আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শান্তি-অশান্তির কথপোকথন:

বাংলায় কথা বলি,বাংলায় লিখন লিখি, বাংলায় চিন্তা করি, বাংলায় স্বপ্ন দেখি। আমার অস্তিত্ব জুড়ে বাংলা ভাষা, বাংলাদেশ। চাচাঃ কি যে একখান সময় ছিল আইয়ুব খানের শাসনকাল। আহারে!! ভাতিজাঃ কেন চাচা? কি এমন সময় ছিল? বলেন না শুনি। চাচাঃ জিনিসপত্র সস্তা, কত শান্তি।

কোন ঝামেলা নাই। খালি শান্তি আর শান্তি। ভাতিজাঃ এখন কেমন আছেন,চাচা ? চাচাঃ এখনকার আবার আর থাকা না থাকা । খালি অশান্তি আর অশান্তি। ভাতিজাঃ কিসের এতো অশান্তি, চাচা? চাচাঃ মানুষগুলো সব খারাপ হয়ে গেছে।

কেউ কাউকে মানে না। বাজারে আগুন। মানুষ খাবে কি? পথে ঝামেলা, ঘাটে ঝামেলা। কই, আগে তো এমন ছিল না। ভাতিজাঃ দেখুন, চাচা।

আউয়ুবের আমলে মানুষ ছিল কম। ঝামেলা ছিল কম। মানুষ এতো অস্থির ছিল না। তাই সুখ ছিল। তবে ভাববেন না যে খুব বেশী আরামে ছিলেন! চাচাঃ কি বল মিয়া! আরামে ছিলাম না? ভাতিজাঃ না।

চাচাঃ কেন? ভাতিজাঃ তখন কি আপনার বাসায় কারেন্ট ছিল? চাচাঃ না ভাতিজাঃ এখন কি আছে? চাচাঃ আছে। ভাতিজাঃ সোফা ছিল? চাচাঃ না । ভাতিজাঃ এখন কি আছে? চাচাঃ আছে। ভাতিজাঃ মোবাইল ছিল? চাচাঃ না। ভাতিজাঃ এখন আপনার নিজের হাতে শোভা পচ্ছে মোবাইল ।

বাসায় সোফা আছে। বিয়ে শাদি হলে আর কলাপাতায় খেতে হত। এখন খান চেয়ার-টেবিল পেতে ভাল থালায়। খুব বেশী খারাপ আছেন এটা বলা মনে হয় ঠিক নয়। বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে।

তবে এটা সত্য যে যতদুর আগানো উচিত ছিল ততদূর হয়নি। চাচা আমার কথা মানলেনই না। রাগে গজ গজ করতে করতে চলে গেলেন। বলতে শুনলাম- যত সব বেয়াদপ পোলাপাইন! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।