আমাদের বশুবাড়ীর ঘাটের ঐতিয্য আর রক্ষাকরা গেলনা সেখানে াখেন এখন বাজে লোকেরা আড্ডা মারে।
পাষণ্ড স্বামীর বর্বর নির্যাতনে দুটি চোখই নষ্ট হয়ে গেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুমানা মনজুরের। নিজের আদরের মেয়েটির প্রিয় মুখ আর পৃথিবীর সৌন্দর্য্য কোন দিন দেখা হবে না তার। পাঁচ দিনের চিকিৎসা শেষে সোমবার ভারত থেকে দেশে ফেরার পর হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রুমানা মনজুরের বাবা মনজুরুল হাসান এ কথা জানিয়েছেন। মনজুরুল হাসান জানান, চেন্নাইসহ ভারতের দুটি প্রথম সারির হাসপাতালে রুমানকে ভর্তি করা হয়।
বিশেষজ্ঞ ডাক্তররা তার চিকিৎসা করেছেন। তিনি জানান, রুমানার দুটি চোখই নষ্ট হয়ে গেছে বলে ডাক্তাররা জানিয়েছেন। তিনি আর ভবিষ্যতে দেখতে পাবেন বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ডাক্তারা। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন রুমানার বাবা সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা। তিনি মেয়ের ওপর বর্বর নির্যাতনের ন্যায়বিচার দাবি করেন।
আইনের ফাঁক গলিয়ে রুমানার অভিযুক্ত স্বামী সাঈদ যাতে পার পেয়ে না যায় এজন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। এদিকে চিকিৎসা শেষে নিরাশ হয়ে দেশে ফিরে অনেকটা বাকরুদ্ধই ছিলেন ঢাবি শিক্ষিকা রুমানা। নিজের প্রিয় মেয়েটিকে কোলে নিলেও তার প্রিয় মুখটা দেখা হয়নি তার। হয়তো তাকে আরও কোন দিন দেখা হবে না এমনটাই বুঝতে পেরেছেন তিনি। এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকরা তার অবস্থা জানতে চাইলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
তিনি স্বামী সাঈদের বর্বরতার বিচার প্রার্থনা করেন। সাংবাদিকদের ভাই সম্বোধন করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় তাদের সহযোগিতা কামনা করেন রুমানা। প্রসঙ্গত, গত ৫ জুন ধানমন্ডির বাসায় স্বামী হাসান সাঈদের বর্বর নির্যাতনের শিকার হন রুমানা মনজুর। এরপর তাকে ল্যাবএইড বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য গত মঙ্গলবার তাকে ভারতে নেয়া হয়।
গত ১৫ জুন রুমানা মনজুরকে নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের মামলার একমাত্র আসামি তার স্বামী হাসান সাঈদকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবি। দুদফা রিমান্ডে নিয়ে তাকে নির্যাতনের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।