাজ, আমরা বনের সকল পশু পাখি আপনাকেই এই বনের রাজা বলিয়া জানি ও স্বীকার করি, কিন্তু পথিমধ্যে দেখিতে পাইলাম, অন্য একটি সিংহ নিজেকে এই বনের রাজা বলিয়া প্রচার করিতেছে এবং বলিয়া বেড়াইতেছে যে, সে আপনাকে হত্যা করিবে। এই কথা শুনিয়া সিংহ মহারাজ তো রাগে, ক্রোধে ফাঁটিয়া পড়িতেছে। সে বলিয়া উঠিলো, কোথায় সেই বেয়াদব, যে নিজেকে এই বনের রাজা মনে করে ???????????? আমাকে তাহার কাছে নিয়া চল, আমি তাহার ঘাড় মটকাইয়া চর্বন করিয়া ভক্ষণ করিবো। শেয়াল তো সুযোগ পাইয়াই গেলো।
সে তড়িঘড়ি করিয়া সিংহ মহারাজকে সেই সিংহের কাছে নিয়া দূর হইতে তাহাকে দেখাইয়া দিলো। ওমনি সিংহ মহারাজ আর শিকারী সিংহের মধ্যে তুমুল যুদ্ধ বাধিয়া গেল। এই সুযোগে ধূর্ত শেয়াল তাহার সঙ্গীসাথীদের নিয়া আসিয়া হরিন শ্বাবক নিয়া পলায়ন করিলো।
মূল বক্তব্য ঃ দুই পক্ষের ঝগড়ায় তৃতীয় পক্ষের লাভ হয়।
গল্পের উদ্দেশ্য ঃ দুই প্রধান দল নিজেদের সার্থের জন্য দেশে যাহা শুরু করিয়াছে, তাহাতে কিসের যেন আলামত পাইতাছি।
এই অবস্থা বছরের পর বছর চলিতে থাকিলে দেশে দীর্ঘ স্থায়ী গৃহ যুদ্ধ বাধিয়া যাইতে পারে। সেই সুযোগে যুক্তরাষ্ট্র “জাতী সংঘের শান্তি মিশন” লেবাছ ধারন করিয়া এই দেশে প্রবেশ করিয়া ঘাঁটি গাড়িতে পারে। কেননা তাহারা “সোফা চুক্তি” করিতে ব্যর্থ হইয়াছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।