আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রুমানা,তোমার দৃষ্টি নিয়ে দৃষ্টি ফিরে পাক হাজার হাজার সাইদ

বাংলাদেশে কোন দম্পতির মাঝে Divorce হলে,মেয়ের family দাবি করে ''ছেলে drug addicted ছিল'' আর ছেলের family দাবি করে ''মেয়ের পরকীয়া ছিল,মেয়ে চরিত্রহীন'' ''হায়,হায়,ইশরে,আহারে,ছি,ছি'' ধরনের কারন ছাড়া এদেশে Divorce জায়েজ হয় না । বনিবনার মত ফালতু একটি বিষয় কখনই Divorce এর মত vital একটা বিষয়ের কারন হতে পারে না। বিবাহ একটি সামাজিক চুক্তি আর পরিবার বা সংসার একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান,এরকমই একটা সংজ্ঞা মনে হয় পড়েছিলাম সমাজ বই এ। আর যেই প্রতিষ্ঠানটি sacrifice,compromise এর মত pillar এর উপর ভর করে দাঁড়িয়ে থাকে,সেখানে বনিবনা না হয় কিভাবে। বিল্ডিং যতই দুর্বল হোক ১৯৫৩ কিংবা তারও আগে থেকে রক্সি পেইন্ট করে রাখাই সংসার নামক প্রতিষ্ঠানের ধর্ম,তাই ভুমিকম্প না হলে বুঝবেন না,কতটা দুর্বল ছিল প্রতিষ্ঠানটির ভবন।

বরাবরের মত বিষয়বস্তু একই কারন বিষয়বস্তুর তো কোন পরিবর্তন হয়নি,তবে শুধু এইবারের জন্য নাম দুটি রুমানা এবং সাইদ। জানি আপনার কাছেও দুটি নাম আছে,হ্যাঁ,কমবেশি সবার কাছেই আছে,সবারই জানা গল্প,তাহলে এবারই একটু আলাদা করে বলা কেন? ফোনে আমার ছোট ভাই এর সাথে কথা হচ্ছিল,ওই ই তুলল রুমানার কথা। আমি fun করে বলতেছিলাম,''বেচারী এমন সময় India গেল যে,India দেখার সুযোগ পেল না'' ও বলে,''তুই এরকম একটা serious বিষয় নিয়ে ফাজলামি করতেছিস?'' না,না,আসলেই এবার serious হতে হয়,মেয়েটি উচ্চশিক্ষিতা,বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যাপীঠের শিক্ষিকা,কানাডায় অধ্যয়নরত,সেটিও বড় কথা নয়,বড় কথা হল মেয়েটি এমন জখম হয়ে গেল,চিকিৎসার জন্য ঘর থেকে বের হতে হল,দেশ থেকে একদম বিদেশে,এখন তো একটু serious হতেই হয়,overlook করার যে আর উপায় রাখেনি। আর সবার কাহিনী তাই inbox এ inbox এ ঘুরুক,আসুন এবার একটু রুমানাকে নিয়ে serious হই। রুমানা নামের একটি মেয়েকে তার স্বামী পাশবিক শারীরিক নির্যাতন করল,নির্যাতন করে বীরপুরুষ পালিয়েও গেল,গ্রেপ্তার হবার পর স্ত্রীর চরিত্রে কলঙ্কের বোঝা চাপিয়ে দিল,বিজ্ঞানের ছাত্র সমীকরন মেলাতে না পেরে,প্রথমে নিজেকে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী,পরবর্তীতে নিজেকে মানষিক প্রতিবন্ধী দাবি করে বসল ।

আজকাল সবখানে কুইজ থাকে,ATN বাংলার আটদিনের ঈদ অনুষ্ঠানের উপর কুইজ,ইমপ্রেস টেলিফিল্মের নাটকের উপর কুইজ,আমি ক্ষুদ্র মানুষ,আমার ক্ষুদ্র লেখাতেও একটা ক্ষুদ্র কুইজ। রুমানা নামের একটি মেয়ের উপর তার স্বামী সাইদ বর্বর শারীরিক নির্যাতন করল,নিচের কোন combination টি তার এ আচরনকে সমর্থন করে? ক.রুমানা ও সাইদ চরিত্রবান খ.রুমানা চরিত্রহীন,সাইদ চরিত্রবান গ.রুমানা চরিত্রবান,সাইদ চরিত্রহীন ঘ.রুমানা ও সাইদ দুজনেই চরিত্রহীন উপরের কোন combination যদি আপনার মনকে শান্ত করে তবে সেটিই কুইজের সঠিক উত্তর,আর ওই যে শান্তিটুকু পেলেন ওইটিই আপনার পুরষ্কার,সবাই আপনার মত সঠিক উত্তর খুঁজে বের করতে পারবে না। পবিত্র কুরআনের সূরা আন-নূরে আল্লাহ তাআলা স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন,একজন মেয়ে ব্যভিচারিনী প্রমানিত হবার শর্ত এবং তার শাস্তি,সেখানে একশ বেত্রাঘাতের কথা বলা হয়েছে,সেখানে কামড়ে নাক মুখ খুবলে দেয়ার কথা বলা হয়নি,অন্ধ করে দেবার কথা বলা হয়নি। কিন্ত এসব বেত্রাঘাতের কথা বললে তো গ্রাম্য সালিশের কথা মনে পড়ে,আমরা তো শহরের শিক্ষিত,আধুনিক লোক,পশ্চিমা টিভি চ্যানেলের স্টাইলে চলি। যদি তাই হয়,রুমানার বিরুদ্ধে যদি adulteryর অভিযোগ ওঠে,সাইদের বিরুদ্ধে sexual perversion এর অভিযোগ আনতে হবে,classify করে বলতে গেলে Sadism : It is a form of sexual perversion in which the person gets sexual gratification by torturing his sex partner by beating,biting,whipping etc.কোন ব্যাখ্যাই আপনার মনকে শান্ত করতে না পারে কারন আমারা পাশ্চাত্য আর পারস্যের মাঝামাঝি একটা মানষিকতা নিয়ে ঝুলে আছি।

এবার আসি,সাইদ দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এই বিষয়ে,যেই লোক নিজের স্ত্রীকে স্পর্ষ করেও হাত,পা,নাক,মুখের মাঝে পার্থক্য করতে পারেন না,যে এতই অন্ধ সে কিভাবে মুহূর্তের মাঝে facebook এ স্ত্রীর friend list থেকে তার boyfriend কে খুঁজে বের করল আমার বোধগম্য হল না। সাইদ জানে যে সে মানষিক রোগগ্রস্ত,সে ক্ষেত্রে তার prognosis ভাল। কিন্ত শারিরিক রোগের যেমন প্রকারভেদ আছে,মানষিক রোগেরও প্রকারভেদ আছে,মানষিক রোগ মানেই জ়্বীন ধরা পাগল না,সাইদের sign symptom কিসের সাথে যায়,Depression?Frustration?Mania? Bipolar disorder? Hysteria নাকি Schizophrenia? আমাদের হাসপাতালে এক patient দেখছিলা্ম,বনের মাঝে মধু সংগ্রহ করতে গিয়েছিল,এক ভাল্লুক কামড়ে তার নাক তুলে নিয়ে গেছে। সেই ভাল্লুকের সাথে সাইদের পার্থক্য কি বলতে পারেন,ভাল্লুকটির দৃষ্টি ছিল,সাইদ তো দৃষ্টীহীন। রুমানার জন্য তো করবেনই,আসুন দোয়া করি সাইদরাও যেন দৃষ্টি ফিরে পায়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।