noyhing সরকার আর ফিলিপস-কনকো চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্টান দেখলাম টিভিতে। সরকার বলছে - দেশের স্বার্থ রক্ষিত হলো - তেল-গ্যাস রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য বলছে ভিন্ন কথা।
বিডনিউজ২৪ থেকে নেওয়া খবরের অংশ
"এটি একটি পরিহাস যে, সরকার যখন এলএনজি আমদানির পরিকল্পনা করছে, ঠিক তখনই গ্যাস রপ্তানির শর্তে একটি বহুজাতিক কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি হচ্ছে। "
এ ব্যাপারে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম নুরুল ইসলাম বলেন, "রপ্তানিমুখী মডেল উৎপাদন-বণ্টন চুক্তির (প্রডাকশন শেয়ারিং কন্ট্রাক্ট-পিএসসি ২০০৮) আওতায় এ চুক্তি দেশের জন্য আত্মঘাতী। ওই বিশেষজ্ঞ বলেন, "এ গ্যাস আমাদের দেওয়া হবে ১৫০ মাইল দূরে সমুদ্রের কূপে।
সেখান থেকে উপকূলে গ্যাস পরিবহন করার জন্য বিদেশি কোম্পানির কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।
"আবার বাংলাদেশের জন্য এই গ্যাস পরিবহন আর্থিক ও কারিগরি সামর্থ্যরে দিক থেকে অলাভজনক। ফলে তা রপ্তানির সুযোগই করে দেওয়া হবে। "
অবশ্য পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান হোসেন মনসুর দাবি করেছেন, পিএসসিতে দেশের স্বার্থবিরোধী কোনো ধারা নেই।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, "উৎপাদিত গ্যাস প্রথমে তারা বাংলাদেশ সরকারের কাছে বিক্রি করবে।
যদি সরকার কিনতে না পারে তবে দেশেরই কোনো বেসরকারি কোম্পানির কাছে বিক্রি করবে তারা। "
"বেসরকারি কোনো কোম্পানি কিনতে রাজি না হলে তখনই কনকো-ফিলিপস তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) হিসেবে তা বিদেশে রপ্তানি করতে পারবে," বলেন হোসেন মনসুর।
যখন্ই কোন দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ নিয়ে এই ধরনের চুক্তির কথা শুনি - তখনই চোখের সামনে ভেসে উঠে সুদান আর নাইজেরিয়া। সেই দেশগুলোর সরকারের দূর্র্নীতির সুযোগে তের কোম্পানীগুলো সেখানে ঢুকে দেশগুলোকে শেষ করে দিয়েছে। সুদানের আজকের এই অবস্থার পিছনে
কানডিয়ান এক তেল কোম্পানী।
বাংলাদেশের এতো বড় একটা ঘটনায় বিরোধীদলও নীরব - যাদের দায়িত্ব সরকারকে জবাবদীহি করানো - এরা ২ বছর পর ইলেকমান নিয়ে ব্যস্ত।
দেখে শুনে মনে হচ্ছে বড় ধরনের একটা ঘাপলা আছে এখানে। খালেদার রুদ্রমূর্তি হঠাত নরম হয়ে গেলো - সরকারের সব বিষয়ে সমালোচনা করা খালেদাও চুপচাপ বিষয়টা ছেড়ে দিচ্ছে। নিম্চয়ই কোন একমটা সমস্যা আছে।
যদি তেল-গ্যাস রক্ষা কমিটি সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে বিরোধীতা করে - সবার উচিত তাদের সমর্থন দেওয়া।
এই বিষয়ে যারা জানেন - দয়া করে আমাদের জানান। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।