সফটয়্যার ইঞ্জিনিয়ার
অর্নব সাহেব একটি প্রসিদ্ধ সফটওয়্যার কোম্পানীর মালিক। কিছুদিন থেকে হাতের কাজের চাপে এতো বেশী যে কোম্পানীর পক্ষে সামাল দেয়া মুসকিল হয়ে পড়েছে। অর্নব সাহেব খুবই চিন্তিত। আমি অফিসে ঢুকেই ওনাকে জিজ্গেস করলাম কি ব্যাপার অর্নব সাহেব? আপনাকে বেশ উদ্দিগ্ন মনে হচ্ছে। অর্নব সাহেব আমাকে কোম্পানির কাজের চাপের কথা বললেন।
সবশুনে আমি ওনাকে একটি রোবট প্রোগ্রামার বানাতে পরামর্শ দিলাম। অর্নব সাহেব প্রথমে রাজি হলেন না। কারন একটা রোবট বানানোর যে খরচ, তা দিয়ে দুইজন হিউম্যান প্রোগ্রামারের দুই বছরের বেতন দেয়া যাবে। তবে আমি তাকে বললাম দেখুন, একটি রোবট প্রোগ্রামারকে আপনি আপনার প্রয়াজনে যখন কাজের চাপ বাড়বে, ঠিক তখনই ব্যবহার করতে পারবেন। এবং অন্য সময় রেখে দিতে পারবেন।
অন্যদিকে হিউম্যান এক্সপরিন্স প্রোগ্রামারকে যদি কোম্পানিতে নিয়োগ দেন, তাহলে প্রতি মাসেই বেতন দিতে হবে। তাছাড়া পার্টটাইম প্রোগ্রামার পাওয়া ভীষন কঠিন। অবশেষে অর্নব সাহেব আমার কথা মেনে নিলেন।
কোম্পানী দুটো প্রোগ্রামার রোবট বানিয়ে নিল, বিখ্যাত রোবট তেরী প্রতিষ্টান "ড্রীমল্যান্ড এল এল সি" র নিকট থেকে। অর্নব সাহেবের কস্ঠ কিছুটা লাগব হল।
যখনই কোম্পানীর কাজের চাপ বাড়ত, তিনি প্রোগ্রামার রোবট দুটি চালু করতেন। ক্রমান্বয়ে সব সফটওয়্যার কোম্পানি রোবট প্রোগ্রামার নিয়োগ দিতে লাগল। মানুষের তুলনায় ক্লান্তিহীন হওয়ায় এবং বেশ দক্ষতার সাথে কাজে সক্ষম হওয়ায় প্রতিটি কোম্পানীতে রোবট প্রোগ্রামারের সংখ্যা হিউমান প্রোগ্রামারের সমান সংখ্যক হয়ে দাড়াল।
অবশেষে হিউম্যান প্রোগ্রামাররা স্ট্রাইক করল। তারা টানা সাত দিন দেশের সকল সফটওয়্যার কোম্পানী বন্ধ করে দিল।
যদি কোন কারনে, সফটওয়্যার কোম্পানি চলে, তাহলে আরও কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুমকি দিলেন,হিউম্যান প্রোগ্রামারদের প্রেসিডেন্ট ড: লোজন মাসুদ।
সকল সফটওয়্যার কোম্পানীর মালিকরা মাথায় হাত দিয়ে বসলেন। যেভাবে হোক, এর সমাধান করতেই হবে। অবশেষে স্বরাট্র মন্ত্রী ড: অ্যসকুন সফটওয়্যার কোম্পানীর মালিকদের পক্ষ থেকে একটি দলের সাথে রুদ্ধদার বইঠক করলেন। কোম্পানির পক্ষে দলের নেতৃত্ব দিলেন ড: লোজন মাসুদ।
বইঠকে সিদ্ধান্ত হলো, প্রতিটি কোম্পানি তাদের জনবলের ১০% রোবট প্রোগ্রামার রাখতে পারবে। অর্নব সাহেবের মুখেও হাসি ফুঠে উঠল। কারন তিনি তার কোম্পানীতে দুইজন রোবট প্রোগ্রামার নিয়োগ দিতে সক্ষম।
হঠাৎ একদিন একটি সফটওয়্যার সম্পর্কে খারাপ ফিডব্যাক এল। অর্নব সাহেবের মাথায় হাত।
আমি তাকে কারন জিজ্গাসা করলাম। তিনি আমাকে কারন জানালেন। আমি সফটওয়্যারের কোডিং চেস্ট করলাম। দেখালাম এতে এরর(error) আছে। কিন্তু আমরা অবাক হলাম।
কারন, আমরা যে রোবট প্রোগ্রামার ব্যবহার করি, তার ভুল করার সম্ভাব্যতা 0.000025%। আমি অর্নব সাহেবকে বললাম রোবট মেরামত করতে হবে।
অর্নব সাহেব দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললনে, এই! পার্থক্য হিউম্যান ও রোবট প্রোগ্রামারের। ওনার কথা শুনে আমি মুচকি হাসলাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।