আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এসব নৃশংসতা বন্ধ হোক...

আমাদের দেশ আমাদের সম্পদ কোন কোন ক্ষেত্রে নারীও তার আপন সম্পদ রক্ষায় সচেতন বৃহস্পতিবার, 16 জুন 2011 ত্রিকালদর্শী কোন কোন ক্ষেত্রে নারীও তার আপন সম্পদ ভোগের সামগ্রী রক্ষায় সচেতন। ঢাকায় বসবাসকারী এক নারী তার বাসার ১২ বছরের কাজের মেয়ের নিম্ন অঙ্গে এসিড ঢেলে দিয়েছে। এ রকম ঘটনা গত তিন মাসে দুটি ঘটলো। এ ছাড়া আরও ৪-৫টি ঘটনায় কাজের ময়েরে শরীরে বা তলপেটে গৃহকত্রী খুন্তির ছ্যাকা দিয়েছেন। আরও ৩টি ক্ষেত্রে অমানবিক দৈহিন নির্যাতনের পর বাসায় অটকে রেখেছেন বা বের করে দিয়েছেন।

তিনটি ঘটনা ঢাকাসহ তিনিটি ওসিসি-তে নথিভূক্ত হয়েছে। আলোচিত ক্ষেত্রে নিম্ন অঙ্গে এসিড ঢালার পর চিকিৎসা না করে দুই দিন বাসায় অটকে রেখে শিশুটির অবস্থা যখন খারাপ হয়ে পড়ে তখন তাকে একা একা ঢাকা গাবতলী থেকে ঝিনাইদহের বাসে তুলে দেয়া হয়। দরিদ্র পিতামাতা ঠিক মত তার চিকিৎসাও করাতে পারছেন না। ডাক্তাররা বলছেন তার নিম্ন অঙ্গে এসিডে পুড়ে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে, মেয়েটির বড় রকমের ক্ষতি হয়েছে। আমাদের দেশে বাসাবাড়ীতে কাজ করতে এসে নারী ও মেয়ে শিশুরা যৌন নির্যাতনের শিকার হবার পর যখন তা জানা জানি হয়, তখন যত দোষ নির্যাতিত নারীর উপরে গিয়ে পড়ে।

নির্যাতনকারী পুরুষ কোন আলোচনায়ই আসে না। কারণ, সে হয়তো কারো স্বামী, শ্বশুর, দেবর, ভাসুর, ননদের স্বামী, জামাই, ভাই বা ছেলে। তার ইজ্জৎ রক্ষার মাধ্যমে পরিবারের ইজ্জৎ রক্ষা (?)! ফলে খুন্তির ছ্যাকা, ব্লেড দিয়ে কাটা, মাথা ন্যাড়া করে দৈহিক নির্যাতন, এসিডে পোড়ানো সবই নির্যাতিতকে সহ্য করতে হয়। যেটা পোড়ানোর কথা, যেখানে এসিড ঢালার কথা, সেটা পোড়ালে বা সেখানে এসিড ঢাললে সংশ্লিষ্ট নারীর ভোগ্য সম্পদ বিনষ্ট হয়। তাই নিজের সম্পদ অক্ষত রেখে নির্যাতিতের উপর তিনি হিংস্রতার সাথে ডাবল নির্যাতন চালান।

অবশ্য ভোগ্য সম্পদ রক্ষার সাথে তার জীবীকা নিরাপত্তার বিষযটিও অনেক ক্ষেত্রে যুক্ত থাকে। এভাবে কাজের মেয়েরা গ্রহ কর্তা ওবং গৃহকত্রী উভয় দিক থেকে মানবাধিকার লংঘন ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। নারীরা নারী ও নির্যাতিতের সমস্যা কবে বুঝবে? কবে তারা সচেতন হয়ে পুরুষকে ধরতে শিখবে, বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে শিখবে? সূত্র : Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।