বাস্তবতা ফেরী করে বেড়াচ্ছে আমার সহজ শর্তের সময়গুলোকে ১.
স্কুলে থাকতে একবার দিনলিপি লেখার খুব শখ হয়েছিল। তা লেখার জন্য তো একটা ডায়েরি থাকা চাই, কিংবা নিদেনপক্ষে সাদা কাগজের একটা খাতা। একটা ডায়েরি দোকান থেকে কিনে ফেলেছিলাম তখন। কয়েকদিন নিয়মিত লেখার পর আর সেই ইচ্ছা থাকেনি। অনেক অনেক দিন পর মাত্র কিছুদিন আগে সেই পুরনো ডায়েরিটা হঠাৎ করেই আবিস্কৃত হলো আমার সামনে।
হাতে নিয়ে পড়লাম পুরনো সেই লেখা। নিজের হাতের লেখাকেই এখন মনে হচ্ছে অপরিচিত। কতো ছেলেমানুষী লেখাই না লেখেছিলাম তখন। এতোসব হতে চাওয়ার সঙ্গে আজকের অবস্থানের অনেক অমিল। অনলাইনে ব্লগিং চালু হওয়ার পর কোন কোন ব্লগার অনলাইনে নিজের দিনলিপি লিখেছেন।
খন্ড খন্ডভাবে যাপিত জীবনের কথা সেখানে স্থান পায়। এসব অনলাইন দিনলিপি পড়তে খুবই ভালো লাগে। কিন্তু নিজে লেখার সময় আলসেমি পেয়ে বসে।
২.
গত কয়েকদিন ধরেই একটা ব্যাপার মাথায় ঘুরছে। বিষয়টা রোমান্টিকতা নিয়ে।
আমাদের রোমান্টিকতাগুলো কি আরোপিত? জানি এর পক্ষে বিপক্ষে অনেক মত আসতে পারে। তারপরেও কেন জানি মনে হয় আমাদের রোমান্টিকতা অনেকটাই আরোপিত।
৩.
বৃষ্টিমুখর দিন এখন প্রায়শই আমাদের সামনে এসে উপস্থিত হয়। রাতের বৃষ্টি আমার এমনিতেই অনেক প্রিয়। শেষ রাতের বৃষ্টিতে ঘুমানোটাও প্রিয়।
কিন্তু কোন কাজে বের হওয়ার সময় যদি বৃষ্টির মুখোমুখি পড়তে হয় তখন খুব বিরক্ত লাগে। এমনটাই হচ্ছে গত কয়েকদিন ধরে।
৪.
তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে বিতর্ক গত কয়েকদিনের আলোচিত বিষয়। সংসদে বিল পাস করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হলো। সরকার এই পরিস্থিতিতে ঠিক সিদ্ধান্ত নিল কিনা বুঝতে পারছি না।
আদালতের রায়ের ভিত্তিতেই এই বিল পাস। কিন্তু কেন যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকবে কি থাকবে না এই সিদ্ধান্ত আদালত দিতে গেল বুঝলাম না। 'ডক্ট্রিন অব পলিটিক্যাল কোয়েশ্চেন' বিবেচনায় নিয়ে আদালত এই বিষয়ে রায় দেওয়া থেকে বিরত থাকতে পারতো। বরংচ বিষয়টা সংসদের কাছে ছেড়ে দেওয়াই উত্তম ছিল। এখন মনে হচ্ছে বিষয়টা নিয়ে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ বেশ একটা সমস্যায় পড়তে যাচ্ছে।
তেমন সমস্যা হলে তা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য ভয়াবহ ব্যাপার হবে।
৫.
গুগল ট্রান্সলেশন নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে বেশ গুতোগুতি করলাম। গুগলের উল্টা পাল্টা বাংলা অনুবাদ নিয়ে ব্লগে বেশ কিছু পোস্ট এসেছে। সেগুলোও পড়েছি। অনুবাদ ঠিক করার জন্য কিছু কাজও করেছি।
গুগলের বাংলা অনুবাদের মান উন্নয়নে কাজ করার জন্য ফেসবুকে 'গুগল ট্রান্সলেশন ইন বাংলা' নামে একটি কমিউনিটি পেজ খোলা হয়েছে। আগ্রহীরা সেখানে যোগ দিতে পারেন।
৬.
গত কয়েকদিন ধরেই গুগল প্লাসের কথা শোনা যাচ্ছে। ফেসবুকের সঙ্গে পাল্লা দিতেই গুগল একটা স্যোশাল নেটওয়াকিং সাইট খুললো। এর আগেও গুগল বেশ কয়েকবার এই ধরনের উদ্যোগ নিয়েছিল।
অর্কুট, গুগল ওয়েভ, বাজ এর কথা এক্ষেত্রে বলা যায়। তবে এবারের গুগল প্লাস একটু ব্যতিক্রমি মনে হচ্ছে। বিশেষ করে 'হ্যাংআউট', 'স্পার্কস', 'হাডল' অপশনগুলো ইন্টারেস্টিং মনে হচ্ছে।
৭.
অনেকদিন ধরে দুইটা গল্পের প্লট সমান্তরালভাবে মাথায় ঘোরপাক খাচ্ছে। কিন্তু আলসেমি করে কোনটাই লেখা হচ্ছে।
একটার নামও ঠিক করা - 'শিকার'। বাকিটার নাম নিয়ে ভাবিনি। আলসেমি ছেড়ে গল্প দুটি লেখে ফেলতে হবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।