আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তারেক-কোকোকে দুর্নীতির দায়ে শাস্তি পেতেই হবে ॥ হানিফ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার দু'পুত্র তারেক ও কোকোকে দুনর্ীতির দায়ে শাস্তি পেতেই হবে। শুধু বাংলাদেশের আদালতেই নয়, মার্কিন ফেডারেল আদালত এবং সিঙ্গাপুরেও তাঁদের বিরম্নদ্ধে দুনীতির মামলা রয়েছে। বিএনপি-জামায়াত যত ষড়যন্ত্রই করুক তাদের রৰা করতে পারবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবি বিএনপির কাল্পনিক ইস্যু। যুদ্ধাপরাধী ও তারেক-কোকোসহ বিএনপির দুর্নীতিবাজ নেতাদের বিচার বানচাল করতে তারা কয়েকদিন পর পর এক একটি কাল্পনিক ইসু্য সৃষ্টি করছে।

সোমবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউর দলীয় কার্যালয়ে ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৬২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সফলভাবে উদ্যাপনের লৰ্যে শ্রমিক লীগ আয়োজিত প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুব-উল-আলম হানিফ। কাল্পনিক ইসু্য নিয়ে রাজপথে সরকারের বিরম্নদ্ধে অপপ্রচার না করে সংসদে এসে আলোচনা করার জন্য বিরোধী দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, তারেক-কোকোর বিরম্নদ্ধে সরকারের কাছে যেসব তথ্য প্রমাণ আছে তাতে দুর্নীতির দায়ে তাঁদের শাসত্মি নিশ্চিত জেনেই বিএনপি এখন মরিয়া হয়ে কাল্পনিক ইসু্য নিয়ে আন্দোলন ও চক্রানত্ম করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। তবে নন ইসু্যকে ইসু্য বানিয়ে ব্যক্তিগত ও পারিবারিকভাবে খালেদা জিয়াকে লাভবান হতে দেয়া হবে না। তিনি বলেন, আগামী মাসেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরম্ন হবে এবং এ সরকারের সময়েই বিচার কাজ শেষ করা হবে। মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, নির্বাচিত সরকারের অধীনেই এবং স্বাধীন ও নিরপেৰ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এর কোন বিকল্প নেই। তবে বিএনপির কাছে যদি কোন বিকল্প প্রসত্মাবনা থাকে তাহলে তা সংসদে এসে জানাতে পারে। হানিফ বলেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন কথার অপব্যাখ্যা দিচ্ছেন। তিনি খালেদা জিয়ার উদ্দেশে বলেন, অহেতুক রাজপথে সরকারের বিরম্নদ্ধে অসত্য তথ্য দিয়ে ও অপপ্রচার করে দেশের জনগণের মনে বিভ্রানত্মি ছড়াবেন না। নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরম্নল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, বড় ভাইদের সঙ্গে আপনাদের (বিএনপির) সম্পর্ক ভাল।

তাদের সাহায্যে আপনারাই ৰমতায় আসেন। আওয়ামী লীগ তাদের সাহায্যে ৰমতায় আসে না। তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক ইসু্যতে বিরোধী দলকে আলোচনায় আসতে হবে। রায়ের ২য় অংশে পরিষ্কার লেখা আছে, আরও দুটি নির্বাচন করতে হলে সে সিদ্ধানত্ম জাতীয় সংসদে পাস করাতে হবে। তাই বিরোধী দল সংসদে না এসে রাজপথ গরম করে কোন ফল পাবে না।

সংসদে তাদের আসতেই হবে। শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি ফজলুল হক মন্টুর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবর রহমান সিরাজ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রায় রমেশ চন্দ্রসহ শ্রমিক লীগের নেতৃবৃন্দ। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।