মোহাম্মদপুর থানার ওসি আজিজুল হক জানিয়েছেন, সোমবার মামলার পরপরই আসামি ফেরদৌস আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
হয়রানির শিকার ওই নারী কর্মকর্তা জানান, ২০১১ সালের ১৭ এপ্রিল যোগ দেয়ার পর থেকেই মানব সম্পদ ও প্রশাসন বিভাগের প্রধান ফেরদৌস আলম তাকে নানাভাবে হয়রানি করে আসছিলেন।
“প্রথম অবস্থায় খুব বিব্রতবোধ করলে তাকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি। কিন্তু একই বিভাগে কর্মরত থাকায় বিভাগীয় প্রধানকে এড়িয়ে চলা খুব কঠিন হয়ে পড়ে। ”
এড়িয়ে চলার কারণে ফেরদৌস আলম ওই নারী কর্মকর্তার সঙ্গে দূর্ব্যবহার করার পাশাপাশি চাকরিচ্যুত করারও হুমকি দেন বলে অভিযোগ করেন হয়রানির শিকার নারী।
উপায় না দেখে গত বছর ডিসেম্বর মাসে প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক এস এম এ রশিদের কাছে তিনি লিখিত অভিযোগ করেন। নির্বাহী পরিচালক বিষয়টি নির্বাহী কমিটির কাছে তোলার পরামর্শ দিলে তিনি সেখানেও লিখিত অভিযোগ করেন।
“অভিযোগের ভিত্তিতে নির্বাহী কমিটির প্রধান আমাকে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেও গত আট মাসে তা করা হয়নি। বরং আমাকে বিভিন্নভাবে চাকরি থেকে ইস্তফা দেয়ার জন্য চাপ দেয়া হচ্ছিল। পরে উপায় না দেখে গত ১৮ জুলাই আমি ইস্তফা দেই।
”
এরপর সোমবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় এনজিও ফোরামের মানব সম্পদ ও প্রশাসন বিভাগের প্রধান ফেরদৌস আলমের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন ওই অভিযোগকারী।
তার অভিযোগের ভিত্তিতে ফেরদৌস আলমকে প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডেকে নেয়া হয় এবং পরে মামলা গ্রহণ করে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মোহাম্মদপুর থানার ওসি আজিজুল হক বলেন, “বাদি অভিযোগ করেছেন, গত দুই বছর ধরে বিভিন্ন সময়ে তাকে বিভিন্নভাবে যৌন হয়রানি করেছেন আসামি। তার মামলাটি গ্রহণ করে সোমবারই ফেরদৌস আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ”
বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।