আমি একজন পর্যটন কর্মী। বেড়াতে, বেড়ানোর উৎসাহ দিতে এবং বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি। একটি মুখ। একটি স্মৃতি। একটি অনিবার্য বাস্তবতা ।
অসাধারণ আনন্দানুভূতি। সব সময় ঘিরে আছে আমাকে। চোখ বন্ধ করলে ওর মুখ। চোখ খোলা রাখলেও। পৃথিবীর এত সুন্দর, এত আনন্দময় ঘটনার সাক্ষী হয়েছি।
তবুও ওই একটি মুখের কাছে সব কিছু ম্লান। এত প্রত্যাশিত সুখ আমি আর কোথাও খুঁজে পাই না। সে আমার বড় ছেলে। নাজিব মোরতাজা। ওর চোখে তাকালে মুহুর্তে ভুলে যাই সব কষ্ট, না পাওয়ার বেদনা।
ভুলে যাই আমার সব অপ্রাপ্তি -দিনেকের ক্লান্তি। এত প্রিয়মুখ আমার আর দ্বিতীয়টি হতে পারে না। হবেও না হয়তো, আর কখনো।
ছোট বেলার কথা ভাবি। আমার জন্মের পর আমি যার প্রেমে প্রথম পড়ি, তিনি আমার দাদী।
অনেকেরই দাদী আছনে, তবে আমার দাদী যে ভালোবাসা আর বিশ্বাসে আমাকে জড়িয়ে রেখেছেন সে রকম ভাগ্য খুব কম মানুষেরই হয়।
তার পর মা। বাবা। ভাই -বোন। বন্ধুরা।
এবং অন্য একজন। এবং আরো অনেকে। এবং এভাবে বাড়তে থাকা। এরপর একদিন সংসার শুরু। কিন্তু প্রথম সন্তানের মুখ? এক কথায় - অসাধারণ।
সব পিতার ক্ষেত্রের হয়তো এটা সত্য। কিন্তু আমার কাছে একটু বেশি সত্য।
হঠাৎ করেই সন্তানের মুখটা চোখের সামনে ভেসে উঠলে আমি অন্য মানুষ হয়ে যাই। সব পিতাই কি তাই হয়। হতে পারে।
সব পিতার সব সন্তানের জন্য শুভকামনা। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।