মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার বিএনপির নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুীর পক্ষে শেষ সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিয়েছেন সাবেক কূটনীতিক আবদুল মোমেন চৌধুরী। এ মামলায় আজ শিল্পপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল।
আজ বুধবার বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ তাঁর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
মোমেন চৌধুরী জবানবন্দিতে বলেন, ১৯৮৫ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত তিনি রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৭১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পাকিস্তান সরকার তাঁকে দামেস্ক থেকে তানজানিয়ায় বদলি করে।
এপ্রিল মাসের দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহে তিনি ছুটি নিয়ে ঢাকায় আসার উদ্দেশে করাচি যান। করাচিতে তাঁর এক বন্ধু আবদুল জলিলের সঙ্গে গার্ডেন রোডে তিনি আনুমানিক দুই সপ্তাহ অবস্থান করেন। তখন তাঁর ব্যাচমেট হাবিবুন নবী আশিকুর রহমান সিন্ধু সরকারের অধীনে কর্মরত ছিলেন। একদিন তিনি আশিকুরের অফিসে গিয়ে একজন ভদ্রলোককে বসে থাকতে দেখেন। আশিকুর ওই ভদ্রলোককে তাঁর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বলেন, তাঁর নাম সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী।
আশিকুরের অফিসে অবস্থানকালে তিনি আরও জানতে পারেন, কাইয়ুম রেজা চৌধুরীও করাচি আছেন। পরে কাইয়ুম করাচিতে তাঁর বাসায় যান।
প্রসঙ্গত, কাইয়ুম রেজা চৌধুরীও সাকা চৌধুরীর আত্মীয় এবং তার পক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
আসামিকে হাজির করতে সময় বেঁধে দেন ট্রাইব্যুনাল
আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কার্যক্রম শুরু হলে আসামির পক্ষে কোনো সাক্ষী আছে কি না জানতে চান ট্রাইব্যুনাল। এ সময় আসামিপক্ষ কোনো সাক্ষীকে হাজির করতে পারেনি।
পরে ট্রাইব্যুনাল সাক্ষী হাজির করার জন্য দুপুর ১২টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন আসামিপক্ষকে। এরপর আসামিপক্ষ থেকে আবদুল মোমেন চৌধুরীকে সাক্ষী হিসেবে হাজির করা হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।