কবে যাবো পাহাড়ে... কবে শাল মহুয়া কণকচাঁপার মালা দেব তাহারে.... কনকোফিলিপস বোকা না। তাহারা যদি আমাদের মহান রাজনৈতিক নেতাদেরকে যথাযথ মূল্যে খরিদ করে গ্যাস চুরির নীলনকশা পাকাপোক্ত করতে চায়, তারা প্রথমেই বিরোধীদলকে কিনবে, যাতে তারা চুক্তি-স্বাক্ষরের সময় বিশেষ কোনো 'ট্যাঁ-ফোঁ' না করে। তারপর সরকারকে কেনার পালা।
বিএনপি এবং তার জোটের শরীকদের কর্মসূচী দেখে মনে হচ্ছে, তারা ব্যাকগ্রাউন্ডে থেকে নিজেদের হরতাল-ধ্বংসযজ্ঞ দিয়ে মানুষের মনোযোগ অন্যদিকে ঘোরানোর চেষ্টা করছে। অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ছকে জাতীয় স্বার্থ রক্ষার এই আন্দোলনটাকে ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টা চলছে।
বিএনপি ও তার জোট যে হরতালসহ আন্দোলন কর্মসূচী দিচ্ছে, সেটা শুধুমাত্র পানি ঘোলা করার উদ্দেশ্যে। গ্যাস চুক্তির বখরা দুই দলই পাবে। বিএনপি পানি ঘোলা করবে, আর সরকার তাতে মাছ শিকার করবে। সাধারণ মানুষ মুহুর্মুহু হরতালে বীতশ্রদ্ধ হয়ে আনু মুহাম্মদকে গালাগাল দিবে, আন্দোলনে আগ্রহ হারাবে।
এদিকে একটা ফেসবুক প্রোফাইলে দেখলাম আনু মুহাম্মদকে রাজাকার বলে গাল দেয়া হয়েছে।
তিনি নাকি ৭১ এ মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি ছিলেন। তিনি দেশোদ্রোহী। আবার এখন নাকি তিনি ভারতের দালাল। একজন রাজাকার কিভাবে ভারতের দালাল হয়- সেটা বোধগম্য নয়। তবে মূল কথা হলো- বাংলাদেশের রাজনীতির সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হলো কুৎসা রটনা।
আনু মুহাম্মদের বিরুদ্ধেও সেই ধরনের একটা আলামত দেখতে পাচ্ছি।
কে জানে, ভবিষ্যতে কি লেখা আছে। তবে আপনাদের সবার কাছে অনুরোধ: মাঠ ছেড়ে যাবেননা। এখন পিছু হটার সময় নয়। এর একটা শেষ দেখে ছাড়বো।
"স্বাধীন মাটিতে জন্ম তোমার তরুণ,
শোণিতে এনেছ বয়ে দুই হাজার বছর,
তারো আগে নির্বেদ সময়,
তোমার উত্থিত হাতে অনার্যের অন্তহীন লড়াইয়ের স্মৃতি।
তোমাকে জিততে হবে- মনে রেখো
ফেরার সকল পথ বন্ধ হয়ে গেছে-" ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।