আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যৌন হয়রানির অভিযোগ করায়...

ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে এর কোনো প্রতিকার পাননি তিনি। বরং তাঁকে চাকরিচ্যুত করার ভয় দেখানো হয়েছে। এভাবে মানসিক কষ্টে ভুগতে ভুগতে একপর্যায়ে তিনি চাকরি ছেড়ে দেন।
এমন অভিযোগ তুলেছেন রাজধানীর একটি বেসরকারি সংস্থার একজন নারী কর্মকর্তা। তাঁরই করা মামলার ভিত্তিতে মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ গতকাল সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে ওই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে।


ওই নারীর অভিযোগ, সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে এ ব্যাপারে বেশ কয়েকবার লিখিত অভিযোগ করে কোনো সুরাহা পাননি তিনি। এতে ১৮ জুলাই তিনি চাকরি ছেড়ে দিতে বাধ্য হন।
যাঁর নামে অভিযোগ উঠেছে, তিনি ফর পাবলিক হেলথ নামের একটি বেসরকারি সংস্থার মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান। মোহাম্মদপুরের লালমাটিয়ায় এর কার্যালয়। অভিযোগকারী একই বিভাগের সহকারী মানবসম্পদ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা।


প্রথম আলো ডটকমকে দেওয়া ওই নারী কর্মকর্তার ভাষ্য, তিনি ২০১১ সালের এপ্রিলে ওই সংস্থায় চাকরিতে যোগ দেন। কয়েক দিন পর থেকে ওই কর্মকর্তা তাঁর সঙ্গে অশোভন আচরণ শুরু করেন। তিনি বিভিন্ন অজুহাতে শরীরে হাত দিতেন এবং উত্ত্যক্ত করতেন। নাটক-সিনেমা দেখানোর কথা বলে বাইরে নিয়ে যাওয়ারও জোরালো চেষ্টা করতেন। কুরুচিপূর্ণ প্রস্তাবে রাজি না হলে চাকরিচ্যুত করার হুমকি দিতেন।


এ বিষয়ে গত বছরের ৫ ডিসেম্বর তিনি সংস্থার নির্বাহী পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি সংস্থার নির্বাহী পরিষদের সভাপতির কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। কিন্তু তাঁরা কোনো ব্যবস্থা নেননি; বরং অভিযোগ করায় ওই কর্মকর্তা তাঁকে চাকরিচ্যুত করাসহ বিভিন্ন হুমকি দিতে থাকেন। একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে তিনি পদত্যাগপত্র দিয়ে চাকরি ছেড়ে দেন। কয়েক দিন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকার পর গতকাল মোহাম্মদপুর থানায় গিয়ে এ ব্যাপারে তিনি লিখিত অভিযোগ করেন।


মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। মামলার পর ওই কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ওই নারী কর্মকর্তার ভাষ্য, গ্রেপ্তারের পর সংস্থার লোকজন ফেরদৌসকে বাঁচাতে আপসেরও প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তিনি তা মানেননি।
মোহাম্মদপুর থানার ওসি বলেন, ‘আপসের কথা আমাকেও বলা হয়েছিল। কিন্তু আমি তা নাকচ করেছি।


সোমবার রাতে থানায় গিয়ে ওই সংস্থার বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দেখা যায়। জানতে চাইলে সংস্থার প্রধান (অ্যাডভোকেসি ও তথ্য) জোসেফ হালদার বলেন, ওই কর্মকর্তাকে সংস্থা থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ওই নারী কর্মকর্তার চাকরি ছাড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করিনি। তিনি চাকরিতে বহাল আছেন। ’
অভিযোগকারী নারী বলেন, ‘চাকরি ছাড়ার পর কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।

গতকাল মামলা করার পর ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে সংস্থার লোকজন এখন আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে চাকরি বহাল থাকার কথা বলছেন। ’।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।