আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১৫০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া গেল সেমুতাং এ

অদ্ভুত পৃথিবী সারাদেশে যখন গ্যাসের জন্য হাহাকার তখন সেমুতাং গ্যাসফিল্ড এলো আর্শিবাদ হয়ে । গতাকাল বৃহস্পতি বার হতে ড্রিলিং এ গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে ,এই গ্যাস কুপটি ছিল পরিত্যাক্ত, ১৯৬০ এর দশকে মানিকছড়িতে সেমুতাং গ্যাস ফিল্ড আবিষ্কৃত হওয়ার পর তখনকার পাকিস্তান অয়েল এন্ড গ্যাস ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি চারটি কূপ খনন করে। পরে সেগুলো পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর কেয়ার্নস পঞ্চম কূপটি খনন করে। কিন্তু গ্যাস উত্তেলন লাভজনক হবে না- এই বিবেচনায় তারাও কাজ বন্ধ করে চলে যায়।

ধারনা করা হচ্ছে এই কুপে মোট গ্যাস রির্জারভের পরিমান ১৫০ বিলিয়ন ঘনফুট ,প্রতিদিন ২-৩ কোটি ঘনফুট হারে এই গ্যাস প্রায় ১৫ বছর পর্যন্ত তোলা সম্ভব। আগামী অক্টোবরের মধ্যে এই গ্যাস চট্টগ্রামে সরবরাহ করা যাবে। এই গ্যাস উত্তোলনের পেছনে সবচেয়ে অবদান বেশি বিগত তত্ত্বাবধায়াক সরকারের ,তখন সেমুতাংয়ের ৫ নম্বর কূপ সংস্কারের পরিকল্পনা করা হয়। ২০০৮ সালের ২২ মে একনেকের বৈঠকে এ প্রকল্পের জন্য ৬৫ কোটি টাকা বরাদ্দের একটি প্রস্তাব অনুমোদনও করা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশের মোট গ্যাস রির্জাভের পরিমান ৫ ট্রিলিয়ন এবং প্রতিদিন উত্তোলন করা হয় ২০০ কোটি ঘনফুট এই হারে গ্যাস উত্তোলন করা হলে আগামী ৬ বছরে এই গ্যাস শেষ হবে ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।