এতকিছু ... ওই সিনেমার জন্যই... ছোটবেলায় একধরনের ছবি পাওয়া যেতো একপাশে ক্যালেন্ডার অন্যপাশে কোন তারকার ছবি। [নাম জানিনা] জেমসের ছবি আমার খুব প্রিয় ছিল। পরে হাসান আর আইয়ুব বাচ্চুর ছবিও কিনতাম। অদ্ভুত সুন্দর এই জিনিসের দাম ছিল মাত্র এক টাকা।
তাছাড়া বিভিন্ন সাইজের পোস্টার পাওয়া যেত সেগুলোও কিনতাম।
বড়গুলো কিনতে পারতাম না। কারন বাড়িতে পোস্টার ঝোলানো হলে কেয়ামত হয়ে যাবে। তাই পোস্টার কেনা হতো তবে ম্যাপ ছাড়া অন্য কোন পোস্টার ঝোলাতে পারিনি।
তৌকির আহমেদ এর ছবিওয়ালা একটা পোস্টার খুব বেশী প্রিয় ছিল্ উনি ওখানে হলুদ রঙের বাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। বিপাশা শমী মিমি ও প্রিয় হয়ে ওঠেন।
শমীর একটা পোস্টার ছিল সেখানে তিনি ফোর হানড্রেড টাইপ একটা ক্যামেরায় চোখ রাখছেন।
ছবি টানানোর ব্যাপারটা ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান ভেদে বিভিন্ন রকমের হয়। যেমন নাপিতের দোকানে বিভিন্ন নায়ক-নায়িকার ছবি রাখা হয়। তবে সেখানে দেশী নায়ক-নায়িকাদের রাজত্বটা বেশী। সাথে দুএকজন হিন্দু দেব-দেবীর ছবি অবশ্যই থাকে।
কারন বেশীরভাগ নাপিতই হিন্দু ধর্মাবলম্বী। থাকে বলছি এই কারনে যে এখনো এটা দেখি। বদলায়নি দেখে ভালো লাগে।
স্টুডিওর দোকানে গরম গরম সব ছবি ঝোলানো থাকতো। এখানে অবশ্য ইন্ডিয়ান নায়িকাদের রাজত্ব।
আর কেউ নাই। এখন আর খুব একটা দেখিনা।
স্কুলের লাইব্রেরীতে শত শত মহামনীষিদের ছবি টানানো থাকতো। ক্যালেন্ডার থাকতো, সাইন্সের বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক ছবি থাকতো নাক কান এসব। আমি প্রাইমারীতে স্কুলে ভর্তি হবার আগেই আব্বার সাথে আব্বার স্কুলে যেতাম মুলত এসব বিচিত্র ছবি দেখার লোভে।
অন্যান্য স্যারদেরকে প্রশ্ন করতাম উনি কে? এটা কী সেটা কি?! উনারা তখনো আমার শিক্ষক হননি। ওটা হাইস্কুল ছিলো।
আগে হোটেলেও ছবি টানানো থাকতো। এখন সেটি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আজ আর দেখা যায় না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।