আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কোকোর সাজা প্রসঙ্গ----

রফিকুল ইসলাম ঃঃঃ----আরাফাত রহমান কোকোর কারাদণ্ড হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, দুর্নীতির দায়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সন্তানের শাস্তি হওয়া কারও জন্যই সুখকর নয়। সন্তানদের মানুষ করতে না পারলে এমন পরিণতি হবে। এটা রাজনীতিবিদদের জন্য সতর্কবার্তা। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ধানমন্ডির দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ কথা বলেন।

সৈয়দ আশরাফ বলেন, রায় নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি বা রাজনীতি রাজনীতি খেলার সুযোগ নেই। এই রায়কে অনুধাবন করতে হবে, কীভাবে একজন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ছেলের এমন নৈতিক অধঃপতন ঘটল, এত বড় আন্তর্জাতিক অপরাধে জড়িত হলো। তিনি বলেন, ‘এই রায়ে প্রধানমন্ত্রী, আমি বা আমরা যাঁরা রাজনীতি করি, কেউই খুশি নই। এটা আমাদের সামাজিক ব্যর্থতা। আমরা আমাদের সন্তানদের মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারিনি।

’ সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘এ রায়ে উল্লাস প্রকাশ করার জন্য এই সংবাদ সম্মেলন নয়। উচ্চ আদালতে তারেক-কোকো নির্দোষ প্রমাণিত হলে আমাদের চেয়ে বেশি কেউ খুশি হবে না। রাজনীতি করতে গিয়ে আমাদের পুত্র-কন্যারা যদি দুর্নীতিতে লিপ্ত হয়, আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়, তা দুঃখজনক। ’ স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়া হাওয়া ভবন তৈরি করে ক্ষমতার বিকল্প কেন্দ্র বানিয়ে তারেককে সেখানে বসিয়ে দেন। তারেককে বাংলাদেশের রাজনীতি-অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

আমি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মন্ত্রী। তাই বলে আমার মেয়ে আওয়ামী লীগের অফিস বানিয়ে বসবে? দুর্নীতি করবে? খালেদা জিয়া কীভাবে তাঁর ছেলেদের গড়ে তুলেছেন আদালতের রায়ই তার বড় প্রমাণ। ’ সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া ও আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা এবং ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার ঘটনা হাওয়া ভবন থেকে আড়াল করে অন্যদিকে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা করা হয় বলে মন্তব্য করেন তিনি। রায় প্রভাবিত করার অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন এ রায় হয়েছে। ফলে গণমাধ্যমে রায়ের খবর ফলাও করে প্রকাশ ও প্রচার করলেও আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সংবাদ কম কাভারেজ হয়।

প্রভাবিত করার সুযোগ থাকলে তিন দিন আগে বা পরে রায় দেওয়ার চেষ্টা করতাম। ’ তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আদালতের রায় প্রভাবিত করার নীতিতে বিশ্বাস করে না। দেশে এখন আইন ও সাংবিধানিক শাসন রয়েছে। কিন্তু রায়ের পর যেভাবে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করা হয়েছে, তা আইন ও সংবিধানবিরোধী। তিনি বলেন, কোকোর বিরুদ্ধে মামলা আওয়ামী লীগ সরকার করেনি।

গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দুদক এ মামলা দায়ের করে। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের তদন্তে সিমেন্সের অবৈধ কার্যকলাপ উদ্ঘাটন হয়। এ কারণে বাংলাদেশেসহ সারা বিশ্বেই সিমেন্স কালো তালিকাভুক্ত হয়। সংবাদ সম্মেলনে আখতারউজ্জামান, মাহবুব উল আলম হানিফ, দীপু মনি, নূহ উল আলম লেনিন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।