অযথা ক্যাচাল পছন্দ না, তাই তালগাছবাদীরা দূরে থাকুন আগের দিনের ছি:নেমা তে দেখতাম নায়ক কে বাচানোর জন্য বা বিশেষ কোন উদ্দেশ্য সাধনের জন্য নায়িকারা ভিলেনদের ডেরাতে উদ্দাম নৃত্য পরিবেশন করতেন। আহা কি সুন্দর !!! এসব করে তাদের কি মূল্য বাড়তো না কমতো তা বুঝতামনা। তারা কি নিজেদের বেশ্যার পর্যায়ে নিয়ে যেতো নাকি মুক্তিযুদ্ধের মুভিগুলোর মতো বীরঙ্গনার পর্যায়ে ভাবতো জানিনা। কথা হচ্ছে নায়ক তো বিশাল শক্তির অধিকারী আর ভিলেন ও তো কম যায়না। তাহলে হোক না দুজনের সন্মুখ যুদ্ধ কেন এর প্রতারনার ।
এ যেন নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করা।
উপরের কথাগুলো আবশ্যিক ভাবে এসেই গেলো দেশের বর্তমান অবস্থা চিন্তা করে। যে অবস্থা চলছে বর্তমানে দেশে, দুই নেত্রী সমানে নৃত্য করে যাচ্ছেন আর আমাদের ভূলিয়ে যাচ্ছেন ভবিষ্যত থেকে। না জানি সামনে কোন হিরু!!! হঠাৎ করে এসে কি অবস্থা সৃষ্টি করে। তাদের এই উদ্দাম নাচকে কি নৃত্য নামে অভিহিত করা হবে তা ভাল নৃত্য শিল্পী ছাড়া বলা সম্ভব না।
অন্তত আমি বললে খারাপ কিছু হয়ে যাবে তাই আর মুখ ফুটে বললাম না। .........
তারা কী শুরু করছেন দেশ নিয়ে?? দুজনে চুলোচুলি করছেন আর তাদের দলের লোকেরা বাহবা দিচ্ছে( আসলেই খুব মজা পাচ্ছে)কিন্তু এই অসহ্য যাতাকলে আমাদের মত সাধারণ মানুষের অবস্থা আজ দুঃসহ। এভাবে আর কতদিন চলবে?? সরকার সার্বিকভাবে চেষ্টা করে কিভাবে শোষণ বেশী করা যায়। বাজেটের ফলে কোন একটা জিনিসের দাম কমছে তা তো শুনি নাই , সব কিছুর দাম বাড়লো আর আমাদের সাধারণ মানুষ সেই ঘানি টানতে টানতে ক্লান্ত। দিন গেলে কাল কিভাবে টাকা আসবে কি খাব, সেই চিন্তায় যখন একজনের ঘুম হারাম তখনই আবার দিনের পর দিনের হরতাল কর্মসূচি।
৪৮ ঘন্টা হরতালের কর্মসূচি!!! কিন্তু তারা কি হরতাল করতে পারে? আর বর্তমান প্রেক্ষাপটে হরতাল করে কোন লাভ আছে কি?? দেশের মানুষ জানের ভয়ে রাস্তায় নামেনা আর তারা দাবী করে হরতাল সফল। অদ্ভুত লাগে এই দেশ এখন। যেখানে একটা দিনের ইনকাম একটা মানুষের জন্য বিশাল কিছু সেখানে তারা সেটা বন্ধ করে ছুটির আমেজ দিচ্ছে!!! বাহ্রে আমার বিরোধী দল!!! আমার প্রশ্ন এই ২.৫ বছরে কয়টা হরতাল মানুষের জন্য দেওয়া হয়েছে?? একটা ও না সব তাদের বাড়ি ঘর, পুত্র সন্তান আর দলের জন্য । ওহ তাদের তো মহান বাণী আছেই
দেশের চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে ব্যাক্তি বড় আর ব্যাক্তির প্রিয় ঘর বাড়ি আর সন্তান....
হরতালে বিএনপির কর্মী তেমন দেখাই যায়না। আর সরকারী দল নামতেও দেয়না।
তাহলে তারা মানুষের কষ্ট না বাড়িয়ে অন্য কিছু করুক। খালেদা ম্যাডাম বলুক ৪৮ ঘন্টার অনশন কর্মসূচি। আমরা খাবনা । প্রেসক্লাবের সামনে বসুক। তা তো হবে না।
আর কিছু না পারলে পল্টন ময়দানে বিশাল মঞ্চ করে তারা নাচ পরিবেশন করুক । আমরা সাধারণ জনগণ একটু বিনুদুন পাই।
"নাচ আমার ময়না তুই পয়শা পাবিরে"" নাচ .... নাচ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।