মঙ্গলবার দুপুরে তিনি টেলিফোনে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিকালে স্পিকারের সঙ্গে আলাপ করে এ বিষয়ে জানাব। ”
এরপর বেলা ২টা ২০ মিনিটে জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কক্ষে ঢুকতে দেখা যায় এই সংসদ সদস্যকে।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমার দলের একটি বড় অংশ সালমান এফ রহমানের পক্ষেশ কঃথা বলছে। এ কারণে নৈতিকভাবে আমার মনে হয়েছে আমার পদত্যাগ করা উচিৎ।
যেহেতু এটি সাংবিধানিক বিষয়, এ কারণে আমি স্পিকারের সঙ্গে আলোচনা করতে এসেছি। ”
এর দুই ঘণ্টা আগে রনির নামে এক ফেইসবুক পোস্টে লেখা হয়- “Probably I am going to resign. I feel, I should face the conspiracy as general public. Our media might colored my MP post our my party. In Sha Allah, I would prove what was real fact before the picture.
“I would invite media personalities to make a equal level playing field for me and my opponent. Amar mukh bondho kore to onnokay sujog kore dayar modhay ar ja houk justice, transparency and democracy er nomuna hotay pare na.”
অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য তথ্য সংগ্রহের জন্য শনিবার রনির কার্যালয়ে গিয়ে মারধরের শিকার হন ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক ইমতিয়াজ মমিন সনি ও ক্যামেরাম্যান মহসিন মুকুল।
ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, সংসদ সদস্য রনি নিজেই প্রতিবেদক ও ক্যামেরাপার্সনের ওপর চড়াও হয়ে লাথি মারছেন।
ঘটনার পর ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ রনিকে আসামি করে একটি মামলা করে।
এরপর রনি পাল্টা মামলা করেন, যাতে দুই সংবাদিকসহ ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের অন্যতম মালিক ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমানকেও আসামি করা হয়।
ইনডিপেনডেন্টের করা মামলায় রনি রোববার বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন। হাই কোর্ট থেকে জামিন নেন সনি ও মুকুলও।
পটুয়াখালীর সংসদ সদস্য রনির বিরুদ্ধে এর আগেও সাংবাদিকদের নিগৃহীত করার অভিযোগ রয়েছে।
২০০৯ সালে পটুয়াখালীর গলাচিপায় নদী দখল করে বিপণী বিতান তৈরির কথা বিভিন্ন দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে রনির সমর্থকদের হাতে স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক নিগৃহীত হন। পরে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলাও করেন তিনি।
শনিবারের ঘটনার পর বেসরকারি টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা এক বিবৃতিতে রনিকে বর্জনের জন্য টেলিভিশন কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানায়।
এছাড়া সোমবার প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা রনিকে গ্রেপ্তারের জন্য এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দেন। তার সংসদ সদস্য পদ বাতিলেরও দাবি জানানো হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।