আজ (বুধবার) জাতীয় সংসদে শিরোনামের ওই প্রশ্নটি বেশ পোক্ত হল। কারণ সংসদে জানানো হয়েছে- "নোবেলজয়ী ড. মোহাম্মদ ইউনূসের ক্ষুদ্র ঋণ ফর্মুলার পৌনে ১শ বছর আগেই এ উপমহাদেশে ক্ষুদ্র ঋণ চালু ছিল। কৃষকদের মহাজনী সুদ ও মধ্যস্বত্তভোগীদের হাত থেকে রক্ষার জন্য সহজ শর্তে ১৯০৪ সাল থেকে কো-অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটি এ্যাক্ট জারি হয়। গ্রামীণ ব্যাংক শুধু নারীদের জন্য ক্ষুদ্র ঋণ দিলেও এই এ্যাক্টের আওতায় নারী-পুরুষ সবাই ক্ষুদ্র ঋণ পেতে পারে। "
শীর্ষ নিউজ ডটকম থেকে এ সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ সংবাদটি শেয়ার করলাম।
'গ্রামীণ ব্যাংকের উপকারভোগীদের লিগ্যাল এনটিটি নেই'
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, 'গ্রামীণ ব্যাংকের উপকারভোগীদের লিগ্যাল এনটিটি (আইনি সত্তা) নেই। কিন্তু সমবায়ের উপকারভোগীদের ফরমাল বা লিগ্যাল এনটিটি (আনুষ্ঠানিক বা আইনি সত্তা) রয়েছে। '
বুধবার জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তরে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে এক লিখিত প্রশ্নে নোবেল বিজয়ী ড. মোহাম্মদ ইউনুস আসলেই ক্ষুদ্রঋণের জনক কিনা তা জানতে চান সংসদ সদস্য এ কে এম মাঈদুল ইসলাম। তিনি তার প্রশ্নে বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক আমানত ছাড়া ঋণ দেয়।
এ হিসেবে ড. ইউনূস নোবেল পেলেন এবং নিজেকে ক্ষুদ্র ঋণের জনক হিসেবে দাবি করেন। কিন্তু ১৯০৪ সালের কো-অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটি এ্যাক্ট'র ডি ধারায় স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, লোনস টু মেম্বারস অনলি অন পারসোনাল সিকিউরিটি (সদস্যদের শুধু ব্যক্তি নিরাপত্তার খাতিরে ঋণ দেয়া যাবে)। এতে দেখা যায়, ১৯০৪ সাল থেকেই উপমহাদেশে আমানত ছাড়া পারসোনাল সিকিউরিটিতে ঋণ দেয়ার সুযোগ ছিল। এক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ঋণের ক্ষেত্রে ড. ইউনূসের থিওরী ও ১৯০৪ সালের কো-অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটি এ্যাক্ট'র পার্থক্য কি?
এরই জবাবে সৈয়দ আশরাফ বলেন, এ উপমহাদেশে কো-অপারেটিভ ক্রেডিট এ্যাক্ট চালুর ফলে মহাজনী ঋণদান প্রথা দুর্বল হয় এবং কৃষকরা উপকৃত হতে থাকেন। দর্শণগতভাবে সমবায় এবং গ্রামীণ ব্যাংকের মধ্যে মিল রয়েছে।
তবে পদ্ধতিগতভাবে গ্রামীণ ব্যাংক ও সমবায়ের মধ্যে বেশ পার্থক্য রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সুবিধাভোগী চিহ্নিতকরণ, ঋণের পরিমান, ঋণ দাদন ও আদায় পদ্ধতি এবং সুদের হার নির্ধারণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে সমবায়ের সঙ্গে গ্রামীণ ব্যাংকের পার্থক্য রয়েছে। গ্রামীণ ব্যাংকের উপকারভোগী বিশেষভাবে ভূমিহীন নারীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ। কিন্তু সমবায়ের ঋণ পুরুষ ও নারী, কৃষক-শ্রমিক, শ্রেণী বর্ণ নির্বিশেষে সবার জন্যই প্রযোজ্য। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।